দাম ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা...! বর্ষা না আসতেই বাজারে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ, ওজন কত? আসছে কোথা থেকে?
- Published by:Sanjukta Sarkar
- hyperlocal
- Reported by:Saikat Shee
Last Updated:
Ilish: দাম ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা। ওই ছোট ইলিশগুলিই কাঁথি, পিছাবনি, বালিসাই, দিঘা, রামনগর, এগরার মত বিভিন্ন অঞ্চলের বাজারে চোরাগোপ্তা পৌঁছেছে পাইকারদের হাত ধরে। আর এতেই প্রভূত ক্ষতির আশঙ্কা করছেন মৎস্যজীবীরা।
advertisement
1/8

অসময়ে বাজার ছেয়েছে খোকা ইলিশে। নদী বা সমুদ্রে মাছ শিকারের নিষেধাজ্ঞা পিরিয়ড চলছে। কিন্তু এই সময় দিঘা থেকে কাঁথি, হলদিয়া থেকে তমলুক জেলার সব বাজারেই টাটকা তাজা খোকা ইলিশের রমরমা। সবই সমুদ্র থেকে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ধরে আনা ইলিশ।
advertisement
2/8
২০০-৩০০ কিংবা ৪০০-৫০০ গ্রাম ওজন। দাম ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা। ওই ছোট ইলিশগুলিই কাঁথি, পিছাবনি, বালিসাই, দিঘা, রামনগর, এগরার মত বিভিন্ন অঞ্চলের বাজারে চোরাগোপ্তা পৌঁছেছে পাইকারদের হাত ধরে। আর এতেই প্রভূত ক্ষতির আশঙ্কা করছেন মৎস্যজীবীরা।
advertisement
3/8
মৎস্যজীবীরা বলছেন, 'ব্যান পিরিয়ডে টাটকা ইলিশের অভাবে হিমায়িত ইলিশের উপর নির্ভর করতে হয়, যা অনেকেরই অপছন্দ। এই সুযোগে পাইকাররা আগাম টাকা দিয়ে টাটকা ইলিশের জোগান নিশ্চিত করে।' শঙ্করপুরের এক মৎস্যজীবী স্পষ্টতই স্বীকার করেছেন, লাভের আশায় তাঁরা নৌকা ও জাল নিয়ে সমুদ্রে বেরিয়ে পড়েন। কিন্তু তাঁরা বোঝেন না বা বোঝার চেষ্টা করেন না যে এতে তাদেরই ক্ষতি হচ্ছে।
advertisement
4/8
১৫ এপ্রিল থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত ৬১ দিনের ব্যান পিরিয়ড ইলিশ-সহ সামুদ্রিক অন্যান্য মাছের প্রজনন ও সুরক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই এই সময়ে মাছ ধরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ হলেও একাংশ অসাধু মৎস্যজীবী ছোট নৌকা ও ভুটভুটি নিয়ে নিষিদ্ধ সীমারেখা পেরিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ।
advertisement
5/8
তাঁদের এই বেপরোয়া কার্যকলাপে স্পষ্টতই বোঝা যায়, নজরদারিতেও বড়সড় ত্রুটি রয়েছে। অবাধ ও অপরিকল্পিত মৎস্য শিকারের ফলে নদী, সমুদ্রের প্রাকৃতিক মৎস্য সম্পদ এমনিতেই সংকটের মুখে, তার উপর এই ধরনের কার্যকলাপ ভবিষ্যতে আরও ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি করবে বলে মনে করছেন অনেকে।
advertisement
6/8
মৎস্যজীবীদের কথায়, নিষিদ্ধ ইলিশের এই চোরাচালান ও কালোবাজারি সমুদ্ররানি ইলিশের অস্তিত্বের জন্য সত্যিই আশঙ্কার। দক্ষিণবঙ্গ মৎস্যজীবী ফোরামের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা শাখার সম্পাদক দেবাশীষ শ্যামল জানান, "অসময়ে এই খোকা ইলিশ ধরার প্রবণতা মূলত বিপদে ফেলছে মৎস্যজীবীরা নিজেদেরই। কারণ মাছের প্রজনন ও বংশবিস্তার না হলে রুজি রোজগার হারাবেন মৎস্যজীবীরা। তবে এক্ষেত্রে সরকারকে আরও সচেষ্ট ভূমিকা পালন করতে হবে। এই সময়ে মৎস্যজীবীদের জীবিকা নির্বাহ করতে সমুদ্র সাথী প্রকল্পের ঘোষিত টাকা পৌঁছে দিতে হবে।"
advertisement
7/8
ছোট ইলিশ ধরা দণ্ডনীয় অপরাধ। কাঁথির সহ-মৎস্য আধিকারিক (সামুদ্রিক) সুমন সাহা জানিয়েছেন, ধরা পড়লে জরিমানা ছাড়াও নৌকা বা ট্রলারের লাইসেন্স বাতিল হতে পারে। বিভিন্ন মৎস্যজীবী সংগঠনও এই অনৈতিক কার্যকলাপে ক্ষুব্ধ।
advertisement
8/8
দিঘা ফিশারম্যান অ্যান্ড ফিশ ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক শ্যাম সুন্দর দাস অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি তুলেছেন। সব মিলিয়ে এই অসময়ে বাজারে ছেয়েছে টাটকা তাজা খোকা ইলিশ যা চিন্তায় ফেলে দিয়েছে মৎস্যজীবীদের।সৈকত শী
বাংলা খবর/ছবি/দক্ষিণবঙ্গ/
দাম ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা...! বর্ষা না আসতেই বাজারে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ, ওজন কত? আসছে কোথা থেকে?