আলিপুরদুয়ার: শুধু পদার্থবিদ্যা নয়,গণিত এবং পদার্থবিদ্যা এই দুই বিষয় নিয়ে গবেষণা করতে চায় আলিপুরদুয়ারের অভীক দাস। মাধ্যমিকে রাজ্যে চতুর্থ স্থান অধিকারী অভীক এই দুই বিষয় নিয়ে বিদেশে পড়াশুনো ও গবেষণা করতে চায় সে। আগামীতে আলিপুরদুয়ারের মুখ বিশ্বে উজ্জ্বল করার লক্ষ্য অভীকের। অভিক দাসের বাবা প্রবীর দাস পেশায় শিক্ষক, মা গৃহবধূ। একমাত্র ছেলের পড়াশুনোর সব আবদার মেনে নেন তারা। ছেলের ওপর জোর কোনোদিন করতেন না। সে যতটুকু সময় পড়তে চাইত, ততটুকু সময় পড়ত অভীক। ছেলের ওপর বিশ্বাস আগের থেকেই ছিল। মাধ্যমিকে রাজ্যে চতুর্থ আলিপুরদুয়ার জেলার অভীক দাস শহরের ৫ নং ওয়ার্ডের পূর্ব আনন্দনগড় এলাকার বাসিন্দা। আলিপুরদুয়ার শহরের ম্যাকউইলিয়াম হাই স্কুলের ছাত্র সে।
তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৯০। বাংলাঃ ৯৫ ইংরেজিঃ ১০০ অঙ্কঃ ১০০ ভৌতবিজ্ঞানঃ ১০০ জীবন বিজ্ঞানঃ ৯৯ ইতিহাসঃ ৯৬ ভূগোলঃ ১০০ নম্বর পেয়েছে সে। করোনা পরিস্থিতি পেরিয়ে এবছরের মাধ্যমিক পরীক্ষা অফলাইনে হওয়ায় খুশি অভীক। তার মতে পরীক্ষা অফলাইনে হলেই তার সঠিক মুল্যায়ন হয়। মাধ্যমিক পরীক্ষার দিনক্ষণ ঘোষণা হওয়ার আগে পরীক্ষা অনলাইনে হবে এমন রব উঠেছিল পড়ুয়া মহলে।
আরও পড়ুনঃ ভারী বর্ষণে জলের তোড়ে ভেসে গেল নদীর উপর বাঁশের সাঁকো!
মনটা খারাপ হয়ে গিয়েছিল অভীকের। তারপর মাধ্যমিক পরীক্ষা অফলাইনের সিদ্ধান্তে সরকারি শীলমোহর পড়তে মন আনন্দে ভরে ওঠে অভীকের। প্রস্তুতি শুরু হয় জোরকদমে। দিনে সাত ঘন্টা পড়াশুনো। আর বাকি সময়টা ক্রিকেটার বিরাট কোহলির সেরা ম্যাচ ইউটিউবে দেখে সময় কাটত অভীকের। আবার কোনো সময় রহস্য গল্প পড়েই মন হালকা করত অভীক।
আরও পড়ুনঃ ডেঙ্গু আক্রান্তের হদিশ মিলল কালচিনি ব্লকে, এলাকায় ঘুরে তড়িঘড়ি ব্যবস্থা প্রশাসনের
পাঁচটি বিষয়ের জন্য টিউশন থাকলেও অঙ্ক ও ভৌতবিঞ্জান বাবার কাছে পড়ত অভীক। শুধু পাঠ্য বই নয় অঙ্ক ও ভৌতবিঞ্জানের জন্য অন্যান্য রেফারেন্স বই পড়তে ভালোবাসে অভীক। প্রথম থেকেই দুটো বিষয়ের প্রতি ভালোবাসা অভীকের।
Ananya Deyনিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।