advertisement
1/6

♦ পবিত্র শ্রাবণ মাস পালন করেন হিন্দু ধর্মাবলম্বী অনেকেই। মহাদেবের প্রতি ভক্তি ও নিষ্ঠার প্রদর্শন-স্বরূপ শ্রাবণ মাস পালন করা হয়। এই মাসের প্রত্যেক সোমবার শিবরাত্রি হিসেবে দেখা হয় এবং শ্রাবণ মাসের প্রতি সোমবার উপবাস পালন করেন ধর্মপ্রাণ অনেক মানুষ।
advertisement
2/6
♦ শ্রাবণ মাস নিয়ে পুরাণে একটা গল্পকথা পাওয়া যায়। তা হল - একদা ঋষি মিরকাণ্ডু ও তাঁর স্ত্রী সন্তান লাভের আশায় শিবের আরাধনা শুরু করেন। তাঁদের কঠিন তপস্যায় খুশি হয়ে মহাদেব আশীর্বাদ দেন যে হয় তাঁরা প্রখর বুদ্ধিমত্তার স্বল্পজীবনের সন্তান পেতে পারেন অথবা অল্পবুদ্ধির দীর্ঘজীবনের সন্তান পেতে পারেন। মিরকাণ্ডু ও তাঁর স্ত্রী মারুদমতি স্বল্প আয়ুর বুদ্ধিমান সন্তান বেছে নেন। এরপরই জন্ম হয় মার্কণ্ডের।
advertisement
3/6
♦ শিশুকাল থেকেই মহাদেবের অত্যন্ত ভক্ত ছিলেন মার্কণ্ড। শিবলিঙ্গের সামনে একবার কঠিন তপস্যা শুরু করেন তিনি। সেই সময় যমদূতেরা তাঁকে নিতে আসে। কিন্তু মার্কণ্ডের তপস্যা ভঙ্গ করতে না পেরে ব্যর্থ হয়ে ফিরে যায় তারা।
advertisement
4/6
♦ ৩০ দিন পর খোদ যমরাজ আসেন মার্কণ্ডকে নিয়ে যেতে। কিন্তু তাঁর এমন একজন ভক্তকে তপস্যারত অবস্থায় বিরক্ত করার জন্য যমরাজকে শাস্তি দিতে নেমে আসেন স্বয়ং মহাদেব।
advertisement
5/6
♦ মার্কণ্ডের তপস্যার এই এক মাস শ্রাবণ মাস হিসেবে নির্ধারিত। এই সময়ে কিছু কিছু খাবার এড়িয়ে যাওয়া ভাল। যেমন বেগুন। তবে এর পেছনে ধর্মীয় কারণের পাশাপাশি বৈজ্ঞানিক ভিত্তিও রয়েছে। বর্ষাকালে বেগুন নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই এই সময় বেগুন না খাওয়াই ভাল।
advertisement
6/6
♦ এ ছাডা়ও শ্রাবণ মাসে কোনও দুগ্ধজাত দ্রব্য চেষ্টা করবেন না খেতে। আর শেষ যে খাবার এই সময় না খাওয়া ভালো তা হল সবুজ শাক-সব্জি। বৈজ্ঞানিক মত বলছে বর্ষাকালে সবুজ শাক-সব্জিতে পোকামাকড় ও ব্যাক্টেরিয়া বাসা বাঁধে। তাই এই সময় শাকসবজি খুব বেশি না খাওয়াই ভাল।