Alipurduar News: ঝর্না ঝোরার জল বেড়ে যাওয়ায় ঘুম উড়েছে জয়গাঁবাসীর!
- Published by:Soumabrata Ghosh
Last Updated:
ভুটান সীমান্ত জয়গাঁ ঝর্ণাবস্তি এলাকায় ঝর্ণা ঝোরার জল বেড়ে যাওয়ায় এলাকায় তৈরি হয়েছে আতঙ্কের পরিবেশ। জয়গাঁ শহর শুরু হয় ঝর্না বস্তি এলাকা থেকে। শহরের সূচনাপ্রান্তে এমন ঘটনা ঘটতে থাকায় দুশ্চিন্তায় এলাকাবাসীরা।
#আলিপুরদুয়ার : ভুটান সীমান্ত জয়গাঁ ঝর্ণাবস্তি এলাকায় ঝর্ণা ঝোরার জল বেড়ে যাওয়ায় এলাকায় তৈরি হয়েছে আতঙ্কের পরিবেশ। জয়গাঁ শহর শুরু হয় ঝর্না বস্তি এলাকা থেকে। শহরের সূচনা প্রান্তে এমন ঘটনা ঘটতে থাকায় দুশ্চিন্তায় এলাকাবাসীরা। জয়গাঁর এই এলাকায় একপাশে ঝর্না বস্তি ও অন্য প্রান্তে ভুটান। ঝর্ণাবস্তির গার্ড ওয়াল ভেঙে গিয়ে সড়ক অর্ধেক অংশ ঝোরার জলে বিলীন হয়েছে। ভাঙন এগোচ্ছে ঘরের দিকে চিন্তায় রাতের ঘুম উড়েছে এলাকাবাসীদের। ভুটান পাহাড় থেকে জল এসে ক্ষতিগ্রস্ত করছে এলাকা। বারবার প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েও মিলছে না সাহায্য বলে অভিযোগ এলাকাবাসীদের।
এলাকার এক বাসিন্দা আবু হোসেন জানান, "বেশ কয়েকদিন থেকে এই ক্ষতি হচ্ছে। সোমবার সকাল থেকে জল বেড়ে আবার ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে । বাসিন্দারা জানান ভুটান পাহাড় থেকে প্রবল স্রোতে জল নেমে এসে এই এলাকায় ক্ষয়ক্ষতি করে । ভুটান পাহাড়ের জলে গার্ড ওয়াল ভেঙ্গে ক্রমাগত ভাঙ্গন হচ্ছে।" গ্ৰামবাসীদের আশঙ্কা যদি শীঘ্রই ব্যবস্থা না নেওয়া যায়, তাহলে পুরো এলাকা ঝর্ণা ঝোরার ভাঙ্গনে বিলীন হতে বেশি সময় লাগবে না। প্রায় রোজই এলাকায় ভাঙন চলছে ঝর্না ঝোরার জলে। তবুও প্রশাসনের তরফে কেউ আসছে না।
advertisement
advertisement
পুজোর ছুটি চলছে তারা জানেন, কিন্তু এগুলো মেনে নেওয়া যায় না বলে জানান এলাকাবাসীরা। জলপাইগুড়ির মালবাজারে হড়পা বানে প্রাণহানির খবরের পরেও জয়গাঁর হড়পা বান পরিস্থিতির খবর পেয়ে কেন চুপ প্রশাসন? প্রশ্ন তুলেছেন এলাকাবাসীরা। ঝর্ণা বস্তির রাস্তা পাঁচশো মিটার চওড়া। ঝোরার ভাঙনে একশো মিটারের ওপরে রাস্তা ভেঙে গিয়েছে। আফসানা বিবি নামের এক এলাকাবাসী জানান, "ভোট চাইতেই আসেন নেতারা। এলাকায় জল বেড়ে গিয়ে রাস্তা ভেঙে পড়ছে সেদিকে কারও হুঁশ নেই। এই এলাকায় পাকা বাঁধ না দিলে যেকোনও সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটে যাবে।"
advertisement
আরও পড়ুনঃ অক্টোবরে ডেঙ্গি শূন্য কালচিনি ব্লক! ঘোষণা স্বাস্থ্য আধিকারিকের
রশিদ মিয়াঁ নামের অপর এক এলাকাবাসী জানান, "গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফে পাকা বাঁধের আশ্বাস দিয়ে ভোট নেওয়া হয়। ভোট পেরলেই আমাদের কথা কারও মনে থাকে না। প্রায় একশ মিটার রাস্তা নেই। নদীর জলে সব শেষ। এগুলো কেউ দেখছে না।" যদিও এ বিষয়ে জয়গাঁ দুই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
advertisement
Annanya Dey
Location :
First Published :
October 11, 2022 1:39 PM IST