বীরভূম : বহুল প্রচলিত একটি প্রবাদ হল 'প্রদীপের তলায় অন্ধকার'। অর্থাৎ যে প্রদীপ চারদিক আলোকিত করে সেই প্রদীপের তলা থাকে অন্ধকারে ভরা। এই প্রবাদের বাস্তবায়ন এবার দেখা গেল বোলপুরের শ্রম দফতরে। যেখানে খোদ শ্রম দফতরের বেশ কয়েকজন অস্থায়ী কর্মী বেতন থেকে বঞ্চিত। শ্রমিকরা সাধারণত নিজেদের বেতন থেকে বঞ্চিত হলে এই শ্রম দফতরের দ্বারস্থ হন। অথচ সেই দফতরের কর্মীরাই বেতন পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করছেন। বোলপুরের এই শ্রম দফতরের বেশ কয়েকজন কর্মীর কর্মী গত আট মাস ধরে নিজেদের বেতন থেকে বঞ্চিত রয়েছেন এবং তারা এখনো পর্যন্ত বিনা বেতনেই কাজ করে চলেছেন। বেতন থেকে বঞ্চিত হওয়া কর্মীদের মধ্যে কেউ নিরাপত্তারক্ষীর কাজে নিযুক্ত আবার কেউ কেরানির কাজে নিযুক্ত। তাদের এটাও অভিযোগ, এই বেতন না পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে তারা একাধিকবার দফতরের কর্তাদের জানিয়েছেন। তবে কোনো ফলাফল পাওয়া যায়নি। বোলপুরের এই শ্রম দফতর গত বছর সেপ্টেম্বর মাসের ১ তারিখ উদ্বোধন হয়। ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বোলপুরের পারুলডাঙ্গার এই অফিসটি উদ্বোধন করার পাশাপাশি শ্রম দফতরের অতিথিদের জন্য একটি অতিথি নিবাসেরও উদ্বোধন হয়। এই অফিসটি হল বীরভূম জেলার শ্রম দফতরের প্রধান কার্যালয়। অফিসটি উদ্বোধন হওয়ার পর এখানে বিভিন্ন অস্থায়ী পদে নিযুক্ত হন মোট ছয় জন অস্থায়ী কর্মী।
আরও পড়ুনঃ পথ কুকুরের আতঙ্ক সিউড়িতে, কামড়ে আহত পাঁচ
কিন্তু তাদের কাজ এত মাস পার হতে গেলেও এখনো পর্যন্ত তারা বেতনের মুখ দেখেননি। দীর্ঘদিন ধরে বেতন না পাওয়ার কারণে স্বাভাবিকভাবেই তারা নিদারুণ অসহায় অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন।
আরও পড়ুনঃ বিধ্বংসী আগুন! মুহূর্তের মধ্যেই পুড়ে ছাই ডাক্তারি পড়ুয়ার যাবতীয় নথিপত্র!
তাদের এক কর্মীর থেকে জানা গিয়েছে, পিএফ সহ অন্যান্য খাতের টাকা কেটে মাসে সাড়ে ১০ থেকে ১১ হাজার টাকা পাওয়ার কথা। যদিও এর পরিপ্রেক্ষিতে এই দফতরের আধিকারিক শুভজিৎ মুখার্জি জানিয়েছেন, \"যারা বেতন পাচ্ছেন না তারা যদি অ্যাসিস্ট্যান্ট লেবার কমিশনের কাছে অভিযোগ করেন তাহলে আমরা বিষয়টি দেখবো।\"
Madhab Dasনিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।