Bankura News: অপূর্ব সুন্দর এই পাথরের বাঁশি, তোলা যায় সুরও! কী কী বিশেষত্ব রয়েছে? দেখে নিন
- Published by:Sayani Rana
- hyperlocal
- Reported by:Nilanjan Banerjee
Last Updated:
বাঁকুড়ার এক শিল্পী গোটা একটা পাথরকে কেটে তৈরি করেছেন একটি বাঁশি। বাঁশির গায়ে খোদাই করা রয়েছে অপূর্ব কারুকার্য। আর বাঁশির মতই সুন্দর সুর তোলা যায় এই পাথরের বাঁশি দিয়েও।
বাঁকুড়া: বাঁকুড়ার এক শিল্পী গোটা একটা পাথরকে কেটে তৈরি করেছেন একটি বাঁশি। বাঁশির গায়ে খোদাই করা রয়েছে অপূর্ব কারুকার্য। আর বাঁশির মতই সুন্দর সুর তোলা যায় এই পাথরের বাঁশি দিয়েও। পাথর দিয়ে তৈরি হলেও অত্যন্ত নৈপুণ্যের সঙ্গে পাথরের ভিতরটা খোদাই করে বাঁশির ছিদ্রগুলি তৈরি করা হয়েছে যাতে হাওয়া যাতায়াত করে সুরের মূর্ছনা তুলতে পারে।
শুশুনিয়া গ্রামের ঐতিহ্যবাহি শিল্প ‘পাথর শিল্প’। পাথর শিল্পী অভীক কর্মকার প্রায় ২১০ দিন ধরে ধৈর্যের সঙ্গে পাথর খোদাই করে বানিয়েছেন এই বাঁশিটি। অপূর্ব দর্শন এই বাঁশির জন্য ক্ষুদ্র, ছোট এবং মাঝারি উদ্যোগ অধিকার পশ্চিমবঙ্গ কারুশিল্প প্রতিযোগিতা ২০২৩-২০২৪-এ বাঁকুড়ার শিল্পী অভীক কর্মকার প্রথম স্থান অধিকার করেছেন। এছাড়াও এই বাঁশি রাজ্য স্তরেও পেয়েছে প্রথম পুরস্কার। বাঁকুড়ার শুশুনিয়ায় এই পাথর শিল্পীর তৈরি করা আশ্চর্য বাঁশিটি দেখে অবাক হয়েছেন অনেকেই।
advertisement
advertisement
পাথরের তৈরি হলেও ওজনে বেশ হালকা এই বাঁশিটি। বাঁশির গায়ে খোদাই করা রয়েছে শ্রী কৃষ্ণের জীবনের বেশ কিছু অংশ। এই বিষয়ে শিল্পী অভীক কর্মকার বলেন, বাঁশি মানেই কৃষ্ণ। সেই কারণেই কংস বধ থেকে শুরু করে শ্রী কৃষ্ণের নানা রূপ ফুটিয়ে তোলা হয়েছে পাথরের বাঁশিতে। পাথরের মধ্যেও যে বাঁশির সুর আনা সম্ভব সেটাই ভাবতে পারেননি শিল্পী নিজেই। এক প্রকার পরীক্ষামূলক ভাবে তৈরি করার পর তিনি বুঝতে পারেন যে এই বাঁশি বাজিয়ে তোলা যায় সুরও।
advertisement
বাঁকুড়ার ছাতনা থানার এক গ্রাম শুশুনিয়া। এখানেই রয়েছে ৪৪০ মিটার উঁচু শুশুনিয়া পাহাড় – এটি পূর্ব-পশ্চিমে প্রায় তিন কিলোমিটার লম্বা। পাহাড়ের পাদদেশে শুশুনিয়া গ্রামে পেয়ে যাবেন নামকরা সব পাথর শিল্পীদের। অভীক কর্মকার তাঁদের মধ্যে অন্যতম।
advertisement
নীলাঞ্জন ব্যানার্জী
Location :
Kolkata,West Bengal
First Published :
March 29, 2024 7:07 PM IST