জিভে ঠেকলেই মুখ বিকৃত করেন...জানেন, 'ওষুধ' কেন তেতো হয়? ৯৯ শতাংশ মানুষই বলতে পারবেন না!
- Published by:Tias Banerjee
Last Updated:
General Knowledge: ওষুধ খেতে গেলে প্রায়ই আমরা মুখ বিকৃত করি—কারণটা একটাই, বেশিরভাগ ওষুধই অত্যন্ত তেতো। কিন্তু জানেন কি, এর পিছনে রয়েছে বৈজ্ঞানিক কারণ?
advertisement
1/10

ওষুধের কথা উঠলেই অনেকের মুখ যেন স্বভাবতই বিকৃত হয়ে যায়। কারণ? তার তীব্র তেতো স্বাদ। ছোট থেকে বড়, প্রায় সকলেই একবার না একবার ওষুধ খেয়ে মুখ বাঁকিয়েছেন। তবে কখনও কি ভেবে দেখেছেন, ওষুধ কেন এত তেতো হয়? শুধু কেমিক্যালের জন্য, নাকি এর পিছনে রয়েছে আরও কোনও বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা? (Representative Image: AI)
advertisement
2/10
অনেকেই হয়তো ভাবেন, তেতো ওষুধই বেশি কার্যকর—কিন্তু আদৌ কি তা সত্যি? এই লেখায় আমরা জানব ওষুধের তেতো স্বাদের আসল কারণ, তার কার্যকারিতা, এবং কী ভাবে সেই তেতো স্বাদ থেকেও মুক্তি মেলে। (Representative Image: AI)
advertisement
3/10
ওষুধ খেতে গেলে প্রায়ই আমরা মুখ বিকৃত করি—কারণটা একটাই, বেশিরভাগ ওষুধই অত্যন্ত তেতো। কিন্তু জানেন কি, এর পিছনে রয়েছে বৈজ্ঞানিক কারণ? (Representative Image: AI)
advertisement
4/10
ওষুধ তৈরিতে ব্যবহৃত হয় নানা ধরনের রাসায়নিক ও যৌগ, যার ফলে স্বাদ হয় তিক্ত। এই উপাদানগুলির মধ্যে অনেকটাই প্রাকৃতিক উদ্ভিদ থেকে সংগৃহীত, আবার কিছু তৈরি হয় শিল্প-প্রক্রিয়ায়। এইসব রাসায়নিকের মধ্যে থাকে কোডিন, ক্যাফেইন, টারপিন–এর মতো অ্যালকালয়েড, যেগুলো স্বাভাবিকভাবেই তেতো। (Representative Image: AI)
advertisement
5/10
এই যৌগগুলি শরীরে প্রবেশ করে বিভিন্ন অঙ্গের উপর প্রভাব ফেলে এবং রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। কিন্তু মুখে ঢোকার সময় যখন এরা আমাদের স্বাদগ্রাহী কোষের সংস্পর্শে আসে, তখনই অনুভূত হয় তীব্র তেতো স্বাদ। (Representative Image: AI)
advertisement
6/10
অনেকেই মনে করেন শুধু কেমিক্যাল বা অ্যালোপ্যাথিক ওষুধই তেতো হয়। কিন্তু তা ঠিক নয়। প্রাকৃতিক বা হার্বাল ওষুধেও থাকে তেতো উপাদান। যেমন আয়ুর্বেদিক ক্বাথ বা ডিকোশন—নিম, গিলয়, ত্রিফলার মতো উপাদান স্বাভাবিকভাবেই অত্যন্ত তিক্ত। (Representative Image: AI)
advertisement
7/10
তবে ওষুধ যত বেশি তেতো, তত বেশি কার্যকর—এমন ভাবার কোনও কারণ নেই। কোনও ওষুধ কতটা কার্যকর হবে, তা নির্ভর করে সঠিক মাত্রায় খাওয়ার উপর, তেতো স্বাদের উপর নয়। (Representative Image: AI)
advertisement
8/10
তাহলে সব ওষুধ কি তেতো হয়? না। বিশেষ করে শিশুদের ওষুধকে মিষ্টি স্বাদে তৈরি করা হয় যাতে ওরা সহজে খেতে পারে। এজন্য সিরাপে চিনি বা মিষ্টি উপাদান মেশানো হয়। আবার অনেক ওষুধে বাইরে একধরনের চিনির প্রলেপ দেওয়া হয়, যাতে ট্যাবলেট মুখে তেতো লাগে না—এটাকে বলে সুগার-কোটিং। (Representative Image: AI)
advertisement
9/10
তবে যেসব ওষুধ অত্যন্ত তেতো, সেগুলোকে অনেক সময় ক্যাপসুলে দেওয়া হয়। ক্যাপসুলের বাইরের আবরণ সাধারণত নরম জেলাটিন দিয়ে তৈরি, যা মুখে কোনও তেতো স্বাদ রেখে যায় না এবং পাকস্থলীতে গিয়েই দ্রবীভূত হয়। ফলে সহজেই গেলা যায়। (Representative Image: AI)
advertisement
10/10
আয়ুর্বেদে আবার অতিরিক্ত তেতো ওষুধ মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়, যাতে সহজে খাওয়া যায়। সুতরাং, ওষুধ তেতো হলেও তার কার্যকারিতা নিয়ে চিন্তা করার কিছু নেই। বরং সঠিক নিয়মে খেলে ওষুধ শরীরের জন্য উপকারী হয়—স্বাদ যেমনই হোক না কেন! (Representative Image: AI)
বাংলা খবর/ছবি/পাঁচমিশালি/
জিভে ঠেকলেই মুখ বিকৃত করেন...জানেন, 'ওষুধ' কেন তেতো হয়? ৯৯ শতাংশ মানুষই বলতে পারবেন না!