বীরভূম : দেখতে দেখতে পার হয়ে গেল দু'বছর। দু'বছর আগে দেশে যখন ভয়ঙ্কর করোনা পরিস্থিতি চলছে সেই সময় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল লাদাখের গালওয়ান উপত্যকা। তবে সেদিন চীন এর সেনাদের অতর্কিত হামলা সাহসের সঙ্গে প্রতিহত করেছিলেন ভারতীয় সেনারা। মনে পড়ে সেই ২০২০ সালের ১৫ জুনের কথা! হ্যাঁ, সেই দিনই ভারত ভূখণ্ডে হামলা চালিয়েছিল চীনের লাল ফৌজ। তবে তারা পারেনি। বরং ভারতীয় সেনাদের পাল্টা প্রতিরোধে তারা পিছু হটতে বাধ্য হয়। তবে দু'পক্ষের এই হাতাহাতিতে, লড়াইয়ে শহীদ হতে হয় দেশের অন্ততপক্ষে ২০ জন বীর সেনাকে। শহীদ হওয়া এই সকল সেনাদের মধ্যেই বীরভূমের মহম্মদবাজারের বেলগড়িয়া গ্রামের একজন বীর সেনা রাজেশ ওরাং। ১৫ জুন ঘটনার পরদিন ১৬ জুন শহীদ হন রাজেশ ওরাং। রাজেশ ওরাংয়ের শহীদ হওয়ার পর তার নিথর দেহ গ্রামে আসতে সময় লাগে দুদিন।
তার নিথর দেহ গ্রামে আসার পর ভারতীয় সেনা এবং রাজ্য পুলিশের তরফ থেকে সসম্মানে তাকে সমাধিস্থ করা হয়। দেখতে দেখতে আজ দু'বছরে পা দিল সেই দুঃস্বপ্নের দিন।বৃহস্পতিবার রাজেশ ওরাংয়ের দ্বিতীয় শহীদ বার্ষিকীতে সাতসকালেই সেখানে পৌঁছন এনসিসির আধিকারিকরা। তারপর তারা রাজেশ ওরাংয়ের সমাধি স্থলে পৌঁছান। সেখানেই তাকে মাল্যদান করে সম্মান জানানো হয়।
আরও পড়ুনঃ নাবালক ছেলের হাতে ফোন, সাড়ে চার লাখ টাকা খোয়ালেন সিউড়ির ব্যক্তিএনসিসির আধিকারিকরা ছাড়াও এদিন সমাধিস্থলে এসে শহীদ রাজেশ ওরাংকে সন্মান জানান তার বোন, বাবা-মা এবং আত্মীয় স্বজনরা। পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন গ্রামের বাসিন্দারাও। রাজেশ ওরাংয়ের এই দ্বিতীয় শহীদ বার্ষিকীতে তাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে চীনা সেনাদের প্রতি ক্ষোভ কিছুটা প্রশমিত করতে চেয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। তবে এর পাশাপাশি তারা নিজেদের গর্ব বোধ করছেন ছেলে দেশের জন্য শহীদ হওয়ায়।
আরও পড়ুনঃ উৎসবের মেজাজে আদিবাসীদের পাশে বীরভূম জেলা প্রশাসনযে কারণে তাদের তরফ থেকে সমাধি স্থলে উপস্থিত স্থানীয়দের লাড্ডু বিতরণ করা হয়। রাজেশ ওরাংয়ের বোন শকুন্তলা ওরাং জানিয়েছেন, এনসিসির তরফ থেকে এসে সম্মান জানানো হয়। আমাদের তরফ থেকেও আমরা যতটা পারলাম সম্মান জানালাম।
Madhab Dasনিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Birbhum, Galwan Valley, Rajesh Orang