পঞ্জিকা ২৯ ডিসেম্বর: দেখে নিন নক্ষত্রযোগ, শুভ মুহূর্ত, রাহুকাল এবং দিনের অন্য লগ্ন

Last Updated:

পঞ্চ অঙ্গের সমাহার, তাই জ্যোতিষশাস্ত্রের ভাষায় একে বলা হচ্ছে পঞ্চাঙ্গ বা পঞ্চিকা, সেখান থেকে অপভ্রংশে পঞ্জিকা। আদতে এটি গ্রহ-নক্ষত্র, বিশেষ করে চান্দ্র-সৌর অবস্থানের উপরে ভিত্তি করে রচিত প্রাচীন দিনপঞ্জি।

Panjika
Panjika
কলকাতাঃ পঞ্চ অঙ্গের সমাহার, তাই জ্যোতিষশাস্ত্রের ভাষায় একে বলা হচ্ছে পঞ্চাঙ্গ বা পঞ্চিকা, সেখান থেকে অপভ্রংশে পঞ্জিকা। আদতে এটি গ্রহ-নক্ষত্র, বিশেষ করে চান্দ্র-সৌর অবস্থানের উপরে ভিত্তি করে রচিত প্রাচীন দিনপঞ্জি। যেখানে উল্লেখ মুহূর্তের। প্রচলিত বিশ্বাস- এই মুহূর্তগুলিতে যে কাজ করা হচ্ছে, সেই অনুসারে শুভাশুভ ফললাভ হয়ে থাকে।
আরও পড়ুনঃ তৈরি হচ্ছে বুধ-রাহুর সবচেয়ে অশুভ যোগ, নতুন বছরে এই ৩ রাশিকে থাকতে হবে সাবধানে
এই সংক্রান্ত আলোচনায় আসার আগে আরেকটি কথা একটু ব্যাখ্যা না করলেই নয়। বলা তো হচ্ছে পাঁচটি অঙ্গ, কিন্তু এগুলো আসলে কী?
ভারতীয় দিনপঞ্জির এই পাঁচটি অঙ্গ হল তিথি, বার, নক্ষত্র, যোগ এবং করণ। সেই অনুসারে ২৯ ডিসেম্বরের কিছুটা পড়েছে ১৪৩০ বঙ্গাব্দের পৌষ মাসের কৃষ্ণপক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে, বঙ্গাব্দের তারিখ ১২ পৌষ। এই বঙ্গাব্দ গণনা করা শুরু হয়েছিল পঞ্জিকা নির্ণয়ের প্রথম এবং প্রাচীন পদ্ধতি সূর্যসিদ্ধান্ত অনুসারে, পরবর্তীকালে যাকে সংস্কার করে প্রতিষ্ঠিত হয় দৃকসিদ্ধান্ত বা বিশুদ্ধসিদ্ধান্ত মত। বাংলার জনমানসে বহুল জনপ্রিয়তার কারণে এখানে সূর্যসিদ্ধান্তসম্মত ফলাফল উল্লেখ করা হল। বার হল শুক্র এবং এই দ্বিতীয়া তিথি থাকবে ২৯ ডিসেম্বর সকাল ৭টা ০১ মিনিট পর্যন্ত। এর পরে শুরু হয়ে যাবে কৃষ্ণপক্ষের তৃতীয়া তিথি।
advertisement
advertisement
সূর্যসিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে ২৯ ডিসেম্বর সূর্যোদয় হবে সকাল ৬টা ১৯ মিনিটে, সূর্যাস্ত হবে বিকাল ৪টে ৫৭ মিনিটে। অন্য দিকে, চন্দ্রোদয় হবে ২৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৭টা ০৬ মিনিটে। চন্দ্র অস্ত যাবে ৩০ ডিসেম্বর সকাল ৮টা ৫০ মিনিটে।
এই ১৪৩০ বঙ্গাব্দের পৌষ মাসের কৃষ্ণপক্ষের দ্বিতীয়া তিথির নক্ষত্র হল পুষ্যা। ৩০ ডিসেম্বর, রাত ৩টে ০৯ মিনিট পর্যন্ত পুষ্যা নক্ষত্রের অবস্থান থাকবে। এর পরে তিথিতে অবস্থান করবে অশ্লেষা নক্ষত্র।
advertisement
সূর্য অবস্থান করবেন ধনু রাশিতে। চন্দ্র অবস্থান করবেন কর্কট রাশিতে।
শুভ মুহূর্ত- সূর্যসিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে ২৯ ডিসেম্বর মাহেন্দ্রযোগ পড়েনি। অমৃতযোগ ২৯ ডিসেম্বর পড়েছে সকাল ৬টা ১৯ মিনিট – সকাল ৭টা ০২ মিনিট, সকাল ৭টা ৪৪ মিনিট – সকাল ৯টা ৫২ মিনিট, সকাল ১১টা ৫৯ মিনিট – দুপুর ২টো ৪৯ মিনিট, দুপুর ৩টে ৩১ মিনিট – বিকেল ৪টে ৫৬ মিনিট, বিকেল ৫টা ৫০ মিনিট – রাত ৯টা ২৪ মিনিট পাঁচ সময়ে। এই মাহেন্দ্রযোগ এবং অমৃতযোগকে বাংলা পঞ্জিকার অন্যতম পুণ্যলগ্ন বলে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। যে কোনও নতুন কাজ, শুভ কাজ শুরু করার এটি প্রকৃষ্ট সময়।
advertisement
অশুভ মুহূর্ত- সূর্যসিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে ২৯ ডিসেম্বর রাহুকাল বা কালবেলা পড়েছে সকাল ১০টা ১৮ মিনিট – সকাল ১১টা ৩৮ মিনিট কালীন সময়ে। এই সময়ে নতুন কোনও কাজ শুরু করাটা ঠিক হবে না।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/জ্যোতিষকাহন/
পঞ্জিকা ২৯ ডিসেম্বর: দেখে নিন নক্ষত্রযোগ, শুভ মুহূর্ত, রাহুকাল এবং দিনের অন্য লগ্ন
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement