Alipurduar: ভারী বর্ষণে জলের তোড়ে ভেসে গেল নদীর উপর বাঁশের সাঁকো!
Last Updated:
ভারী বর্ষণের ফলে বৃহস্পতিবার জলের তোড়ে ভেসে গেলো আলিপুরদুয়ার জেলার ফালাকাটা ব্লকের ডুডুয়া নদীর উপর সাধুরঘাটের বাঁশের সাঁকোর বেশ কিছুটা অংশ। বিপাকে প্রায় হাজারের ওপরের মানুষজন।
আলিপুরদুয়ারঃ ভারী বর্ষণের ফলে বৃহস্পতিবার জলের তোড়ে ভেসে গেলো আলিপুরদুয়ার জেলার ফালাকাটা ব্লকের ডুডুয়া নদীর উপর সাধুরঘাটের বাঁশের সাঁকোর বেশ কিছুটা অংশ। বিপাকে প্রায় হাজারের ওপরের মানুষজন। জানা গিয়েছে, গত দুদিন ধরে আলিপুরদুয়ার জেলায় ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। ভরে উঠেছে জেলার ছোটো,বড় বিভিন্ন নদীর জল।সাধুরঘাটের বাঁশের সাঁকোটি নড়বড়ে ছিল আগের থেকেই। প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে এই সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করতেন এলাকার বাসিন্দারা। এই সাঁকো পেরলেই যোগাযোগ স্থাপন করা যায় ধুপগুড়ি ও খগেনহাটের সঙ্গে। ফালাকাটা ব্লকের ডুডুয়া নদীর ওপর এই সাঁকোটিকে পাকা সেতু করার দাবি এলাকাবাসীদের। এই দাবি বহুদিন ধরে প্রশাসনের কাছে জানিয়ে আসছেন তারা।ডুডুয়া নদীর বাঁশের সাঁকোটি দিয়ে শুধুমাত্র পায়ে হেঁটে নয়,সাইকেল নিয়ে পারাপার করতেন অনেকে।ইদানীংকালে বাইক নিয়ে চলাচল হচ্ছিল বাঁশের সাঁকো টি দিয়ে।বাইক আসতে দেখলেই পথচারী ও সাইকেল আরোহীরা দাঁড়িয়ে পড়তেন পাড়ের কোনো স্থানে।নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে বাইক চললেই তা দুলতে শুরু করত।পথচারীদের মতে,বাইক দেখলেই আতঙ্কিত হয়ে পড়তে হতো।মনে হত সাঁকো ভেঙে পড়বে। ফালাকাটা ব্লকের ধনীরামপুর 2 নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ডুডুয়া নদীর উপর বাঁশের সাঁকো জলের তোড়ে ভেসে যাওয়ার খবর মিলতে এদিন এলাকাবাসীদের ভীড় জমে সাধুরঘাটে।সাঁকোটি আদৌ ঠিক হবে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।
কারণ-দীর্ঘ কুড়ি বছর ধরে ডুডুয়া নদীর ওপর সেতুর দাবি জানিয়ে আসছেন এলাকাবাসীরা।কিন্তু পাকা সেতু আর মেলেনি।এদিন এই ঘটনা ঘটায় ভীষণ অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীদের। বর্তমানে পাঁচ থেকে ছয় কিমি পথ ঘুরপথে শিলবাড়ি ঘাট হয়ে ধূপগুড়ি এবং খগেনহাট যেতে হবে। নয়তো আংরাভাসা হয়ে ধুপগুড়ি তে যেতে হবে। এতটা ঘুরপথ হয়ে কেউই ধূপগুড়ি,খগেনহাট যেতে চাইছেন না।
advertisement
আরও পড়ুনঃ জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনার বলি বেপরোয়া বাইক চালক
বাঁশের সাঁকো মেরামত না হলে ডুডুয়া নদীতে নৌকা নামানোর দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসীরা। প্রশান্ত রায় নামের এক এলাকাবাসী জানান,\"প্রতিদিনের ন্যায় সকালবেলা এসেছিলাম সাধুরঘাটে।এসেই দেখি জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে সাঁকোর বেশ কিছু অংশ।আর কি করব ঘুরপথেই যেতে হবে ধূপগুড়িতে।\"
advertisement
advertisement
আরও পড়ুনঃ আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটা জটেশ্বরে গরুহাটিতে জল জমায় সমস্যায় ব্যবসায়ীরা
ফালাকাটা ব্লকের সাধুরঘাট প্রায় চল্লিশ বছরের পুরোনো।কুড়ি বছর আগে তৈরি হয় বাঁশের সাঁকো। তার আগে সাধুরঘাটে পারাপারের জন্য ব্যবহার হতো নৌকার। ঘাটের মালিক সাধু রায়ের দাবি, \"ধুপগুড়ি ও খগেনহাট এলাকার মোট ১ হাজার লোক দৈনিক এই পথে যাতায়াত করেন। জনগণের সুবিধার্থে শীঘ্রই নদীতে নৌকা নামানো হবে বলে তিনি জানান।\"
advertisement
Ananya Dey
Location :
First Published :
June 02, 2022 8:00 PM IST