Himanshi Narwal: ‘আমরা শুধু শান্তি চাই, মানুষ মুসলিম বা কাশ্মীরিদের বিরুদ্ধে যাক, সেটা চাই না...’ কান্নায় ভেঙে পড়ে শান্তির বার্তা নেভি অফিসারের স্ত্রী হিমাংশির
- Published by:Siddhartha Sarkar
Last Updated:
Vinay Narwal’s wife appeals for communal harmony: জম্মু ও কাশ্মীরের সন্ত্রাসবাদী হামলার সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে ইসলামের নাম। তা কখনই কাঙ্ক্ষিত নয়। এ কথাই সম্প্রতি এক রক্তদান শিবিরে এসে স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন পহেলগাঁওতে সন্ত্রাসবাদীদের গুলিতে নিহত নেভি অফিসার বিনয় নারওয়ালের স্ত্রী হিমাংশি নারওয়াল।
advertisement
1/6

জম্মু ও কাশ্মীরের সন্ত্রাসবাদী হামলার সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে ইসলামের নাম। তা কখনই কাঙ্ক্ষিত নয়। এ কথাই সম্প্রতি এক রক্তদান শিবিরে এসে স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন পহেলগাঁওতে সন্ত্রাসবাদীদের গুলিতে নিহত নেভি অফিসার বিনয় নারওয়ালের স্ত্রী হিমাংশি নারওয়াল।
advertisement
2/6
জীবিত থাকলে বৃহস্পতিবার বিনয় নারওয়ালের বয়স হত ২৭ বছর, এই দিনই ছিল তাঁর জন্মদিন। সেই উপলক্ষ্যে, তাঁর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে করনালে এক রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল। করনালেই বাড়ি বিনয় নারওয়ালের, সেখানেই তিনি বড় হয়েছেন।
advertisement
3/6
‘‘আমরা চাই না মানুষ মুসলিম আর কাশ্মীরিদের পিছনে ছুটুক! আমরা শান্তি চাই, শুধুমাত্র শান্তিই চাই’’, স্বামীর স্মৃতির উদ্দেশে আয়োজিত রক্তদান শিবিরে এসে এ কথা জোর গলায় জানিয়েছেন হিমাংশি। সঙ্গে অনুরোধ করেছেন, "আমি শুধু চাই সারা দেশ ওঁর জন্য প্রার্থনা করুক, যাতে উনি যেখানেই থাকুন, সুখে থাকুন, শান্তিতে থাকুন"! চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি হিমাংশি খুব স্বাভাবিক ভাবেই, কান্নাভেজা গলায় বলেছেন, "আমরা শান্তি চাই, সুবিচার চাই। যারা দোষী, তাদের অবশ্যই শাস্তি পাওয়া উচিত।’’ Photo: ANI
advertisement
4/6
ন্যাশনাল ইন্টিগ্রেটেড ফোরাম অফ আর্টিস্টস অ্যান্ড অ্যাক্টিভিস্টস, সংক্ষেপে NIFAA, করনালে এই রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেছিল। সেখানে একদিকে যেমন করনালের বিজেপি এমএলএ জগমোহন আনন্দ উপস্থিত ছিলেন, জড়ো হয়েছিলেন অগণিত সাধারণ মানুষ, অনেকে এসেছিলেন দূর থেকেও। শাশুড়ি এবং ননদের সঙ্গে এই রক্তদান শিবিরে আসেন হিমাংশি।
advertisement
5/6
‘‘যাঁরা দূর দূর থেকে রক্ত দান করতে এসেছেন, তাঁদের সকলকে আমি ধন্যবাদ জানাই। এই উদ্যোগে যে সাড়া মিলেছে তা অভূতপূর্ব’’, বলেছেন বিনয় নারওয়ালের বোন সৃষ্টি নারওয়াল। সেই সঙ্গে তাঁদের সমর্থন করার জন্য সরকারের কাছেও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন তিনি। বিনয় করনাল শহরের সেক্টর ৭-এর বাসিন্দা ছিলেন। দুই বছর আগে তিনি ভারতীয় নৌবাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন। ১৬ এপ্রিল রিসেপশনের পর তাঁরা ২১ এপ্রিল মধুচন্দ্রিমার জন্য কাশ্মীরে যান। তাঁর বুক, ঘাড়, বাম বাহুতে সন্ত্রাসবাদীরা গুলি করে, ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। Photo: ANI
advertisement
6/6
পহেলগাঁওয়ের এই ঘটনার পর বিনয়ের স্ত্রী হিমাংশির একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। সেই ভিডিওয় হিমাংশি জানান যে বিনয় ভেলপুরি খাচ্ছিলেন। এই সময়ে সন্ত্রাসবাদীরা বুঝতে পারে যে তিনি মুসলিম নন, এর পরেই তাঁকে গুলি করা হয়। স্বামীর নিথর দেহর পাশে অসহায় অবস্থায় পথে বসে থাকা হিমাংশির ছবিও ভাইরাল হয়ে যায় দেশ জুড়ে।