নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়, বাঁকুড়া: বাঁকুড়ার লোকসঙ্গীতের নক্ষত্র পতন। প্রবাদপ্রতিম ব্যক্তিত্ব সর্বজন শ্রদ্ধেয় সুভাষ চক্রবর্তী পাড়ি দিলেন না ফেরার দেশে । বাঁকুড়াবাসীর কাছে এ বড় দুঃখের সময়। শুধু বাঁকুড়া নয় , তাঁর লোকসঙ্গীতে মুগ্ধ হতেন আপামর বাঙালি। অমর শিল্পীর পরলোক গমন স্তব্ধ করে দিয়েছে বাঁকুড়া তথা রাজ্যের সাংস্কৃতিক মহলকে।
বাঁকুড়ার বেলিয়াতোড়ের শ্যামবাজার, মণ্ডল পাড়ায় ১৯৫২ সালের ২৩ জানুয়ারি এই মহান শিল্পীর জন্ম। বেলিয়াতোড় হাই স্কুলের থেকে পড়াশোনা৷ তারপর সোনামুখী কলেজ থেকে কলা বিভাগে স্নাতক৷ ছেলে বেলা থেকেই গানের জন্যে পাগল ছিলেন। সঙ্গীতশিল্পী বাবা প্রয়াত গোবর্ধন চক্রবর্তীর কাছেই সঙ্গীত শিক্ষার শুরু। তবলা দিয়ে শুরু করলেও পরবর্তী কালে লোকসঙ্গীত নিয়েই সারাজীবন কাজ করেছেন সুভাষবাবু।
আরও পড়ুন : গণ্ডারের আক্রমণে জিপ দুর্ঘটনা, জলদাপাড়ায় কি বন্ধ হচ্ছে জঙ্গল সাফারি, জানুন বন দফতরের সিদ্ধান্ত
বাঁকুড়ার সোনার সন্তান শ্রদ্ধেয় সুভাষ চক্রবর্তীর গাওয়া "লাল পাহাড়ির দেশে যা" গানটি কে শোনেনি! উত্তরের শিলিগুড়ি এবং দার্জিলিং থেকে দক্ষিণে সুন্দরবন পর্যন্ত বাংলার রন্ধ্রে রন্ধ্রে মিশে গেছে এই গানটি। সুন্দর একটি ইতিহাস জড়িয়ে আছে এই গানটি রচনার পিছনে। বাঁকুড়ার এই কিংবদন্তি শিল্পী গেয়েছেন 'বাঁকুড়ার মাটিকে পেণাম করি দিনে দুপুরে', "গুতাই দিবেক কানা কাঁড়াটা" এই সব বিশ্বজোড়া লোকসঙ্গীত।
আরও পড়ুন : ক্যানসার আক্রান্ত বাবা হাসপাতালে, বাড়িতেই উদ্ধার মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী কিশোরীর ঝুলন্ত দেহ
এরকম এক শিল্পীকে হারিয়ে আজ বাকরুদ্ধ বাঁকুড়া। না ফেরার দেশে চলে গেলেও তাঁর আমৃত্যু লোকসঙ্গীত নিয়ে করে যাওয়া তাঁর কাজ হৃদয়ে গেঁথে থাকবে আগামী শত সহস্র বছর। অমর হয়ে থাকবেন মহান শিল্পী।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Bankura, Folk artist