হড়পা বানের আতঙ্কে বাঁকুড়াবাসী, ঘরছাড়া অন্তত ৪০০ মানুষ
Last Updated:
যে নদীতে জল না থাকা নিয়ে বিস্তর অভিযোগ। সেই গন্ধেশ্বরী নদীই যে ফুঁসে উঠবে, ভাবতেই পারেননি বাঁকুড়ার মানুষ। এখন মেঘ ডাকলেই তাড়া করছে হড়পা বানের আতঙ্ক ।
#বাঁকুড়া: যে নদীতে জল না থাকা নিয়ে বিস্তর অভিযোগ। সেই গন্ধেশ্বরী নদীই যে ফুঁসে উঠবে, ভাবতেই পারেননি বাঁকুড়ার মানুষ। এখন মেঘ ডাকলেই তাড়া করছে হড়পা বানের আতঙ্ক । সকাল থেকে বৃষ্টি না হওয়ায় জল নেমেছে। কিন্তু খাবেন কি, থাকবেন কোথায়? সঙ্গী দুশ্চিন্তা।
বিপদ এসেছিল হঠাৎ। কূল-কিনারা করে ওঠার আগেই ভেসেছে একূল-ওকূল। গন্ধেশ্বরী নদীর আচমকা হড়পা বানে তছনছ বাঁকুড়ার জুনবেদিয়া, কেশিয়াকোল। লন্ডভন্ড জীবন। নিমেষে নিঃস্ব মানুষজন। বানভাসিদের বড় জ্বালা। পেটের জ্বালা। চাল-ডাল-চিড়ে-মুড়ি সব যে জলের তলায়
advertisement
নদী নিয়ে গিয়েছে সব। পড়াশোনার খাতা,বিমার কাগজ, আধার কার্ড, ভোটার কার্ড ভেসে গিয়েছে স্রোতে। কেশিয়াকোলের চোখে শূন্য দৃষ্টি।
advertisement
গন্ধেশ্বরীকে কেশিয়াকোলের মানুষ চিনতেন শান্ত নদী হিসেবে। কখনও কখনও জলই থাকত না। সেই নদীর চণ্ডাল রূপ নিয়ে হতবাক মানুষজন। বিভিন্ন জায়গা থেকে নেমেছে জল। কিন্তু বাড়ির ভিতর জমেছে কাদা। সঙ্গে জলবাহিত রোগের চিন্তা। উঁচু জায়গায় স্কুলবাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন বানভাসিরা। ঘরছাড়া অন্তত চারশ মানুষ।
advertisement
গন্ধেশ্বরী নদীর উপর সতীঘাটে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক ও ১৩ নম্বর রাজ্য সড়ক জুড়ে আছে কংক্রিটের সাঁকো। জলের তোড়ে ভেঙেছে তাও। বিটুমিনের আস্তরণ ভেঙে বেরিয়ে পড়েছে ইট-সিমেন্ট-বালি।
মাথার উপর ছাদ নেই। পেটে খাবার নেই। উঠেছে ত্রাণের দাবি।
সোমবার শালী ও দামোদরের জলে প্লাবিত হয়েছিল মেজিয়া ও গঙ্গাজলঘাঁটি। বৃষ্টি না হলেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। বাইশটি গ্রামের মানুষ চরম দুর্ভোগে। গঙ্গাজলঘাঁটিতে শালী নদীর উপর সাঁকো ভেঙে যাওয়ায় প্রায় তিরিশ কিলোমিটার ঘুরপথে চলাচল করতে হচ্ছে।
view commentsLocation :
First Published :
August 07, 2018 3:47 PM IST