Mosambi Cultivation: খরচ কম, যা টাকা বিনিয়োগ করবেন লাভ তার তিনগুণ বেশি! এই ফল চাষ করলে ফিরে তাকাতে হবে না 

বর্তমানে চাষের জগতে এক নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে ভিয়েতনামী প্রজাতির মুসাম্বি লেবু। সাধারণ মুসাম্বি লেবুর তুলনায় এই প্রজাতির লেবুতে ফলনের পরিমাণ অনেক বেশি। যত্নসহকারে চাষ করলে প্রতি মাসেই মোটা টাকা রোজগার করা সম্ভব। চাষিদের দাবি, এই চাষের মাধ্যমে একদিকে যেমন কর্মসংস্থান তৈরি হবে, অন্যদিকে কৃষকেরা হবেন আরও স্বনির্ভর। তথ্য ও ছবি বনোয়ারীলাল চৌধুরী।

এই বিশেষ ভিয়েতনামী মুসাম্বি লেবু বছরে একবার বা দু’বার নয়, বরং তিনবার পর্যন্ত ফলন দিতে সক্ষম। পূর্ব বর্ধমান জেলার পূর্বস্থলীর সংকর মহাদেব নামক একটি নার্সারিতে এই লেবু গাছ পাওয়া যাচ্ছে। সেখানে ইতিমধ্যেই দূর-দূরান্ত থেকে কৃষকেরা আসছেন গাছ কিনতে। নার্সারির কর্ণধার সংকর দত্ত জানিয়েছেন, “দেশী মুসাম্বি লেবুর তুলনায় এই প্রজাতির লেবুতে রস অনেক বেশি এবং স্বাদও তুলনামূলকভাবে মিষ্টি।” তথ্য ও ছবি বনোয়ারীলাল চৌধুরী।

লেবুর বহুমুখী ব্যবহার ও পুষ্টিগুণের কারণে প্রায় সারা বছরই বাজারে এর চাহিদা থাকে। বিশেষ করে গরমকালে মুসাম্বি লেবুর দাম থাকে বেশ চড়া। ফলে এই চাষে লাভের সম্ভাবনাও অনেক বেশি। সংকর দত্তের কথায়, “এই ভিয়েতনামী মুসাম্বি গাছের দামও রয়েছে সাধ্যের মধ্যে। মাত্র ২০০ টাকা থেকে গাছ কেনা যায়।” তথ্য ও ছবি বনোয়ারীলাল চৌধুরী

নার্সারির মালিকের দাবি, এই গাছ লাগানোর দুই থেকে তিন বছরের মধ্যেই পূর্ণাঙ্গ ফলন পাওয়া সম্ভব। একবার ফল আসা শুরু হলে বছরে একাধিকবার প্রচুর ফলন হবে। দেশীয় লেবুর তুলনায় এর উৎপাদন ক্ষমতা বেশি হওয়ায় চাষের খরচ তুলনায় লাভ অনেকটাই বেশি। ফলে এই নতুন জাতের মুসাম্বি লেবু চাষে অনেকেই আগ্রহী হচ্ছেন। তথ্য ও ছবি বনোয়ারীলাল চৌধুরী

চাষিদের মতে, সাধারণ পাতি লেবুর তুলনায় এই ভিয়েতনামী মুসাম্বিতে রসের পরিমাণ বেশি থাকে, ফলে বাজারে এর চাহিদাও দ্রুত বাড়ছে। বছরে একাধিকবার ফলন ও তুলনামূলকভাবে কম যত্নে ভালো ফলন পাওয়া যায় বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ভবিষ্যতে এই লেবু চাষই হতে পারে বাংলার কৃষকদের নতুন আশার আলো। তথ্য ও ছবি বনোয়ারীলাল চৌধুরী।