Birbhum News : মোলডাঙ্গায় শিশু হত্যা নিয়ে মুখ খুললেন পুলিশ সুপার নগেন্দ্র ত্রিপাঠি
- Published by:Debalina Datta
Last Updated:
বীরভূমের শান্তিনিকেতন থানার অন্তর্গত মোলডাঙ্গা গ্রামের পাঁচ বছরের শিশু শিবম ঠাকুর রবিবার সকাল সাড়ে নটা নাগাদ বাড়ির পাশেই দোকানে বিস্কুট কিনতে গিয়ে নিখোঁজ হয়।
#বীরভূম : বীরভূমের শান্তিনিকেতন থানার অন্তর্গত মোলডাঙ্গা গ্রামের পাঁচ বছরের শিশু শিবম ঠাকুর রবিবার সকাল সাড়ে নটা নাগাদ বাড়ির পাশেই দোকানে বিস্কুট কিনতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। নিখোঁজ হওয়ার প্রায় ৫২ ঘণ্টা পর জানতে পারা যায় তার মৃতদেহ রয়েছে প্রতিবেশীর ছাদে বস্তাবন্দি অবস্থায়। সেখান থেকে পুলিশ শিবমের মৃতদেহ উদ্ধার করার পর এলাকায় চরম উত্তেজনা ছড়ায়। যে বাড়ি থেকে ওই শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয় সেই বাড়িতে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনা ঘটান স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশকেও এলাকায় ঢুকতে প্রথম দিকে বাধা দেওয়া হয়। পরে পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছান পুলিশ সুপার নগেন্দ্র ত্রিপাঠী।
এই শিশু হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বীরভূম জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্র ত্রিপাঠি জানান, ঘটনার দিন দুপুর একটা নাগাদ নিখোঁজ হওয়া শিশুর বাবা থানায় অভিযোগ জানান। তারপর থেকেই পুলিশ ছয়টি দল গঠন করে ওই শিশুকে খোঁজার কাজ শুরু করে। গ্রামের প্রতিটি বাড়ি পুলিশ খোঁজার পাশাপাশি পুলিশের সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারাও। রাতেও কুকুর এনে তল্লাশি চালানো হয়। এছাড়াও এলাকার দু'কিলোমিটারের মধ্যে যে জঙ্গল রয়েছে সেখানেও তল্লাশি চালানো হয়। কিন্তু ওই শিশুর খোঁজ পাওয়া যায়নি। মঙ্গলবার দুপুরবেলায় ওই শিশুকে রুবি বিবির বাড়ির ছাউনি থেকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
advertisement
advertisement
ঘটনার পর থেকে গ্রামে তন্ন তন্ন করে ওই শিশুকে খোঁজা হলেও কোনও খোঁজ না পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি ওই শিশুকে অপহরণ করে অন্য কোন জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল এবং সেখানে খুন করে ফের রুবি বিবির বাড়ির ছাউনিতে রাখা হয়েছিল! যদিও এই প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ সুপার নগেন্দ্র ত্রিপাঠী জানিয়েছেন, ঘটনার পর থেকে যেভাবে এলাকায় পুলিশি প্রিকেট বসানো হয়েছিল এবং স্থানীয় বাসিন্দারা যেভাবে সজাগ ছিলেন তাতে এই সম্ভাবনা খুব কম। অন্যদিকে এদিন দেহ উদ্ধারের পর গ্রামে উত্তেজনা ছড়ানোর পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশি পিকেট বসানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
advertisement
আরও পড়ুন - Birbhum News : কম খরচে স্ট্যাচু অফ ইউনিটি সহ আট জায়গা ভ্রমণের সুযোগ, IRCTC-র নয়া প্যাকেজ
মৃত শিশুর বাবা শম্ভু ঠাকুর এবং মমতা ঠাকুরের দুই ছেলে। বড় ছেলের নাম সুপ্রিয় ঠাকুর (১০)। শম্ভু ঠাকুর পেশায় একজন নাপিত। পেশার তাগিদে তিনি প্রতিদিন বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। তবে এই ঘটনার পর প্রশ্ন উঠছে কেন ওই মহিলা শুভমকে এমন নৃশংস ভাবে খুন করল? যদিও এই বিষয়ে পুলিশ সুপার নগেন্দ্র ত্রিপাঠি জানিয়েছেন, ওই মহিলাকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে এবং তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পরই কারণ সামনে আসবে।
advertisement
Madhab Das
view commentsLocation :
First Published :
September 21, 2022 12:40 PM IST