সন্ন্যাসী হতে মথুরায় এসেছিলেন, ৮ দিন পরে আশ্রমের ঘর থেকে বেরিয়ে কাঁদতে কাঁদতে বললেন 'ঘরে...'!

মথুরা: সন্ন্যাস নিতে চান। সেই ইচ্ছা নিয়ে মথুরায় এসেছিলেন যুবক। মথুরায় এসে তিনি বারসানার এক আশ্রমে থাকতে শুরু করেন। তার ৮ দিনের মাথাতেই ভয়ঙ্কর কাণ্ড! এ কী? কান্না থামতেই চায় না যুবকের।

বয়সে তরুণ হলেও তিনি সংসার ত্যাগ করে সন্ন্যাস গ্রহণ করতে চেয়েছিলেন। আশ্রমে এসে তিনি সন্ন্যাসী হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সব কাজও করতে শুরু করেন।

কিন্তু একদিন আশ্রমের এক সাধু তাঁকে একটি ঘরে আটকে রাখে। আট দিন পর যখন তিনি সেই ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন, তখন কাঁদতে কাঁদতে যা বললেন, তা শুনে সকলে হতবাক!

বারসানা থেকে সম্প্রতি যে ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে, তা গোটা দেশকে লজ্জায় ফেলবে। দিল্লি থেকে এসেছিলেন সেই যুবক, যিনি সন্ন্যাস গ্রহণের জন্য বারসানার এক আশ্রমে ছিলেন।

যুবকের অভিযোগ, আশ্রমেরই মহন্ত দ্বারা নিগৃহীত হয়েছেন। জানান, যখন তিনি পালানোর চেষ্টা করেন, তখন তাঁকে আটকে রাখা হয়।

এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ কেবল মারধরের মামলা দায়ের করেছে, কিন্তু ধর্ষণের কোনও ধারায় অভিযোগ গ্রহণ করেনি। নির্যাতিত সেই যুবক সিনিয়র সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশ (SSP)-এর কাছে ন্যায়বিচারের আবেদন জানিয়েছেন।

নির্যাতিত যুবক দিল্লির বাসিন্দা। কিছুদিন আগে তাঁর সঙ্গে দিল্লিতে এক সাধুর পরিচয় হয়, যাঁর নাম নিশান্ত ওরফে নন্দ গোপাল। এই ব্যক্তি বারসানার মহল বৃন্দাবন ভজন কুটির রাধা নগরীর মঠাধ্যক্ষ। অভিযোগ, নিশান্ত ওরফে নন্দ গোপাল যুবকটিকে বারসানায় এনে মহল বৃন্দাবন ভজন কুটির আশ্রমে রাখা শুরু করেন।

১২ জানুয়ারি, যখন আশ্রমের প্রধান মহন্ত রাধা মোহন দাস আশ্রম ছেড়ে যান, তখন নিশান্ত ওরফে নন্দ গোপাল ওই যুবককে ধর্ষণ করেন। পালানোর চেষ্টা করলে তাঁকে ঘরে আটকে রাখা হয়। যুবকের অভিযোগ, নিশান্ত ওরফে নন্দ গোপাল তরুণদের বৃহন্নলা বানানোর কাজ করেন এবং তাঁকেও বৃহন্নলা বানানোর চেষ্টা করেছিলেন।

যুবক সিনিয়র সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশ-এর কাছে ন্যায়বিচারের আবেদন করেছেন। তিনি জানান, পুলিশ এখন পর্যন্ত শুধুমাত্র মারধরের মামলা করেছে, কিন্তু ধর্ষণের কোনও ধারায় অভিযোগ নেয়নি।