Birbhum News: বাংলার প্রথম মহিলা বিপ্লবী হিসেবে দণ্ডিত হন সশ্রম কারাদণ্ডে, এই বীরাঙ্গনা আজ বিস্মৃত
- Published by:Ankita Tripathi
- hyperlocal
Last Updated:
স্বাধীনতা আন্দোলনে সারা দেশ তথা বাংলার সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল বীরভূম জেলাও। ব্রিটিশ শক্তির বিরোধিতায় এই জেলাতেও সংগঠিত হয়েছিল একাধিক আন্দোলন। সেরকমই জেলার একখ্যাতিনামা বিপ্লবী হলেন দুকড়িবালা দেবী।
বীরভূম: অনেক মানুষের রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম এবং জীবনের বিনিময়ে ভারতবর্ষ ১৯৪৭ সালে মুক্তি পেয়েছিল ব্রিটিশ পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে। পেয়েছিল তার বহু কাঙ্খিত স্বাধীনতা। এই স্বাধীনতা আন্দোলনে সারা দেশ তথা বাংলার সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল বীরভূম জেলাও। ব্রিটিশ শক্তির বিরোধিতায় এই জেলাতেও সংগঠিত হয়েছিল একাধিক আন্দোলন। সেরকমই জেলার এক খ্যাতিনামা বিপ্লবী হলেন দুকড়িবালা দেবী।
তাঁর পরিবারের থেকে জানা গিয়েছে, নলহাটির ঝাউপাড়া গ্রামের খুব সাধারণ পরিবারের এক গৃহবধূ তিনি। ইংরেজদের দখলদারি মনোভাবকে মেনে নিতে পারেননি। বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের সময় দেশ জুড়ে প্রতিবাদের ঢেউ স্পর্শ করে তাঁকেও। মনে মনে স্বদেশি মন্ত্রে দীক্ষিত হন তখনই। পরবর্তী সময়ে যোগাযোগ হয় তাঁরই এক আত্মীয়, বিপ্লবী নিবারণ ঘটকের সঙ্গে।
advertisement
সম্পর্কে নিবারণের মাসি ছিলেন দুকড়িবালা। নিবারণের সূত্রেই ঝাউপাড়ার দুকড়িবালা দেবীর বাড়ি হয়ে ওঠে বিপ্লবীদের আখড়া। বিপ্লবীদলে দুকড়িবালা দেবী ‘মাসিমা’ নামেই পরিচিত ছিলেন। বিপ্লবীদের কাছ থেকে দুকড়িবালাও শিখে নেন বিভিন্ন ধরনের অস্ত্রচালনার কলাকৌশল।
advertisement
১৯১৪ সালের ২৬ আগস্ট কলকাতার রডা কোম্পানির জন্য পাঠানো ৫০টি জার্মান মসার পিস্তল এবং বহু সংখ্যক কার্তুজের বাক্স কলকাতা বিমানবন্দর থেকে লুট হয়। সশস্ত্র বিপ্লবীরাই এই অস্ত্র লুটের পিছনে ছিলেন। সেই লুট হওয়া পিস্তল ও কার্তুজের একটি বড় অংশ এসে পড়ে ঝাউপাড়ায়।
আরও পড়ুন: রবীন্দ্রনাথ থেকে গান্ধিজি, নেতাজি এসেছিলেন এই পথে! বোলপুর স্টেশন সাজবে ‘অমৃত ভারত’-এর ছোঁয়ায়
advertisement
সে-সব সামলে রাখার দায়িত্ব নেন দুকড়িবালা। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। অস্ত্র রাখার অভিযোগে ১৯১৭ সালে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। বিচারে দু’বছর সশ্রম কারাদণ্ড হয়। তিনিই ছিলেন বাংলার প্রথম বিপ্লবী মহিলা, যাঁর ওই সময় অস্ত্র আইনে সশ্রম কারাদণ্ড হয়েছিল।
Subhadip Pal
view commentsLocation :
Kolkata,West Bengal
First Published :
Aug 10, 2023 3:48 PM IST







