Mahua Moitra: নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে বিহারে বাদ যেতে পারে ৩ কোটি ভোটার, আর পশ্চিমবঙ্গে? বিরাট পদক্ষেপ মহুয়া মৈত্রর! বাংলার জন্যও আবেদনে কী করবে সুপ্রিম কোর্ট?
- Published by:Suman Biswas
- news18 bangla
Last Updated:
Mahua Moitra: শনিবার একটি বেসরকারি সংস্থা অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস বা এডিআর কমিশনের পদক্ষেপকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছে।
advertisement
1/8

এবার বিহার বিধানসভা নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। বিহার বিধানসভা নির্বাচনের আগে প্রশ্নের মুখে পড়েছে নির্বাচন কমিশনের বিশেষ ভোটার তালিকা সংশোধনের প্রক্রিয়া। সেই প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেই এবার সুপ্রিম কোর্টে আবেদন মহুয়ার। সেই আবেদনে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের প্রসঙ্গও।
advertisement
2/8
শনিবার একটি বেসরকারি সংস্থা অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস বা এডিআর কমিশনের পদক্ষেপকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছে।
advertisement
3/8
এডিআর-এর দাবি, এই বিশেষ সংশোধন প্রক্রিয়া সংবিধানের ১৪, ১৯, ২১, ৩২৫ ও ৩২৬ অনুচ্ছেদ এবং ১৯৫০ সালের ‘প্রতিনিধিত্ব আইন’ ও ১৯৬০ সালের ভোটার নথিভূক্তকরণ নিয়মের পরিপন্থী। জন্মের শংসাপত্রের জমা দেওয়ার মাধ্যমে ভোটারদের নাগরিকত্ব প্রমাণের দায়িত্ব তাদের উপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে।
advertisement
4/8
যা সাধারণ ও প্রান্তিক জনগণের অধিকারে হস্তক্ষেপ। ২০০৩ সালের ভোটার তালিকায় যাদের নাম নেই, তাদেরকে আলাদাভাবে প্রমাণপত্র দিতে হবে।
advertisement
5/8
২০০৪ সালের পরে জন্ম নেওয়া নাগরিকদের ক্ষেত্রে, শুধু নিজের নয়, পিতা-মাতার নথিও জমা দিতে বলা হয়েছে। অভিভাবকের কেউ যদি বিদেশি হন, তাহলে পাসপোর্ট ও ভিসার কপি চাওয়া হচ্ছে। এডিআর-এর আশঙ্কা এই নিয়মগুলো বাস্তবসম্মত নয়, বিশেষ করে বিহারের মতো রাজ্যে যেখানে বহু মানুষের কাছে জন্মের শংসাপত্র বা প্রয়োজনীয় নথি নেই।
advertisement
6/8
এতে প্রায় ৩ কোটিরও বেশি প্রকৃত ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়তে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। মামলাটি দায়ের করেছেন সুপ্রিম কোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ। এবার সেই মামলাকারীর তালিকায় মহুয়া মৈত্রও।
advertisement
7/8
মহুয়া তাঁর আবেদনে লিখেছেন, 'নির্বাচন কমিশনের এই নির্দেশ ভারতীয় সংবিধানের ১৪, ১৯(১), ২১, ৩২৫, ৩২৬ ধারা, জনপ্রতিনিধি আইন এবং ভোটার নিবন্ধনের নিয়ম লঙ্ঘন করছে। এই নির্দেশ যদি বাতিল না করা হয়, এর ফলে বহু মানুষ ভোটাধিকার হারাবেন। এটা গণতন্ত্রের অসম্মান এবং দেশে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের কাঁটা।''
advertisement
8/8
এখানেই থেমে থাকেননি মহুয়া। তাঁর আবেদন, অন্য কোনও রাজ্যে যাতে অনুরূপ নির্দেশ না দেওয়া হয়, সেই ব্যবস্থা করুক সুপ্রিম কোর্ট। মহুয়া আদালতে মামলার এই নথি সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে লিখেছেন, ''নির্বাচন কমিশনের এসআইআর-এর নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে এইমাত্র সুপ্রিম কোর্টে একটা মামলা করলাম। বাংলা-সহ অন্যান্য রাজ্যে যাতে এই পদক্ষেপ না করা হয়, তার জন্য স্থগিতাদেশও চেয়েছি।''