নয়াদিল্লি: চাষ করেই লাখপতি হয়েছেন রাজস্থানের এক কৃষক। এমনই খবরে ক্রমশ উৎসাহ বাড়ছে কৃষির প্রতি।
বছর কুড়ি আগে দিল্লিতে শসার উৎপাদন বৃদ্ধির কৌশল শিখেছিলেন ওই কৃষক। তারপর থেকে জীবনের মোড় ঘুরে গিয়েছে। রাজস্থানের দৌসা জেলার গিজগড়ের বাসিন্দা এক কৃষক শসা চাষ করেন। শুধু নিজে করেন তাই নয়, বরং অন্যদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাও করেছেন। ওই কৃষক পলিহাউস স্থাপন করে চাষাবাদ করছেন, এতে কৃষক অনেক লাভবান হচ্ছেন।
জানা গিয়েছে, গিজগড়ের কৃষক শিবচরণ সেকদা প্রায় ২০ বছর আগে শসা চাষের বিশেষ পদ্ধতি শিখেছিলেন। তিনি জানান, ‘প্রথমদিকে আমি দেখেছি যে কৃষকরা প্রথাগত চাষ থেকে ভাল লাভ করছেন।’ কিন্তু তারপর তিনি নতুন কিছু করে দেখার কথা ভাবতে শুরু করলেন। শিবচরণ বলেন, ‘দিল্লির পুসায় প্রায় ২০ বছর আগে নতুন প্রযুক্তির বিষয়ে জেনেছিলাম। তারপরে, আমি একটি পলিহাউস তৈরি করে কাজ করছি, একটি নার্সারি তৈরি করেছি এবং কিছু ফসলও ফলিয়েছি। এখান থেকে অনেক কিছু শেখার আছে।’
ওই এলাকায় শীতের প্রকোপ বেশি। হিম পড়ে চাষের ক্ষতিও হয়। সে কারণে শসা চাষে অনেক ক্ষতি হয়েছে এর আগে। পলিহাউস তা থেকে রক্ষা করতে পারে। ফলে পলিহাউসে চাষ করে লাভের মুখ দেখছেন কৃষকরা।
আরও পড়ুন: শার্ক ট্যাংকের মঞ্চে বাজিমাত, ২ বাঙালির সাফল্য গর্বের, অনুপ্রাণিত হবেন আপনিওশিবচরণ জানান, তিনি সরকারি প্রশিক্ষণ শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন। পুসার তালাই গ্রামে সাত দিন প্রশিক্ষণ নেন এবং তারপর ৫০-৬০ জন কৃষকের খামারে পৌঁছান। কিন্তু পলিহাউস স্থাপনে বিপুল বিনিয়োগ দরকার। শিবচরণ জানান, তিনি নিজের থেকে প্রায় ১২ লক্ষ টাকা খরচ করে পলিহাউস তৈরি করেছেন। বাকি টাকা সরকারি সুবিধাও পেয়েছেন। প্রায় ৩৪ লক্ষ টাকা ব্যয়ে তৈরি করেছেন পলিহাউস।
তারই ফলে এক ফসলি জমিতেও লক্ষ টাকা আয় সম্ভব হচ্ছে। শসা চার মাসের ফসল। প্রায় সাড়ে তিন লাখ টাকা খরচ করলে প্রায় ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত আয় হতে পারে। এক ফসলে পাঁচ লাখ টাকা আয় হতে পারে।
শসা বিক্রি করতে খুব সমস্যা হয় না। স্থানীয় বাজারে শসা সহজেই বিক্রি হয়।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Agriculture, Cucumber Farming