Meghalaya Honeymoon Case: প্রতিটা ইঞ্চিতে রহস্য! রাজাকে খুনের সময় কী করছিল সোনম আর রাজ জানেন! কোথায় ছিল তাঁরা? এবার যা সামনে এল, মাথা ঘুরে যাবে শুনে
- Published by:Suman Biswas
- news18 bangla
Last Updated:
Meghalaya Honeymoon Case: রাজের মা-ও অভিযোগ করেছেন, তাঁর ছেলেকে এই হত্যাকাণ্ডে ফাঁসানো হচ্ছে। সোনমের সঙ্গে তাঁর ছেলের প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলেও মানছেন না তিনি।
advertisement
1/12

সময় যত এগোচ্ছে, ততই জটিল থেকে জটিলতর হচ্ছে মেঘালয় হানিমুন হত্যা রহস্য। রাজা রঘুবংশীকে হত্যার দায়ে এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁর স্ত্রী সোনম রঘুবংশী-সহ পাঁচজনকে। অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত এবং মাস্টারমাইন্ড বলা হচ্ছে রাজ কুশওয়াহাকে। অথচ সেই হত্যার সময়ে তিনি নাকি বাড়িতেই ছিলেন। এমনটাই দাবি করেছেন রাজের বোন।
advertisement
2/12
তিনি বলেছেন, ‘আমার ভাই রাজ কোথাও যায়নি। বাড়িতেই ছিল। আপনারা ওর অফিসের লোকজনকে জিজ্ঞাসা করতে পারেন। আমার একমাত্র দাবি, ভাইকে মুক্তি দেওয়া হোক। ও এই খুনের সঙ্গে কোনও ভাবেই জড়িত নয়। আমার ভাই নির্দোষ। ভিকি এবং রাজ, দু’জনেই আমার ভাই। ওরা কখনও এমন কিছু করতে পারে না।’
advertisement
3/12
রাজের মা-ও অভিযোগ করেছেন, তাঁর ছেলেকে এই হত্যাকাণ্ডে ফাঁসানো হচ্ছে। সোনমের সঙ্গে তাঁর ছেলের প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলেও মানছেন না তিনি।
advertisement
4/12
তিনি বলেছেন, ‘আমার ছেলে এমন কিছু করতে পারে না। ওর মাত্র ২০ বছর বয়স। ও আমার সবকিছু। সোনমের ভাইয়ের কারখানায় কাজ করত আমার ছেলে। ওর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে। আমি সরকারকে অনুরোধ করছি ওকে নির্দোষ প্রমাণ করুন। ও নির্দোষ।’
advertisement
5/12
মেঘালয় কাণ্ডে রহস্যফাঁস করে ফেলেছে পুলিশ। ধরা পড়ে গিয়েছেন নববধূ সোনম রাজবংশী। মেঘালয় পুলিশ সূত্রে খবর, রাজাকে খুন করতেই মধুচন্দ্রিমায় পাহাড়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন সোনম। মধুচন্দ্রিমার জন্য বেছে নিয়েছিলেন দেশের অন্য প্রান্তের একটি রাজ্য মেঘালয়কে। পুলিশের আরও দাবি, বিয়ের আগে রাজ কুশওয়াহার সঙ্গে সম্পর্কের কারণেই এই হত্যার ছক কষেন সোনম।
advertisement
6/12
রাজের পরিবার যাই বলুক, রাজা রঘুবংশীর ভাই আগেই অভিযোগ করেছিলেন, সোনম নিয়মিত রাজ কুশওয়াহার সঙ্গে ফোনে কথা বলত। জানা গিয়েছে, রাজার সঙ্গে বিয়ের আগেই রাজ কুশওয়াহার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল সোনমের।
advertisement
7/12
এদিকে, ইন্দোর পুলিশ জানতে পেরেছে, রাজাকে মারার পরে সোনম রঘুবংশী ২৫ থেকে ২৭ মের মধ্যে ইন্দোরে ছিল। সেখানকার দেওয়াস নাকা এলাকার একটি ভাড়া করা ঘরে সোনমকে রাখে রাজ। এর পর রাজ গাড়িতে সোনমকে সরাসরি বারাণসী পাঠায়।
advertisement
8/12
পুলিশ আরও জানতে পেরেছে, ৮ জুন সোনম বারাণসী আইএসবিটি থেকে গোরখপুরের উদ্দেশে একটি বাসে উঠেছিল। সম্ভবত গোরখপুর থেকে নেপাল যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁর। কিন্তু ৬৫ কিলোমিটার যাওয়ার পরে, রাজ গ্রেফতার হওয়ার খবর পেতেই নন্দগঞ্জের কাছে একটি ধাবার সামনে তিনি বাস থেকে নেমে যান। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন বাসে ওঠার আগে বারাণসী আইএসবিটিতে তাকে দুই যুবকের সঙ্গে কথা বলতে দেখা গিয়েছিল।
advertisement
9/12
এরই মাঝে চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এনেছেন ইন্দোর পুলিশ। ঘটনার তদন্তের সঙ্গে যুক্ত ইন্দোরের এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, 'রাজ কুশওয়াহা দাবি করেছে, সে নাকি সোনমকে সমর্থন করতে চায়নি এবং শেষ মুহুর্তে মেঘালয়ে যাওয়ার পরিকল্পনাও বাতিল করে। সে বাকি তিনজনকেও যেতে নিষেধ করেছিল। তবে সোনম টিকিট কাটার পর তারা মেঘালয়ে চলে যায়। এমনকি শেষ মুহূর্তে তিনজন খুন করতে অস্বীকার করলেও সোনম জেদ ধরে এবং তাদের ১৫ লক্ষ টাকা দেবে বলে জানায়। পুলিশ এই দাবিগুলি যাচাই করছে।''
advertisement
10/12
কী থেকে প্রথম সোনমের উপর সন্দেহ হয় পুলিশের? পুলিশের দাবি, হানিমুন ট্রিপে মেঘালয়ের মাওলাখিয়াত গ্রামের কাছে নির্জন ‘ডবল ডেকার ব্রিজ’-এ হাইকিংয়ে গিয়ে রাজাকে খুন করা হবে বলেই গাইড নিতে চাননি নববধূ সোনম। মাওলাখিয়াত গ্রামের স্থানীয় গাইড পিডি অ্যালবার্ট জানিয়েছিলেন, গাইড নিতে চাননি রাজা-সোনম।
advertisement
11/12
২৩ মে সকাল ১০টা নাগাদ রাজা ও সোনমকে লংরিয়াট গ্রামে ‘ডবল ডেকার ব্রিজ’ হাইকিংয়ে যেতে দেখেছিলেন তিনি। সেখানে তাঁদের সঙ্গে আরও তিনজন ব্যক্তির উপস্থিতির কথা গাইডই প্রথম জানায় পুলিশকে। সেই তথ্যই পুলিশকে নাড়িয়ে দেয়। এরপরই পুলিশ বুঝতে পারে, হয়ত সোনমের কিছুই হয়নি। এরপরেই তদন্তের জাল আরও ছড়ায় পুলিশ। শেষমেশ আসে সাফল্য।
advertisement
12/12
পুলিশ তদন্তে জানা যায়, বিয়ের আগে রাজ কুশওয়াহা নামে এক যুবকের সঙ্গে সোনমের প্রেম ছিল। প্রেমের পথ থেকে রাজাকে সরিয়ে দিতে মধুচন্দ্রিমায় শিলং গিয়েছিলেন তাঁরা। পুলিশ সূত্রে আরও দাবি, বিয়ের পরেও রাজ ও সোনমের যোগাযোগ ছিল। সোনম রাজাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিলেন এবং প্রেমিকের সঙ্গে শিলংয়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিলেন বলে দাবি পুলিশের।