Dinesh Karthik Tragic Love Story: ম্যাচের মাঝে এই ভারতীয় ক্রিকেটার জানতে পারেন প্রিয় বন্ধুর সঙ্গে স্ত্রী পরকীয়ায় ব্যস্ত, পেটের সন্তানও তার নয়! তারপর যা হল...
- Published by:Sounak Chakraborty
- news18 bangla
Last Updated:
Dinesh Karthik Love Story: প্রথম স্ত্রীর প্রতারণায় ভেঙে পড়েছিলেন এই ভারতীয় ক্রিকেটার। কিন্তু স্কোয়াশ তারকা দীপিকা পল্লিকলের সঙ্গে প্রেমে পড়ে নতুন করে জীবন শুরু করেন তিনি। জানুন সেই গল্প...
advertisement
1/16

ভারতীয় ক্রিকেটার দিনেশ কার্তিকের জীবন শুধু মাঠেই নয়, ব্যক্তিগত জীবনেও ছিল রুদ্ধশ্বাস এক গল্পে ভরপুর। একদিকে যখন তিনি ক্রিকেটের শিখরে উঠছেন, তখন অন্যদিকে তাঁর প্রথম বিয়ে ভেঙে পড়েছিল। তবে সেই কষ্টকে শক্তি বানিয়ে তিনি ফের একবার জীবন ও ক্যারিয়ারে কামব্যাক করেন।
advertisement
2/16
দিনেশ কার্তিক, যাঁর আসল নাম কৃষ্ণকুমার দিনেশ কার্তিক, জন্মগ্রহণ করেন চেন্নাইয়ের একটি তেলেগু পরিবারে। মাত্র ১০ বছর বয়স থেকেই ক্রিকেট খেলা শুরু করেন। ২০০৪ সালে ভারতের জাতীয় দলে অভিষেক ঘটে তাঁর। তিনি ভারতের হয়ে ৩০০টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলা চতুর্থ ব্যাটসম্যান।
advertisement
3/16
আইপিএল-এ দিল্লি ডেয়ারডেভিলস দলের হয়ে খেলা শুরু করেন তিনি। পরে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবে যোগ দিয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দামি খেলোয়াড় হন ২০১১ সালে। দিনেশ তাঁর ঘরোয়া এবং আন্তর্জাতিক কেরিয়ারে বহু রেকর্ড গড়েছেন।
advertisement
4/16
তবে পিচের বাইরে তাঁর জীবন ছিল ভীষণ কষ্টের। তাঁর প্রথম বিবাহ ভেঙে যাওয়ার পরে তিনি ভেঙে পড়েছিলেন। সেই ব্যক্তিগত ট্র্যাজেডির প্রভাব পড়েছিল তাঁর খেলার উপরেও। চলুন দেখা যাক তাঁর জীবনের সেই কঠিন সময়ের গল্প।
advertisement
5/16
দিনেশ কার্তিকের প্রথম স্ত্রী ছিলেন নিকিতা ভাঞ্জারা। তাঁরা ছিলেন শৈশবের বন্ধু। পরে তাঁদের বন্ধুত্ব প্রেমে পরিণত হয় এবং ২০০৭ সালে মাত্র ২১ বছর বয়সে দিনেশ বিয়ে করেন নিকিতাকে।
advertisement
6/16
বিয়ের প্রথম কয়েক বছর ভালোই কাটছিল। কিন্তু পাঁচ বছর পর শুরু হয় সমস্যার। এই সময় নিকিতা প্রেমে পড়েন দিনেশের টিমমেট এবং ঘনিষ্ঠ বন্ধু মুরলি বিজয়ের। এই সম্পর্কেই ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় দিনেশের দাম্পত্য।
advertisement
7/16
২০১২ সালে বিজয় হাজারে ট্রফির গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ চলাকালীন দিনেশ জানতে পারেন যে তাঁর স্ত্রী নিকিতা এবং বন্ধু মুরলি বিজয়ের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। এই খবর ছিল তাঁর জীবনের সবচেয়ে বড় ধাক্কা।
advertisement
8/16
এই ঘটনার পর দিনেশ নিকিতার সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন। বিচ্ছেদের সময় তিনি জানতে পারেন, নিকিতা মুরলির সন্তানের মা হতে চলেছেন। তবুও তিনি পুরো বিষয়টি গোপন রাখেন এবং সম্মানের সঙ্গে সম্পর্ক শেষ করেন।
advertisement
9/16
এরপর নিকিতা বিয়ে করেন মুরলি বিজয়কে। ২০১৩ সালে তাঁদের প্রথম সন্তান নিভার জন্ম নেয়। পরে তাঁদের মেয়ে ইভা এবং ২০১৭ সালে দ্বিতীয় পুত্র আরাভের জন্ম হয়।
advertisement
10/16
এই ঘটনার পরে দিনেশ একেবারে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। তিনি ডিপ্রেশনে চলে যান, জিমে যাওয়া বন্ধ করেন এবং ক্রিকেট প্র্যাকটিস থেকেও দূরে সরে যান। এর ফলস্বরূপ তিনি ভারতীয় দল থেকেও বাদ পড়েন।
advertisement
11/16
ঠিক সেই সময়ে তাঁর বন্ধু এবং মেন্টর অভিষেক নায়ার তাঁকে আবার নতুন করে জীবন শুরু করতে সাহায্য করেন। জিমে ফেরার পথে দিনেশের দেখা হয় স্কোয়াশ খেলোয়াড় দীপিকা পল্লিকলের সঙ্গে।
advertisement
12/16
একই কোচ বাসু শঙ্করের অধীনে তাঁদের ট্রেনিং শুরু হয়। দীপিকা শুরুতে দিনেশকে এড়িয়ে চলতেন, কিন্তু ধীরে ধীরে তাঁদের বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। দীপিকা জানান, একবার তিনি কানাডায় একটি টুর্নামেন্ট জিতে লিডসে ট্রেনিং করতে গিয়েছিলেন, তখন দিনেশ তাঁকে দেখতে সেখানেও হাজির হন। এই ঘটনার পর থেকেই তিনি দিনেশের প্রতি দুর্বল হয়ে পড়েন।
advertisement
13/16
২০১৩ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ের পর লন্ডনে দিনেশ দীপিকাকে প্রপোজ করেন। পরে তাঁরা চেন্নাইয়ে এনগেজমেন্ট করেন এবং ২০১৫ সালে দু’টি ভিন্ন রীতিতে বিয়ে করেন—১৮ আগস্ট খ্রিস্টান মতে এবং ২০ আগস্ট হিন্দু তেলেগু রীতিতে।
advertisement
14/16
২০২১ সালে দিনেশ এবং দীপিকা যমজ সন্তানের অভিভাবক হন। তাঁরা ছেলেদের নাম রাখেন কবীর পল্লিকল কার্তিক এবং জিয়ান পল্লিকল কার্তিক। দীপিকা সন্তানসম্ভবা হওয়ার পর খেলা থেকে বিরতি নেন।
advertisement
15/16
দিনেশ শুধু ব্যক্তিগত জীবনেই নয়, পেশাগত জীবনেও আবার কামব্যাক করেন। ঘরোয়া ক্রিকেটে দুর্দান্ত পারফর্ম করে আবার জাতীয় দলে ফেরেন এবং ২০২২ সালের আইপিএল-এ রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর তাঁকে ৫.৫ কোটি টাকায় দলে নেয়। তিনি আইপিএলে দ্বিতীয় উইকেটরক্ষক হিসেবে ১৫০টি ডিসমিসালের রেকর্ড গড়েন।
advertisement
16/16
দিনেশ কার্তিকের জীবন কাহিনি একটি বড় অনুপ্রেরণা। ব্যক্তিগত জীবনের কঠিন অধ্যায়কে কাটিয়ে উঠে তিনি প্রমাণ করেছেন—ক্রিকেটই তাঁর প্রথম ভালোবাসা এবং জীবনের যেকোনো পরিস্থিতিতে কামব্যাক করা সম্ভব।