ইলশেগুড়ির বৃষ্টি ও পূবালী হাওয়া! জালে উঠবে টন টন চওড়া পেটের ইলিশ, আশায় মৎস্যজীবীরা

জালে বিপুল পরিমাণে ইলিশ পড়ার আসায় সাগরে পারি দিল মৎস্যজীবীরা। বেশ কিছুদিন আবহাওয়ার সতর্কতা থাকায় সাগরে যেতে পারছিলেন না মৎস্যজীবীরা। ফলে একটু অসুবিধায় পড়েছিলেন তাঁরা।

এই মুহূর্তে উত্তর বাংলাদেশ ও সংলগ্ন অঞ্চলের উপর একটি ঘূর্ণাবর্ত অবস্থান করছে। এর প্রভাবে বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প স্থলভাগে ঢুকছে। ফলে বৃষ্টির অনুকূল পরিস্থিতি রয়েছে।

তবে আগামী কয়েকদিন সে রকম কোনও সতর্কতা নেই‌‌। এর আগে আবহাওয়া খারাপের সতর্কতা পেয়েই উপকূলে ফিরেছিল ট্রলারগুলি। আর তার পরে বদলে গিয়েছিল বাজারের পরিবেশ। বাজারে এসেছিল বিপুল পরিমাণে ইলিশ।

এবারেও ইলিশ আসবে বলে মনে করছেন মৎস্যজীবীরা। এ নিয়ে মৎস্যজীবী সংগঠনের পক্ষ থেকে অলোক হালদার জানিয়েছেন, পরিস্থিতি ভাল রয়েছে। এবার ইলিশ বেশি পরিমাণে জালে আসবে।

ইলশেগুড়ির বৃষ্টি ও পূবালী হাওয়ার কারণে মাছ ভাল পরিমাণে ধরা পড়বে বলে মনে করছেন সকলেই। এর আগের বারে যত মাছ এসেছিল সেই মাছের সাইজও ভাল ছিল।

তবে আবহাওয়ার পরিবর্তন হওয়ায় সমুদ্র থেকে ফিরে আসতে হয়েছে মৎস্যজীবীদের। তা না হলে আরও বেশি মাছ উঠত। এ নিয়ে কাকদ্বীপ ফিশারম্যান ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিজন মাইতি জানিয়েছেন, গত চারবছর ধরে সমুদ্রে এত মাছের ঝাঁক দেখা যায়নি। এবার আবহাওয়া খারাপ থাকায় একাধিকবার ফিরতে হয়েছে মৎস্যজীবীদের। তবে এবার ভাল ইলিশ ধরা পড়বে বলে আশাবাদী তিনি। (তথ্য-নবাব মল্লিক)