Pahalgam Terrorist Attack Survivor: 'বেরনোর গেটে পৌঁছে দেখি দুই বন্দুকধারী দাঁড়িয়ে, কীভাবে বাঁচলাম আমি?', পহেলগাঁওতে সাক্ষাৎ মৃত্যুমুখ থেকে বেঁচে এখনও ভয়ে কাঁপছেন প্রসন্ন
- Published by:Raima Chakraborty
- news18 bangla
Last Updated:
Pahalgam Terrorist Attack Survivor: এখনও তিনি বিশ্বাস করতে পারছেন না কী ভাবে বেঁচে গেলেন!এক্স হ্যান্ডেলে সেদিনের বৈসরন ভ্যালি ও ঘোড়ায় চড়ে স্ত্রী ও তাঁর ছবি শেয়ার করেছেন প্রসন্ন।
advertisement
1/8

২২ এপ্রিল, ২০২৫ দিনটা বোধহয় সারা জীবনে কোনওদিন ভুলতে পারবেন না মাইসুরুর সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার ও তাঁর গোটা ৩৫-৪০ জনের পরিবার। হত্যাকাণ্ডের সময় পহেলগাঁওয়ের বৈসরন ভ্যালিতে প্রাণের মানুষ ও পরিবারের অন্যদের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছিলেন কর্নাটকের ইঞ্জিনিয়ার প্রসন্নকুমার ভাট।
advertisement
2/8
জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওতে গত ২২ এপ্রিল, মঙ্গলবার বর্বর জঙ্গিহামলায় নিহত হয়েছেন ২৭ জন ভারতীয়। মুহূর্তে সেদিনের নীল আকাশ, সবুজ ঘাসের ভ্যালি, পরিবার-পরিজনের আনন্দের মুহূর্ত বদলে যায় ভয়াবহ রক্তলীলায়।
advertisement
3/8
আর সেই গোটা ঘটনা চোখের সামনে ঘটতে দেখেছেন মাইসুরুর বাসিন্দা প্রসন্নকুমার ভাট। এখনও তিনি বিশ্বাস করতে পারছেন না কী ভাবে বেঁচে গেলেন!এক্স হ্যান্ডেলে সেদিনের বৈসরন ভ্যালি ও ঘোড়ায় চড়ে স্ত্রী ও তাঁর ছবি শেয়ার করেছেন প্রসন্ন। আর সেখানেই সেদিনের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছেন তিনি। তিনি জানিয়েছেন, প্রসন্ন তাঁর স্ত্রী এবং ভাইয়ের সঙ্গে মঙ্গলবারই পহেলগাঁওয়ে পৌঁছন। তাঁর ভাই ভারতীয় সেনার উচ্চপদে কর্মরত।
advertisement
4/8
প্রসন্ন লিখেছেন, 'আমরা সকলে মিলে বৈসরন উপত্যকার মনোরম পরিবেশ উপভোগ করছিলমা। চারপাশে অনেকে ছিলেন। সকলেই খুশি। দুপুর ২টো ২৫ মিনিট নাগাদ আচমকাই আমরা পর পর দু’টি গুলির শব্দ শুনতে পাই। তার পর এক মিনিট সব চুপচাপ। প্রথমে কেউ বুঝতেই পারিনি কী ঘটেছে! কোথা থেকে এল গুলির শব্দ!' মুহূর্তে গুলির শব্দ আর আর্ত চিৎকারে সব বদলে যায় বৈসরনে। যেন সাক্ষাৎ মৃত্যু দাঁড়িয়ে সামনে।
advertisement
5/8
তাঁর কথায়, 'সকলে দৌড়োদৌড়ি শুরু করেন। আমরা একটু গিয়ে দেখতে পাই ঘাসের উপর পড়ে আছে দু’টি মৃতদেহ! আমার ভাই সঙ্গে সঙ্গে বুঝতে পারে, কী ঘটেছে। জঙ্গি হামলার আঁচ পেয়েই সকলকে ঘটনাস্থল ছাড়তে বলে। দ্রুত ৩০-৪০ জন পর্যটককে বিপরীত দিকে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয়।'
advertisement
6/8
প্রসন্ন আরও লিখেছেন, 'একই সঙ্গে বলে, মাথা নিচু করে দৌড়তে। আমরাও সেই ভাবে দৌড়ে উপত্যকা থেকে বেরনোর দরজার কাছে পৌঁছই। কিন্তু দেখতে পাই সেই দরজার সামনে জঙ্গিরা দাঁড়িয়ে। মুহূর্তে উল্টো দিকে দৌঁড়োতে শুরু করি। আমাদের ভাগ্য ভাল ছিল, উপত্যকার চারপাশে দেওয়া বেড়ার এক জায়গা ফাঁকা ছিল। তার মধ্যে দিয়েই আমরা পালাই।'
advertisement
7/8
তাঁর লেখায় এখনও সেদিনের আতঙ্ক স্পষ্ট। তাঁর কথায়, 'পিছন থেকে ক্রমাগত গুলি শব্দ ভেসে আসছিল। আমরা ভয়ে কাছেপিঠে এক পাহাড়ের আড়ালে আশ্রয় নিয়েছিলাম। প্রায় এক ঘণ্টা ওখানেই নিঃশব্দে বসেছিলাম। বিকেল ৩টে ৪০ মিনিট নাগাদ হেলিকপ্টারের শব্দ, নিরাপত্তাবাহিনী চলে আসার পর মনে একটু সাহস আসে। ওই গর্ত থেকে বাইরে বেরিয়ে আসি। আমাদের পরে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।'
advertisement
8/8
প্রসন্ন শেষ করেছেন, 'গুলির শব্দ, মৃতদেহ, উপত্যকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা রক্ত-- এসব কখনও ভুলতে পারব না। স্মৃতিতে দগদগে হয়ে থাকবে এই ক্ষত। আমি প্রার্থনা করি যেন আর কারও সঙ্গে এমন অভিজ্ঞতা না হয়!'