Uttarkashi Dharali Update: ৫৮ সেকেন্ড...ছারখার হয়ে গেল উত্তরকাশী? কীভাবে ..কতজন মারা গেছে, কতজন চাপা পড়েছে, জানে না কেউ
- Published by:Satabdi Adhikary
- news18 bangla
Last Updated:
উত্তরাখণ্ডে অব্যাহত ভারী বৃষ্টিপাতের মধ্যে, আবহাওয়া বিভাগ ৬ অগাস্টের জন্য একটি জেলা পর্যায়ের বুলেটিন জারি করেছে, যেখানে রাজ্যের অনেক জেলায় অতি ভারী বৃষ্টিপাত, বজ্রপাত, বন্যা এবং ভূমিধসের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্ভাবনার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। ২৪ ঘন্টায় ১৭৪ মিমি বৃষ্টিপাত হয়েছে৷
advertisement
1/8

উত্তরাখণ্ডর উত্তরকাশীর ধরলি গ্রামে কাদামাটির স্রোতের হুড়হুড় করে নেমে আসার ভিডিও ফুটেজ এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল৷ সেই ভিডিও দেখে হাড়হিম হয়ে যাচ্ছে সকলের৷ সকলেই আশঙ্কা করছেন, না জানি কতজন এই দুর্যোগে প্রাণ হারিয়েছেন৷
advertisement
2/8
সরকারি ভাবে ৪ জনের মৃত্যুর কথা জানানো হলেও এখনও বহু মানুষ কাদামাটির নীচে আটকে রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে৷ ইতিমধ্যেই উদ্ধার করা হয়েছে ১৩০ জনকে৷ শত শত মানুষ নিখোঁজ৷ প্রশাসন জানিয়েছে, শনিবার দুপুর ১.৩০ নাগাদ ক্ষীরগঙ্গা নদীর উপরে মেঘভাঙা বৃষ্টি হয়। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই লক্ষ লক্ষ টন কাদামাটির স্রোত বন্যার মতো নেমে আসে উপত্যকার নীচের দিকে উত্তরকাশীর ধরলি গ্রামে।
advertisement
3/8
মানুষ জীবন বাঁচাতে চিৎকার শুরু করে, এদিক ওদিক দৌড়তে শুরু করেন৷ কিন্তু, ৫৮ সেকেন্ডের মধ্যে পুরো গ্রামকে গ্রাস করে ফেলে। গ্রামে কয়েক মিটার উঁচু কাদা জমে যায়৷ কিছু বাড়ি কাদামাটির স্তূপের নীচে সম্পূর্ণ চাপা পড়ে যায়।
advertisement
4/8
খবর পাওয়ার সাথে সাথে ১০ মিনিটের মধ্যে একটি সেনা বাহিনী সেখানে পৌঁছে গিয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। জেলা প্রশাসন অ্যালার্ট রয়েছেন। এনডিআরএফ, এসডিআরএফ এবং স্থানীয় পুলিশ দল ত্রাণ ও উদ্ধার কাজে নিয়োজিত রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামিকে ফোন করে পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজ নিয়েছেন।
advertisement
5/8
ক্ষীরগঙ্গা নদীর উপরে মেঘভাঙা বৃষ্টিতে হঠাৎ হড়পা বান৷ প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে ধরালি গ্রাম৷ বহু মানুষ চাপা পড়ে গিয়েছেন কাদা, পাথর জলের স্রোতের নীচে৷
advertisement
6/8
গঙ্গোত্রীর আগে, হর্ষিলের কাছে.. ধরলি মার্কেট এলাকায় রয়েছে বহু হোটেল৷ পাহাড়ি কাদামাটি পাথর হঠাৎ করে জলের তীব্র স্রোতের মতো নেমে এসে, বাড়িঘর এবং হোটেলগুলিকে ভেঙে গুঁড়িয়ে এগিয়ে যায়। প্রশাসনের মতে, আহত বা নিখোঁজদের সম্পর্কে কোনও তথ্য নেই। যেভাবে তীব্র স্রোত নেমে এসেছে, তাতে মনে করা হচ্ছে বহু মানুষ কাদমাটির নীচে চাপা পড়ে গিয়েছেন। বর্তমানে SDRF, NDRF, সেনাবাহিনী, স্থানীয় প্রশাসন উদ্ধার অভিযানে নিয়োজিত রয়েছে। স্রোত এতটাই তীব্র ছিল যে কতজন মানুষ আটকা পড়ে থাকতে পারে, কতজন নিখোঁজ, উদ্ধার অভিযানের পরে সবকিছু স্পষ্ট হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
advertisement
7/8
এখন ধরলি গ্রামের সর্বত্র ধ্বংসের চিহ্ন দেখা যাচ্ছে। মেঘ ভাঙনের কারণে প্রকৃতি ধরলি গ্রামে এমন বিপর্যয় ডেকে এনেছে যে সারা দেশে হাহাকার শুরু হয়েছে। পাহাড় থেকে খীরগঙ্গা নদীর মধ্য দিয়ে যে ধ্বংসস্তূপ নেমে এসেছে তাতে গ্রামটি দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে। গ্রামের বেশিরভাগ বাড়ি লক্ষ লক্ষ টন ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছে, অথবা বলা যেতে পারে ধ্বংসস্তূপের পাহাড়।
advertisement
8/8
উত্তরাখণ্ডে অব্যাহত ভারী বৃষ্টিপাতের মধ্যে, আবহাওয়া বিভাগ ৬ অগাস্টের জন্য একটি জেলা পর্যায়ের বুলেটিন জারি করেছে, যেখানে রাজ্যের অনেক জেলায় অতি ভারী বৃষ্টিপাত, বজ্রপাত, বন্যা এবং ভূমিধসের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্ভাবনার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। ২৪ ঘন্টায় ১৭৪ মিমি বৃষ্টিপাত হয়েছে৷