Knowledge Story: সারা দেশে লক্ষ-লক্ষ ট্রেন চলে, কিন্তু জানেন কি আজও একটি রেল লাইনের জন্য ব্রিটিশ সরকারকে কোটি টাকা দেয় ভারত
- Published by:Debalina Datta
- news18 bangla
Last Updated:
Knowledge Story: ভারত স্বাধীন হয়েছে ১৯৪৭ সালে, ভারত সরকার এখনও ব্রিটিশদের টাকা দিচ্ছে... শুধু এই একটি রেললাইনের জন্য!
advertisement
1/10

ভারতীয় রেলওয়ে সারা বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম কর্মচারী-চালিত সংস্থা। এটি এশিয়ার বৃহত্তম রেলওয়ে নেটওয়ার্ক এবং এক ব্যবস্থাপনার অধীনে থাকা বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম রেল নেটওয়ার্ক। উত্তরে কাশ্মীর থেকে দক্ষিণে কন্যাকুমারী পর্যন্ত সারা দেশে অসংখ্য ট্রেন চলাচল করে৷ ভারতীয় রেলে ভারত সরকার দ্বারা পরিচালিত পাবলিক রেলওয়ে পরিষেবা৷ বর্তমানে প্রায় ১২ লক্ষ মানুষ রেলওয়েতে কর্মরত৷
advertisement
2/10
১৮৫০ নাগাদ তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার বোম্বে থেকে থানে পর্যন্ত ভারতে প্রথম রেলওয়ে ট্র্যাক স্থাপন করে। ভারতের বেশিরভাগ প্রধান রেল পরিষেবা ব্রিটিশদের দ্বারা স্থাপিত হয়েছিল, ভারত সরকার স্বাধীনতার পরে সেই রেলওয়ে পরিষেবা পুরোপুরি নিজের হাতে নেয়৷ ১৯৪৭ থেকে শুরু করে এখনও পর্যন্ত ভারতে প্রতি বছর হাজার- হাজার কোটি টাকা খরচ করে ট্রেন পরিষেবা চালানো হচ্ছে৷ পাশাপাশি তার আধুনিকীকরণেরও ব্যবস্থা চলছে৷
advertisement
3/10
হাই স্পিড রেল, বন্দে ভারত যা বুলেট ট্রেনের সমকক্ষ হিসেবে এখন ভারতীয় রেলওয়ে ট্র্যাকে চলে৷ এছাড়াও আরও উন্নতর পরিষেবা আনার নিরন্তর চেষ্টা চলছে। তা ছাড়া, ম্যাগনেট পাওা ব্যবহার করে হাই-স্পিড ট্রেন আনারও চেষ্টা করছে রেল বিভাগ। কিন্তু এত কিছুর পরেও জানেন কি দেশে একটি মাত্র রেললাইন রয়েছে যা এখনও ব্রিটিশ কোম্পানির অধীনে রয়েছে। ভারত সরকার এখনও সেই রেলওয়ে ট্র্যাকের পরিষেবার জন্য ব্রিটিশদের টাকা দিচ্ছে।
advertisement
4/10
মহারাষ্ট্র রাজ্যের ইয়াভাতমাল এবং মূর্তিজাপুরের মধ্যে একটি ১৯০ কিলোমিটার দীর্ঘ সাকুন্ডলা রেলপথ রয়েছে। ১৯১০ সালে, সকুন্ডলা রেলওয়ে একটি বেসরকারি ব্রিটিশ কোম্পানি, কিলিক-নিক্সন তৈরি করেছিল৷ গ্রেট ইন্ডিয়ান পেনিনসুলার রেলওয়ে (গ্রেট ইন্ডিয়ান পেনিনসুলার রেলওয়ে), ব্রিটিশ শাসনাকালে মধ্য ভারতে জুড়ে ট্রেন চালাত৷
advertisement
5/10
১৯৫২ সালে ব্রিটিশ রেলওয়ে জাতীয়করণ করা হলে, শুধুমাত্র এই লাইনটি ওই ব্রিটিশ কোম্পানির কাছ থেকে কেনা হয়নি। ১৯ শতকে ট্র্যাক স্থাপনকারী ওই কোম্পানি এখনও এই রেলপথের রক্ষণাবেক্ষণর দায়িত্বে রয়েছে৷ আর ভারত এখনও এখানে ট্রেন লাইন ব্যবহারের জন্য ব্রিটিশদের এক কোটি টাকা দেয়৷
advertisement
6/10
শকুন্তলা রেললাইনে প্রতিদিন একটি মাত্র পর্যটক ট্রেন চলে। অমরাবতী জেলার ইয়াভাতমাল এবং অচলপুরের দূরত্ব ১৯০ কিলোমিটার এবং সড়কপথে টোল বেশি। এই দুই গ্রামের দরিদ্র মানুষেরা দৈনিক সেই খরচ বহন করতে পারে না।
advertisement
7/10
শুধুমাত্র এই উদ্দেশ্যে ১৯২১ সালে শুধুমাত্র একটি ট্রেন, ম্যানচেস্টারে তৈরি একটি জেডডি-স্টিম ইঞ্জিন, এই গ্রামগুলির লাইফলাইন হিসাবে চলত৷ ৭০ বছর পর ১৫ এপ্রিল, ১৯৯৪এ আসল ইঞ্জিনটি প্রতিস্থাপনের পর একটি ডিজেল মোটর ইঞ্জিন ইনস্টল করা হয়েছিল। আজও এই ট্রেনের টিকিটের মূল্য মাত্র ১৫০ টাকা৷
advertisement
8/10
পরবর্তীতে গিলিক-নিক্সন কোম্পানি ব্রিটিশ ভারতীয় ঔপনিবেশিক প্রশাসনের সঙ্গে মিলিত হয়ে সেন্ট্রাল প্রভিন্সেস রেলওয়ে কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করে। (CPRC)। এই শকুন্তলা ন্যারো গেজ রেলপথের উদ্দেশ্য ছিল ইয়াভাতমাল থেকে বোম্বে (মুম্বই) পর্যন্ত তুলো পরিবহন করা। এরপর যা পাঠানো হযত ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টারে।
advertisement
9/10
মূলত একটি মালবাহী ট্রেনের রুট, এটি পরে জনগণের পরিবহনের জন্য রেলপথ হিসেবেও ব্যবহৃত হত। ৭ জনের একটি স্টাফদল বর্তমানে সিগন্যালিং, টিকিট বিক্রি এবং গাড়ি থেকে লোকোমোটিভের ডিকপলিং সহ সমস্ত রেলওয়ের কাজ পরিচালনা করে।
advertisement
10/10
প্রাক্তন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভু যবতমাল-মূর্তিশাপুর-অচলপুর রেললাইনকে ন্যারো গেজ থেকে ব্রড গেজে রূপান্তরের জন্য ১.৫০০ কোটি টাকা অনুমোদন করেছিলেন। কিন্তু আজও এটি ব্রিটিশ কোম্পানির পরিচলনাধীন এবং মালিকানাধীন৷