হোম /খবর /শিক্ষা /
৭-৮ এর ইংরেজি ক্লাস নিচ্ছেন গ্রুপ-ডি কর্মী! শিক্ষকের অভাবে ভয়ঙ্কর অবস্থা স্কুলে

Birbhum News: শিক্ষকের অভাবে হাইস্কুলে ইংরেজি পড়াচ্ছেন গ্রুপ-ডি কর্মী!

X
title=

পর্যাপ্ত শিক্ষক না থাকায় সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির ইংরেজি ক্লাস নিচ্ছেন স্কুলেরই গ্রুপ ডি কর্মী সালামত আলি। এই ঘটনা জানাজানি হতে ব্যাপক বিতর্ক ছড়িয়েছে।

  • Hyperlocal
  • Last Updated :
  • Share this:

বীরভূম: স্কুলের শিক্ষকের অভাব ঢাকছেন চতুর্থ শ্রেণির কর্মী। ঘণ্টা বাজানো বা ফাইল এক টেবিল থেকে অন্য টেবিলে নিয়ে যাওয়ার বদলে হাইস্কুলের ছাত্রদের ইংরেজি ক্লাস নিচ্ছেন তিনি! এমনই দৃশ্য চোখে পড়ল নানুরের জামানা ধ্রুববাটি এন আর উচ্চবিদ্যালয়ে।

বীরভূমের এই হাইস্কুলে বর্তমানে পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ানো হয়। পড়ুয়ার সংখ্যা প্রায় চারশো। কিন্তু পর্যাপ্ত শিক্ষক না থাকায় সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির ইংরেজি ক্লাস নিচ্ছেন স্কুলেরই গ্রুপ ডি কর্মী সালামত আলি। এই ঘটনা জানাজানি হতে ব্যাপক বিতর্ক ছড়িয়েছে। কিন্তু শিক্ষকের অভাবে এছাড়া আর কোন‌ও পথ নেই বলে জানিয়েছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক পার্থদেব হাটি। স্কুলের এই দুরবস্থার জন্য তিনি উৎসশ্রী পোর্টালের মাধ্যমে শিক্ষকদের বদলির ঘটনাকে কাঠগড়ায় তোলেন।

আরও পড়ুন: গ্রামের মাঠে বোমা বাঁধার কাজ চলছিল, পুলিশ এসে বিপদ থেকে বাঁচায়

বর্তমানে হাইকোর্টের নির্দেশে রাজ্য সরকার উৎসশ্রী পোর্টালের মাধ্যমে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ট্রান্সফর বন্ধ রেখেছে। কিন্তু এর আগে এই পোর্টালের সাহায্যে বহু শিক্ষক নিজের বাড়ির কাছের স্কুলে বদলে নিয়ে চলে যান। ফলে রাজ্যের বহু স্কুলেই ছাত্র-শিক্ষক অনুপাত ঘেঁটে যায়। নানুরের এই হাইস্কুলটির ক্ষেত্রেও তেমন হয়েছে। স্কুল সূত্রে খবর, পাথরত ৪০০ জন পড়ুয়ার জন্য ১১ জন শিক্ষকের পদ বরাদ্দ করা আছে। কিন্তু বর্তমানে একজন পার্শ্বশিক্ষককে নিয়ে স্কুলে আছেন মোট ৭ জন শিক্ষক। বছরখানেক আগে উৎসশ্রী পোর্টালের মাধ্যমে তিনজন ইংরেজির শিক্ষক ও একজন জীবন বিজ্ঞানের শিক্ষক ট্রান্সফর নিয়ে চলে যান। কিন্তু তাঁদের জায়গায় নতুন কোন‌ও শিক্ষক বা শিক্ষিকা না আসাতেই সমস্যায় পড়ে স্কুল।

তাই বাধ্য হয়ে সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির ইংরেজি ক্লাস নিচ্ছেন স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির কর্মী সালামত আলি। ২০২২ সাল থেকে তাঁকে নিয়মিত ক্লাস নিতে হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। এদিকে শিক্ষকের অভাবে স্কুলের কম্পিউটার শিক্ষককে জীবন বিজ্ঞানের ক্লাস নিতে হচ্ছে। প্রধান শিক্ষক জানান, দীর্ঘদিন ধরেই এই শূন্যপদ পড়ে আছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বারবার জানিয়েও কোনও সুরাহা মেলেনি। ফলে বাধ্য হয়েই গ্রুপ ডি কর্মীকে দিয়ে ক্লাস নিতে হচ্ছে।

এদিকে গ্রুপ-ডি কর্মী হয়েও ইংরেজি ক্লাস নেওয়া সালামত আলি জানান, তিনি ইংরেজির ছাত্র। বাড়িতে উঁচু ক্লাসের টিউশন পড়ান, ফলে চর্চা আছে। তাই প্রধান শিক্ষক যখন তাঁকে এই ক্লাস নেওয়ার দায়িত্ব দিলেন তখন তিনি না করেননি।

শুভদীপ পাল

Published by:kaustav bhowmick
First published:

Tags: Birbhum news, Nanoor, Teacher