#বাঁকুড়া : আষাঢ়ের শেষ লগ্নেও বাঁকুড়ায় ভারী বৃষ্টি নেই।ফলে মাথায় হাত জেলার আমন চাষীদের। বৃষ্টির অভাবে বিঘার পর বিঘা জমিতে ধান পোঁতার কাজ শুরুই করতে পারেন নি অনেক চাষীরা। জেলার কৃষি দপ্তরের হিসেব অনুযায়ী জেলায় এবার আমন চাষে ধান রোপনে ব্যপক ঘাটতি রয়েছে।অঙ্কের হিসেবে গত বছর যেখানে ১৪ হাজার ৭৩৮ হেক্টর জমিতে ধান রোয়ার কাজ শেষ হয়ে গিয়েছিল। সেখানে এবার আজ পর্যন্ত মাত্র ৩৫৭ হেক্টর জমিতে আমন ধান রোয়ার কাজ শেষ করতে পেরেছেন জেলার চাষীরা।এই বিশাল ঘাটতির কারণ ভারী বর্ষনের অভাব।
এবার বর্ষার শুরু থেকেই বাঁকুড়ায় বৃষ্টির টান।আষাঢ় শেষ হতে চললেও ঝেঁপে বৃষ্টি জেলার কোথাও হয়নি এবার। ফলে ব্লকে,ব্লকে ধান চাষ ব্যহত হচ্ছে। জেলায় জুলাই মাসের বৃষ্টিপাতেও বিশাল ঘাটতি রয়েছে।জেলায় জুলাই মাসের বৃষ্টি পাতের স্বাভাবিক গড় যেখানে ২৯৯.৮মিমি সেখানে এপর্যন্ত বৃষ্টি পাতের হার মাত্র ৭৫ মিমি।তাই জুলাইয়ের বাকী দুই সপ্তাহে যদি দু,তিনটে ফেজে ভারী বৃষ্টি না পাওয়া যায়, তাহলে জেলায় এবছর আমন চাষ ব্যপক মার খাবে।
যদিও জেলার কৃষি দপ্তরের সহ অধিকর্তা দীপঙ্কর রায় জানান চাষীদের একেবারে ভেঙ্গে পড়ার কিছু নেই।অনেক সময় বিলম্ব বৃষ্টিতে আগস্টের শেষ পর্যন্ত ধান রোয়ার কাজ করেও আমন চাষ করার নজির আছে। তাছাড়া আগামী কদিনের মধ্যে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। তাই পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার এখনও সময় আছে।পাশাপাশি,জেলা জুড়ে কৃষি নির্দেশিকার প্রচার চলছে বলেও তিনি জানান। তবে কৃষি দপ্তরের এই শুকনো কথায় জমি ভিজবে না বলেই মনে করছেন চাষীরা। তাদের সাফ কথা জল না হলে এবার ধান চাষ মাঠেই মারা যাবে।
জয়জীবন গোস্বামী
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।