Student: নার্সিং স্কুলে নক্কারজনক ঘটনা, গোপনাঙ্গে ঝুলিয়ে দেওয়া হল ভারী ডাম্বেল, কম্পাস ফুটিয়ে, ক্ষতে লাগানো হল ক্রিম

: কেরলের একটি নার্সিং কলেজ থেকে এমন একটি ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে যা শুনে ভয়ের শিহরণ খেলে যাবে গোটা শরীরে। নার্সিং এমন একটা কাজ যে কথা শুনলে প্রথমে সেবা, সংবেদনশীলতা এই সব শব্দগুলি মনে পড়ে যায় সেখানে এত নক্কারজনক ঘটনা কী করে সেই নার্সিং শিক্ষার স্কুলে হতে পারে তা ভাবলে চিন্তায় পড়ে যেতে হয়৷  কিছু সিনিয়র পড়ুয়া তাদের নিজের জুনিয়রদের সঙ্গে নক্কারজনক ব্যবহার করেছে৷  নৃশংসতা পেরিয়েছে সব সীমা৷  কোট্টায়ামের গান্ধীনগর স্কুল অফ নার্সিং কলেজ থেকে আসা এই খবর সবাইকে চমকে দিয়েছে। Photo - Representative

তৃতীয় বর্ষের পাঁচ শিক্ষার্থীর তাদের জুনিয়রদের সঙ্গে অত্যন্ত অমানবিক আচরণ করার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, জুনিয়রকে জামা কাপড় খুলে ফেলতে বাধ্য করা হয়, শরীরের নরম অংশে ভারী ডাম্বেল ঝুলিয়ে দেওয়া হয় এবং তার ক্ষত সারানোর নামে বিভিন্ন ধরনের লোশন ও ক্রিম লাগাতে বাধ্য করা হয়। নরম অংশের মধ্যে রয়েছে গোপনাঙ্গও৷ Photo - Representative

নিউজ ১৮ মালয়ালম অনুসারে, ছাত্রদের গোপনাঙ্গে ডাম্বেল ঝুলিয়ে হয়রানি করা হয়েছিল। শরীরের বিভিন্ন অংশে কম্পাসের মতো ধারালো সরঞ্জাম দ্বারা আঘাত করা হয়েছিল৷  অভিযোগে বলা হয়েছে, গত নভেম্বর থেকে র‌্যাগিং শুরু হয়। গান্ধী নগর পুলিশ প্রথম বর্ষের তিন ছাত্রের অভিযোগের ভিত্তিতে একটি মামলা দায়ের করেছে। Photo - Representative

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের অভিযোগের ভিত্তিতে পাঁচ সিনিয়র শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে। মুনিলাভু, কোট্টায়ামের বাসিন্দা স্যামুয়েল, ওয়েনাডের নাদাভায়ালের বাসিন্দা জিভা, মাঞ্জেরির বাসিন্দা রিজিল জিত, মালাপ্পুরমের বাসিন্দা রাহুল রাজ, ভান্দুর, মালাপ্পুরম এবং কোট্টায়ামের কোরুথোডুর বাসিন্দা বিবেককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

ক্ষতস্থানে লোশন লাগানোশরীরে কম্পাসের মতো জিনিস দিয়ে জখম করা হয়েছিল এবং পরে সেখানে জোর করে লোশন লাগানো হয়েছিল। অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, মুখ, ক্ষত ও মুখে ক্রিম লাগানো হয়েছিল। অভিযোগে আরও বলা হয়েছে যে সিনিয়র ছাত্ররা রবিবার জুনিয়রদের কাছ থেকে টাকা আদায় করত, মদ খেত এবং জুনিয়র ছাত্রদের নিয়মিত মারধর করত।  Photo - Representative

গ্রেফতার হওয়া ছাত্রদের বিরুদ্ধে ইন্ডিয়ান কোড অফ জাস্টিস (বিএনএস) এর ধারা ১১৮(১), ৩০৮(২), ৩৫১(১) এবং কেরল প্রহিবিশন অফ র‌্যাগিং অ্যাক্টের ৩ এবং ৪ ধারার অধীনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।