Parenting Tips: সন্তানকে শাসন করতে কিল, চড়, ঘুঁষি, ভবিষ্যত নষ্ট করছেন নিজেই
Last Updated:
শিশুরা (Kids) সাদা পাতার মতো। অভিভাবকরা (Parenting Tips) সেখানে যা লিখবেন, সে তাই শিখবে...
#নয়াদিল্লি: সে এক সময় ছিল। যখন বাবা-মায়ের (Parenting Tips) ছড়িই শাসন করত বাচ্চাদের। একটু এদিক ওদিক হলেই পটাংপটাং। কাঠের স্কেলের বাড়ি, দু আঙুলের ফাঁকে পেনসিল ঢুকিয়ে চাপ দেওয়া, চুলের মুঠি ধরে পিঠে কিল, চড়, ঘুঁষি, সঙ্গে অহরহ গালিগালাজ (Negetive Punishment)। অভিভাবকরা (Parenting Tips) মনে করতেন, এসব না হলে বাচ্চা মানুষ হবে না।
এখন সময় বদলে গিয়েছে। ডিজিটাল যুগ। হাতেও হাতে স্মার্ট ফোন। ছোটরা এখন আগের তুলনায় অনেক বেশি স্মার্ট। জ্ঞান হওয়ার পর থেকেই সে গোটা বিশ্বকে জানছে, বুঝছে। ফলে বয়সের তুলনায় তারা অনেক বেশি পরিণত। তাই বেদম ঠ্যাঙালেই (Negetive Punishment) বাচ্চা (Kids) মানুষ হবে, এই ধারনাও এখন বদলে গিয়েছে। বরং এতে শিশুমনে নেতিব্যাক প্রভাব (Negetive Punishment) পড়ার স্মভাবনাই বেশি। তবে এখনও ছোটদের (Kids) মার খাওয়া কমেনি। বাড়িতে হামেশাই শাসনের নামে তাদের গায়ে হাত দেওয়া হয়। আর একটু একটু করে বদলে যেতে থাকে শিশু (Kids) মন।
advertisement
আরও পড়ুন - Weight Loss: কিছুতেই কমছে না ওজন! কোরিয়ান ‘K Pop’ ডায়েটের কথা জানেন না, ঝরঝরিয়ে ঝরবে মেদ
advertisement
কী করবে না নয় কী করবে
শাস্তির (Negetive Punishment) ধারণা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। বাচ্চাদের মেরেধরে বোঝানো হয় যে এটা করা ভুল। তার বদলে কোনটা ঠিক, কোন পরিস্থিতিতে বাচ্চা কীকরবে তাকে সেটা শেখাতে হবে। শাস্তি না দিয়ে সেটা সংশোধন (Parenting Tips) করে দিতে হবে।
advertisement
আরও পড়ুন - Panchangam 25 January: পঞ্জিকা ২৫ জানুয়ারি: দেখে নিন নক্ষত্রযোগ, শুভ মুহূর্ত, রাহুকাল এবং দিনের অন্য লগ্ন!
দায়িত্ববোধ গড়ে তুলতে হবে
ধরা যাক, সন্তানকে কোনও কাজ করতে বললেও তাতে আমল দিচ্ছে না। এতে অভিভাবক বিরক্তি-রাগ প্রকাশ করে ফেলেন। বার বার কেন? চোখের দিকে তাকিয়ে একবার বললেই হবে। এই প্রক্রিয়াটা ছোট বয়স থেকে অভ্যেস করালে সমস্যা হবে না।
advertisement
পছন্দের জিনিস কেড়ে নেওয়া
এটা খুব ভুল পদক্ষেপ। তবে বেশিরভাগ অভিভাবকই এটা করে থাকেন। সন্তানের কোনও ভুলের শাস্তি দিতে তার পছন্দের জিনিস বা খেলনা কেড়ে নেন। ধরা যাক, সন্তান বইপত্র ছেড়ে সারাক্ষণ মোবাইল মুখে বসে আছে। শাস্তি দিতে মোবাইলটা কেড়ে রেখে দেন। এমনটা বারবার হলে, সন্তান শিখবে না কিছুই, বরং অন্য উপায়ে দুষ্টুমি করবে।
advertisement
সবার সামনে বকাঝকা
হয় তো ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গেছে, কিন্তু তারপরেও সবার সামনে বাচ্চাকে বকাঝকা করা ঠিক নয়। এটা ওদের ইগোয় লাগে।
মারধর
একবার দু'বার বাচ্চাকে মারধর মেনে নেওয়া যায়, কিন্তু বারবার নয়। বরং কোন ভুল সে বারবার করছে, সেটা ধরিয়ে দিতে হবে। মারধর থেকে ছোটদের মধ্যে উগ্র ভাব, হিংসা তৈরি হয়। কঠোর গলায় চোখের দৃষ্টিতে বুঝিয়ে দিতে হবে আপত্তির কারণ।
advertisement
গালিগালাজ নয়
অনেক সময়ই রেগে গিয়ে অভিভাবকদের মুখ দিয়ে এমন সব শব্দ বের করেন যা কহতব্য নয়। এতে কোনও লাভ তো হয়ই না উল্টে ক্ষতি হয়। শিশুরা নতুন জিনিস খুব তাড়াতাড়ি শেখে। সে যখন এই সব শব্দ জনসমক্ষে বলবে তখন লজ্জার মুখে পড়তে হবে অভিভাবককেই।
কঠোর নিয়ম আরোপ
view commentsশিশুরা (Kids) সাদা পাতার মতো। অভিভাবকরা (Parenting Tips) সেখানে যা লিখবেন, সে তাই শিখবে। শৃঙ্খলা শেখাতে গিয়ে কঠোর নিয়ম আরোপ করা ঠিক আছে, কিন্তু শাস্তি দিতে গিয়ে কঠোর নিয়ম চাপালে তা অনেক সময় ভালো নাও হতে পারে।
Location :
First Published :
January 25, 2022 12:30 PM IST