করোনার জেরে এক কঠিন সময়ের মুখোমুখি পার্সোনাল ফিনান্স; এমার্জেন্সি ফান্ড, বিমা কি সুরক্ষা দিতে পারবে?

Last Updated:

এই প্যানডেমিকে নিজের এবং পরিবারের স্বাস্থ্যের বিষয়টিও ভাবিয়েছে মানুষজনকে। তাই নানা স্বাস্থ্য বিমা, হেল্থ ইনসিওরেন্স কভার নিয়ে ভাবনা-চিন্তা করতে বাধ্য হয়েছেন মানুষজন।

#নয়াদিল্লি :  ২০২০। পুরো বছরটা একের পর এক খারাপ খবর নিয়ে এসেছে। বহু মানুষ চাকরি হারিয়েছেন। বহু কর্মীর বেতন কমেছে। ছাঁটাই হয়েছে কর্ম সংস্থায়। অনেককে অল্প বাজেটের মধ্যেই কোনও রকমে জীবন কাটাতে হয়েছে। তবে এই সব কিছুর মাঝেই একটা দারুণ শিক্ষা পেয়েছেন মানুষ। ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা নিয়ে ভাবনা-চিন্তা শুরু করেছেন তাঁরা। নিজেদের অর্থনৈতিক চিন্তা-ভাবনাকে আরও মজবুত করার চেষ্টা করেছেন। জরুরিকালীন পরিস্থিতিতে কী ভাবে মোকাবিলা করা যাবে, সেই বিষয়েও নানা পরিকল্পনা করতে শুরু করেছেন। লকডাউনের জেরে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি একটা বড় অংশের উপরে প্রভাব ফেললেও অনেকেই এই অস্থির পরিস্থিতিতে টিঁকে থেকেছেন। তবে সব কিছুর মধ্যে একটি কঠিন বছর পেরিয়ে এসেছে পার্সোনাল ফিনান্স। আসুন জেনে নেওয়া যাক বিশদে।
পার্সোনাল ফিনান্সের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য এমার্জেন্সি ফান্ড। এই পরিস্থিতিতে এমার্জেন্সি ফান্ডের (Emergency Fund) সঙ্গে যুক্ত কোনও ডেবিট রিপেমেন্ট ( Debt Repayment) অপশন বা লোন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই এমার্জেন্সি ফান্ডগুলিতে কমপক্ষে ছয় মাসের জন্য পর্যাপ্ত অর্থ থাকাটা অত্যন্ত জরুরি। আর যাঁদের ইমার্জেন্সি সেভিংসে এই টাকা ছিল, তাঁরা প্যানডেমিকে অনেকটা ভালো ভাবেই পুরো পরিস্থিতির সামাল দিয়েছেন। অন্যদের শুধুমাত্র ক্রেডিট কার্ড বা লোনের মোরাটরিয়ামের (Moratorium) দিকেই পথ চেয়ে বসতে হয়েছে। নানা সমস্যায় পড়তে হয়েছে বার বার। ২০২০ সালের জুলাইতে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্টে প্রায় ৫০ শতাংশ ঋণগ্রহীতার লোন মোরাটরিয়ামের বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হয়েছিল। আর এই সমস্ত ক্ষেত্রেই অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য বিষয় এমার্জেন্সি ফান্ড- কথাটা ২০২১ সালেও না ভোলাই ভালো!
advertisement
২০২০ সালের মার্চ-এপ্রিলে দেশ জুড়ে লকডাউন আর বিশ্ব অর্থনীতিতে করোনার থাবা ইক্যুইটি মার্কেটে বড়সড় প্রভাব ফেলে। এর জেরে অনেক বিনিয়োগকারী ইক্যুইটি থেকে নিজেদের সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। তবে বছর জুড়ে অনেকে নিজেদের ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডগুলি থেকে একটা বড় রিটার্নের লক্ষ্যেও একাধিক পরিকল্পনা করেছেন। অনেকে আবার শর্ট টার্ম ফিনান্সিয়াল প্ল্যানগুলিকে বেছে নিয়েছেন। সেই মতো চলা যেতে পারে ২০২১ সালেও।
advertisement
advertisement
এই প্যানডেমিকে নিজের এবং পরিবারের স্বাস্থ্যের বিষয়টিও ভাবিয়েছে মানুষজনকে। তাই নানা স্বাস্থ্য বিমা, হেল্থ ইনসিওরেন্স কভার নিয়ে ভাবনা-চিন্তা করতে বাধ্য হয়েছেন মানুষজন। হাসপাতালের আকাশ-ছোঁওয়া খরচ অনেকেরই সেভিংসের একটি বিরাট অংশ খসিয়েছে। তাই স্বাস্থ্য বিমাগুলির উপরে জোর দিয়েছেন মানুষজন। যাঁরা নানা ক্ষেত্রে কাজ করছেন, তাঁরা ESI বা এমপ্লয়ি প্ল্যানগুলি ছেড়ে অন্যান্য আলাদা স্বাস্থ্য বিমাতেও হাত পাকিয়েছেন। কাজেই ২০২১ সালেও বিমা করার চিন্তা মাথা থেকে বাদ দিলে চলবে না!
বাংলা খবর/ খবর/ব্যবসা-বাণিজ্য/
করোনার জেরে এক কঠিন সময়ের মুখোমুখি পার্সোনাল ফিনান্স; এমার্জেন্সি ফান্ড, বিমা কি সুরক্ষা দিতে পারবে?
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement