Snake Bite: চন্দ্রবোড়া সাপে কামড়ালেও বাঁচার সম্ভাবনা! আতঙ্ক নয়, কয়েক মিনিটের মধ্যে করুন এই ৫ কাজ

বর্তমানে বর্ষা ও বর্ষা-পরবর্তী সময়ে গ্রামে মাঠে চাষের কাজ করতে গিয়ে সাপে কামড়ানোর ঘটনা বাড়ছে। বিশেষ করে চন্দ্রবোড়া বা রাসেল ভাইপার সাপের নাম শুনলেই গ্রামীণ জনজীবনে ভয়ের সঞ্চার হয়। কিন্তু এই আতঙ্ক যে অনেকটাই অমূলক, সেই বার্তাই দিলেন খয়রাশোল ব্লকের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ সৈয়দ সঞ্জয় হোসেন।

ডাঃ হোসেন জানিয়েছেন, “চন্দ্রবোড়া সাপে কামড়ালেই যে বড় ধরনের বিপদ হবে, এমন নয়। অনেক ক্ষেত্রেই কোনও জটিলতা হয় না। তবে সময়মতো চিকিৎসা নেওয়াই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।” তিনি আরও সতর্ক করেন যে সাপে কামড়ালে কিছু সাধারণ ভুল কখনও করা উচিত নয়।

যেমন, দড়ি দিয়ে বাঁধা, সুতো বা কাপড় দিয়ে কামড়ানোর জায়গা শক্ত করে বাঁধবেন না। এতে রক্ত সঞ্চালন বন্ধ হয়ে হাত বা পা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

কামড়ানোর জায়গা মুখে নিয়ে বিষ চুষে ফেলার চেষ্টা করবেন না। এতে বিষ শরীরে প্রবেশের ঝুঁকি বেড়েই চলে। এছাড়াও ঝাড়ফুঁক বা তান্ত্রিকের কাছে যাবেন না। এতে সময় নষ্ট হয় এবং রোগীর অবস্থা খারাপ হতে পারে।

ডাঃ হোসেনের কথায়, “সাপে কামড়ালে প্রথমেই শান্ত থাকুন। যতটা সম্ভব ক্ষতিগ্রস্ত অংশ নড়াচড়া না করিয়ে স্থির রাখুন। কাঠির সাহায্যে হাত বা পা সাপোর্ট দিয়ে স্থির করা যেতে পারে। এরপর দ্রুত নিকটবর্তী হাসপাতালের শরণাপন্ন হোন।”

খয়রাশোল ব্লকের নাকড়াকোন্দা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র, দুবরাজপুর গ্রামীণ হাসপাতাল ও অন্যান্য স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সাপে কামড়ানোর চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত অ্যান্টি-স্নেক ভেনম মজুত রয়েছে। হাসপাতালে পৌঁছানোর পর ২০ মিনিটের মধ্যে প্রয়োজনীয় রক্ত পরীক্ষা করে বিষ ছড়িয়েছে কিনা তা নির্ণয় করা হয় এবং প্রয়োজনে দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা হয়।

ডাঃ হোসেনের কথায়, "চন্দ্রবোড়া সাপে কামড়ালেও আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। সঠিক চিকিৎসা পেলে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই রোগী সুস্থ হয়ে ওঠেন। তাই সময় নষ্ট না করে তাড়াতাড়ি হাসপাতালে যান।" (তথ্য- সুদীপ্ত গড়াই)