advertisement
1/6

♦ এ যেন এক মায়াপুরী। কী এক জাদুর ছোঁয়ায় সময়ে-অসময়ে ঘুমিয়ে পড়ছেন সেই মায়াপুরীর অধিবাসীরা। আর ঘুম চলছে টানা দুই থেকে ছয়দিন পর্যন্ত! জেগে ওঠার পর কিছুতেই আর ঘুমের সময়গুলোর কথা মনে করতে পারছেন না তাঁরা। এই মায়াপুরীর অবস্থান কাজাখাস্তানের একটি ছোট্ট শহর কালাচিতে।
advertisement
2/6
♦ কোনও এক রহস্যময় কারণে এই শহরের বাসিন্দারা হুট করেই ঘুমের কোলে ঢলে পড়ছেন। বিশেষজ্ঞরা এর সঠিক কোনও কারণ বের করতে পারছেন না। তবে কয়েকজন ধারণা করছেন, কালাচি শহরটি সোভিয়েত আমলে নির্মিত একটি ইউরেনিয়াম খনির পাশে অবস্থিত হওয়ায় ইউরেনিয়ামের তেজষ্ক্রিয়তার কারণেও এই সমস্যা হতে পারে।
advertisement
3/6
♦ সর্বপ্রথম এই সমস্যা দেখা দেয় ২০১০ সালে। এরপর দিন দিন এই সমস্যা বেড়েই চলেছে। বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের খবর থেকে জানা গিয়েছে, হঠাৎ করেই একদিন একটি স্কুলে আটজন শিশু ঘুমের কোলে ঢলে পড়ে। এর এক মাস পর একইসঙ্গে ৬০ জন অধিবাসী হঠাৎ করে ঘুমিয়ে যায়। তবে কেউ ঘুমিয়ে পড়লেও তার পাশের জন দিব্যি জেগে থাকতে পারছেন।
advertisement
4/6
♦ ঘুম আসার আগে মাথা ধরা, ঝিমঝিম ভাব, অবসাদ লাগা, হাঁটতে না পারা ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দেয় রোগীদের শরীরে। তারপরও এর কোনও উপযুক্ত কারণ খুঁজে পায়নি বিজ্ঞানীরা। এছাড়া বাতাসে কোনও ভাইরাস কিংবা গ্যাসের অস্তিত্বও খুঁজে পায়নি তাঁরা।
advertisement
5/6
♦ এই অতিপ্রাকৃত ঘটনার কারণে ভয়ে ইতোমধ্যেই সেখানকার অধিবাসীরা কালাচি ছাড়তে শুরু করেছেন। যাঁরা আছেন তাঁরাও কিছুদিনের মধ্যে এই শহর ছাড়বে বলে জানিয়েছেন।
advertisement
6/6
♦ গোটা গ্রামটিকেই ভূতুড়ে আস্তানা হিসেবে ধরে নিয়েছে অনেকে। সব দেখেশুনে চিকিত্সকরাও অবাক। পরিস্থিতি এতটাই উদ্বেগজনক যে শেষ পর্যন্ত কাজাখ সরকার মে মাসের মধ্যেই গ্রামবাসীদের অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে। সরকার পক্ষ থেকে বেশ কয়েকজন গবেষক এলাকা পরিদর্শনে গিয়েও সঠিকভাবে কিছু জানাতে পারেননি।