সামনেই মহাদেবকে সন্তুষ্ট করার মাহেন্দ্র তিথি, জানুন শ্রাবণ শিবরাত্রির দিনক্ষণ ও পূজা পদ্ধতি

♦ শ্রাবণ মাসটিকে মহাদেবের মাস বলেই হিন্দুশ্রাস্ত্রে উল্লেখ রয়েছে ৷ এই মাসটিতে নিষ্ঠাভরে মহাদেবের পুজো করলে খুব সহজেই তাঁর কৃপা লাভ করা যায় ৷ এরই সঙ্গে শ্রাবণের সোমবারগুলির গুরুত্বও অপরিসীম ৷

♦ অনেকে ওই দিন ব্রত রাখেন। যা সোমেশ্বর ব্রত নামে পরিচিত। শিবপুরাণে সোমেশ্বর শব্দের দুটি মানে। এক, চাঁদকে সোমেশ্বর বলে। দুই, শিব। অনেকেই তাই মাসের প্রথম আর শেষ সোমবার শিবের পুজো করেন। কথিত আছে, এভাবে নিয়মিত মহাদেবের পুজো করলে তিনি তুষ্ট হয়ে ভক্তের সমস্ত পাপ ধুয়ে দেন।

♦ সামনেই রয়েছে শ্রাবণে শিবরাত্রি ৷ এ দিনটিতে নিময় মেনে শিবের ব্রত রাখলে সমস্তু অপূর্ণ আশা পূরণ হয় বলে শাস্ত্রজ্ঞরা বলেন ৷ জেনে নেওয়া যাক শ্রাবণ শিবরাত্রির দিনক্ষণ ৷

♦ পুজোর শুভ মুহূর্ত- ৩০ জুলাই সকাল ৯টা ১০ মিনিট থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত পুজো দিতে পারবেন। পাঁজি বলছে, এটাই শিবরাত্রি পালনের শ্রেষ্ঠ সময় বা মুহূর্ত।

♦ শ্রাবণ শিবরাত্রি ২০১৯-এর পূজাবিধি- শিব সহজেই তুষ্शिট হন। তাই তাঁর আরেক নাম ভোলানাথ। ভক্তিভরে তাঁকে ডাকলেই সমস্ত বিপদ থেকে ভক্তদের উদ্ধার করেন তিনি। তাই তাঁর পুজোর উপকরণ বা বিধিতে বেশি হাঙ্গামা নেই।

♦ কীভাবে অভিষেক করবেন- ওই দিন ভোরে উঠে স্নান করে শুদ্ধ পোশাক পরে জল, দুধ, দই মধু, ঘি, চিনি, চন্দন, কেশর, সিদ্ধি সমস্ত একটি পাত্রে মিশিয়ে মন্দিরে নিয়ে গিয়ে শিবলিঙ্গের মাথায় ঢালুন। এভাবেই হয় দেবাদিদেবের অভিষেক।

♦ ভোগে কী দেবেন-খুব অল্পে তুষ্ট হলেও শিবকে ভোগে দেওয়া হয়-- গম দিয়ে তৈরি যে কোনও খাবারে শিব তুষ্ট হন।

♦ ঐশ্বর্য পেতে চাইলে মুগের তৈরি খাবার ভোগ হিসেবে দিন।

♦ ছোলার ডাল দিয়ে তৈরি খাবার ভোগ হিসেবে দিলে দেব সন্তুষ্ট হয়ে মনের মতো জীবন সঙ্গী দেন।

♦ তিল উৎসর্গ করলে পাপ থেকে মুক্তি মিলবে।