Rahu Ketu Pooja: রাহু কেতুর প্রভাবে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জীবন! কোথায় গেলে পাবেন মুক্তি, জীবন ফের সুখ, আনন্দে ভরে উঠবে জানুন...

Last Updated:

Rahu Ketu Pooja: অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীকালহস্তী মন্দির রাহু-কেতু পূজার জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। এটি এক পবিত্র আচার যা জন্মছকে রাহু ও কেতুর অশুভ প্রভাব, বিশেষ করে কালসর্প দোষ কমানোর উদ্দেশ্যে করা হয়। বহু ভক্ত বিশ্বাস করেন, এই পূজা করলে জীবনের বাধা-বিপত্তি দূর হয় এবং শুভ ফল লাভ করা যায়।

রাহু কেতুর প্রভাবে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জীবন! কোথায় গেলে পাবেন মুক্তি, জীবন ফের সুখ, আনন্দে ভরে উঠবে জানুন...
রাহু কেতুর প্রভাবে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জীবন! কোথায় গেলে পাবেন মুক্তি, জীবন ফের সুখ, আনন্দে ভরে উঠবে জানুন...
শ্রীকালহস্তী, হেমন্ত কুমার: রাহু-কেতু পূজা মূলত জটিল এক আচার, যেখানে ভগবান শিবের আরাধনা করা হয় এবং রাহু ও কেতুর উদ্দেশ্যে বিশেষ প্রার্থনা নিবেদন করা হয়। এই পূজাটি মন্দিরের পুরোহিতদের তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত হয়। পূজার জন্য মন্দির কর্তৃপক্ষ বিশেষ উপকরণ প্রদান করে, যার মধ্যে রূপার তৈরি সাপ, কাপড়, ফুল ও শস্যদানা থাকে।
ভক্তদের বিশ্বাস, এই পূজা করলে আধ্যাত্মিক কল্যাণ ঘটে এবং জীবনের বিভিন্ন বাধা দূর হয়। এটি বিশেষভাবে উপকারী তাদের জন্য, যাঁরা ব্যক্তিগত ও কর্মজীবনে নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন।
কখন এবং কীভাবে এই পূজা করা হয়? শ্রীকালহস্তী মন্দিরে প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত রাহু-কেতু পূজা করা হয়। ভক্তরা ৫০০ টাকা থেকে ৫,০০০ টাকা পর্যন্ত মূল্যের টিকিট কিনে এই পূজাতে অংশ নিতে পারেন। টিকিটের মূল্যের ভিত্তিতে ভক্তদের সংখ্যা নির্ধারিত হয় এবং যাঁরা ব্যক্তিগতভাবে পুরোহিতের সহায়তায় পূজা করতে চান, তাঁদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে।
advertisement
advertisement
মন্দিরের টিকিট কাউন্টার থেকে সরাসরি টিকিট কেনা যায়। তবে ভক্তদের অবশ্যই ঐতিহ্যবাহী পোশাকে পূজায় অংশ নিতে হয়। পুরুষদের জন্য ধুতি বা কুর্তা-পাজামা এবং মহিলাদের জন্য শাড়ি বা পাঞ্জাবি পোশাক পরিধান বাধ্যতামূলক।
advertisement
বিশেষ আকর্ষণ ও আধ্যাত্মিক গুরুত্ব – শ্রীকালহস্তী দেবস্থানম পূজার জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ প্রদান করে। বিশেষত চন্দ্র ও সূর্যগ্রহণের সময় এই মন্দিরে বিশেষ পূজা ও অভিষেক অনুষ্ঠিত হয় এবং মন্দির খোলা থাকে।
এই পূজা অন্যান্য শিব মন্দিরের তুলনায় একেবারেই অনন্য। পণ্ডিতদের মতে, শ্রীকালহস্তী মন্দিরে শ্রী বায়ু লিঙ্গেশ্বর স্বয়ং বিরাজমান আছেন, যা এক বিশেষ আধ্যাত্মিক শক্তির প্রতীক। এটি দক্ষিণ কাশী হিসেবে পরিচিত এবং এখানে পাঁচ উপাদানের মধ্যে বায়ুর প্রতীক হিসেবে মহাদেব বিরাজ করছেন। ভক্তদের ইচ্ছাপূরণে ভগবান শিব কোনও পরীক্ষা নেন না বলেই তাঁকে “ভোলা শংকর” বলা হয়।
advertisement
শ্রীকালহস্তী মন্দিরের ইতিহাস – শ্রীকালহস্তী মন্দিরের ইতিহাস বহু শতাব্দী ধরে বিস্তৃত। পল্লব বংশের শাসনকালে এই মন্দির নির্মিত হয়েছিল বলে মনে করা হয়। মূল মন্দিরটি ৫ম শতকে স্থাপিত হয়েছিল, তবে বাইরের অংশ চোল ও বিজয়নগর শাসকদের আমলে, ১২শ শতকে নির্মিত হয়। এই মন্দির বহু রাজবংশের অধীনে সংস্কার ও সম্প্রসারণের মাধ্যমে তার ঐতিহ্য ধরে রেখেছে। মন্দিরের স্থাপত্য পল্লব, চোল ও বিজয়নগর স্থাপত্যশৈলীর সংমিশ্রণে তৈরি।
advertisement
আজ, শ্রীকালহস্তী মন্দির ভারতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ তীর্থস্থান। এটি বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে আসা ভক্তদের আকর্ষণ করে। রাহু-কেতু পূজার বিশেষ মাহাত্ম্য ও আধ্যাত্মিক শক্তি এই মন্দিরকে আরও বিশেষ করে তুলেছে। যাঁরা জীবনে বাধা-বিপত্তির সম্মুখীন হচ্ছেন, তাঁদের জন্য এই পূজা এক শুভ সুযোগ এনে দেয়, যা শান্তি ও ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে।
Click here to add News18 as your preferred news source on Google.
জ্যোতিষশাস্ত্র সংক্রান্ত সব খবর পান নিউজ 18 বাংলায় ৷ যার মধ্যে রয়েছে আজকের রাশিফল (Ajker Rashifal), জ্যোতিষসংক্রান্ত টিপস, গ্রহরত্ন ( Gemstone ) এবং ট্যারো কার্ড ( Tarot Card ) ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং সব গুরুত্বপূর্ণ খবর নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ এর পাশাপাশি ডাউনলোড করতে পারেন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস-এ ৷ News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে ক্লিক করুন এখানে ৷
view comments
বাংলা খবর/ খবর/জ্যোতিষকাহন/
Rahu Ketu Pooja: রাহু কেতুর প্রভাবে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জীবন! কোথায় গেলে পাবেন মুক্তি, জীবন ফের সুখ, আনন্দে ভরে উঠবে জানুন...
Next Article
advertisement
MGNREGA: মনরেগাকে ধ্বংস করেছে মোদি সরকার! কোটি কোটি কৃষক শ্রমিকদের স্বার্থে আঘাত, কেন্দ্রের নয়া ‘কালো আইনের’ বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ডাক সনিয়ার
মনরেগাকে ধ্বংস করেছে মোদি সরকার! ‘কালো আইনের’ বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ডাক সনিয়ার
  • মনরেগা প্রকল্পের নাম বদল নিয়ে এবার মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সরব সোনিয়া গান্ধি

  • কংগ্রেসে নেত্রীর দাবি, মনরেগা প্রকল্পকে কার্যত ধ্বংস করে দিল বিজেপি

  • প্রকল্পকে বদলের আইনকে ‘কালো আইন (ব্ল্যাক ল)’ বলে উল্লেখ্য সোনিয়ার৷

VIEW MORE
advertisement
advertisement