IMD Weather Update: রাতের মধ্যেই ধেয়ে আসছে তুমুল বৃষ্টি...! নিম্নচাপের রক্তচক্ষুতে সপ্তাহান্তে তছনছ কলকাতা-সহ বাংলা? জানিয়ে দিল আলিপুর

*বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ তৈরি পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং সংলগ্ন উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের প্রভাব। শক্তিশালী হয়ে সরবে উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ এবং দক্ষিণ ওড়িশা উপকূলে। নিম্নচাপের টানে বাংলা ছেড়ে ওড়িশায় মৌসুমী অক্ষরেখা।

*বাংলার মৎস্যজীবীদের জন্য বাংলা উপকূলে কোন সতর্কবার্তা নেই। তবে মৎস্যজীবীদের উত্তর-পশ্চিম ও পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং ওড়িশা ও অন্ধ্র উপকূলের মাছ ধরতে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। ১৫ অগাস্ট শুক্রবার পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের নিষেধাজ্ঞা।

*আজও অতি ভারী বৃষ্টি উত্তরবঙ্গে এবং দক্ষিণবঙ্গে বিক্ষিপ্তভাবে দুই জেলায়। শুক্রবার থেকে উত্তরবঙ্গে এবং শনিবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি কমবে। বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা মাঝারি বৃষ্টি চলবে। বাতাসে জলীয় বাষ্প থাকায় বৃষ্টি না হলে অস্বস্তি থাকবে।

*উত্তরবঙ্গে আজ বুধবার দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার এবং জলপাইগুড়িতে অতি ভারী বৃষ্টির সর্তকতা। মালদহ ও দুই দিনাজপুরেও ভারী বৃষ্টির সতর্কতা। বৃহস্পতিবার দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়িতে বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস।

*শুক্র এবং শনিবার বৃষ্টি কিছুটা কমবে। বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টি হতে পারে। রবিবার ও সোমবার ভারী বৃষ্টি বিক্ষিপ্তভাবে। দার্জিলিং-সহ ওপরের পাঁচ জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি।দক্ষিণবঙ্গে আজ নদিয়া ও মুর্শিদাবাদে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা। কলকাতা-সহ বাকি জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি চলবে শুক্রবার পর্যন্ত।

*বৃহস্পতিবার বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা। শুক্রবার বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা বাড়বে। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি থাকবে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, এবং হাওড়ায়। শনিবার থেকে বৃষ্টি আরও কমবে দক্ষিণবঙ্গে।

*উত্তরবঙ্গের প্রবল বৃষ্টি হলেও সেই বৃষ্টি রেকর্ড নয়। প্রতিবছরই বর্ষার সময় এরকম বৃষ্টি হয়। দার্জিলিং, কালিম্পংয়ের পার্বত্য এলাকায় ধস নামার আশঙ্কা। সিকিমেও ধসের আশঙ্কা। নিচু এলাকা প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা। বিভিন্ন রোডে আন্ডারপাস এবং নীচু এলাকার নদী সংলগ্ন এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা।

*ভারী বৃষ্টির কারণে নদীর জল স্তর বাড়বে। তিস্তা তোর্সা জলঢাকা নদীতে জলস্তর বাড়বে। ভারী বৃষ্টির কারণে দৃশ্যমানতা কমবে। দার্জিলিং ও পাহাড়ের বিশেষ করে পাহাড়ি রাস্তায় ভারী বৃষ্টির কারণে দৃশ্যমানতা অনেকটা কমবে।