ট্রেনের আপার বার্থে শান্তিতে শুয়েছিল লোকটা, 'রিজার্ভেশন করিয়েছ?' আচমকাই ধড়ফড়...! ফোন ভিডিও 'অন' হতেই মুহূর্তে যা ঘটল!

আবারও খবরে ভারতীয় রেল। আসলে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মানুষও ট্রেনের চড়ে নিজেদের গন্তব্যে পৌঁছন। তা সে দূরপাল্লার ট্রেন হোক, বা লোকাল ট্রেন, প্রতিদিনের এই যাতায়াতের পথেই তৈরি হয় এমন কিছু মুহূর্ত যা অনেক সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। AI Generated Representative Image

দূরপাল্লার প্রতিটি ট্রেনেই থাকে সাধারণ কোচ থেকে এসি ও স্লিপার কোচ। যাত্রী স্বাচ্ছন্দের কথা মাথায় রেখেই আলাদা আলাদা কোচের বন্দোবস্ত করেছে রেল। এসি ও স্লিপার কোচের মতোই সাধারণ কোচেও কম খরচ প্রায় নামমাত্র টাকায় নিজেদের গন্তব্যে পৌঁছে যেতে পারেন যাত্রীরা। AI Generated Representative Image

তবে স্লিপার ও এসি কোচের চেয়ে ট্রেনের জেনারেল কোচে ভিড় হয় বেশি। মাঝে মাঝে লোকাল ট্রেনের চেয়েও এই কামরায় অবস্থা হয় ভয়ঙ্কর। প্রায় এ ওর ঘাড়ে উঠে বসার উপক্রম হয়। সম্প্রতি এই জেনারেল কোচেই এমন কাণ্ড ঘটল যা দেখে শিউরে উঠবেন আপনি। Representative Image

সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রেনের জেনারেল কোচের এই ভিডিও শেয়ার হতেই আঁতকে ওঠেন নেটিজেনরা। ভাইরাল এই ভিডিওতে কী এমন দেখা গিয়েছিল যা মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ল গোটা দেশে? দৃশ্য দেখে রে রে করে উঠলেন সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহারকারীরা। Representative Image

গরমের দিন। জেনারেল কোচে আরও যেন গরম ছিল সেদিন। উপরের বার্থে টানটান হয়ে শুয়েছিলেন এক যাত্রী। আচমকা ধড়ফড় করে উঠে বসলেন। উল্টো দিক থেকে প্রশ্ন এল 'তুমি কী রিজার্ভেশন করিয়েছ?' AI Generated Representative Image

ভিডিওটিতে প্রশ্ন কর্তাকে দেখা না গেলেও আন্দাজ করা যায় তিনি কোনও সহযাত্রী। তুমি কি রিজার্ভেশন করেছো? ভাইরাল ভিডিওতে ক্যামেরা ঘুরতেই দেখা যায় ট্রেনের কোচটিতে গিজগিজ করছে যাত্রী। কেউ কেউ ট্রেনের মেঝেতে গাদাগাদি করে বসে আছে। AI Generated Representative Image

এমন ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে, ওই ব্যক্তি গোটা একটি বার্থ দখল করে শুয়ে থাকতেই প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় তাঁকে। উপরের বার্থে আরামে শুয়ে থাকা লোকটিকে ঝাঁঝালো গলায় ছেলেই বলে - "আমাকে বসতে দাও। কিন্তু লোকটি কর্ণপাত করে না। এমনকি নিজের জায়গা থেকে নড়ে না।" AI Generated Representative Image

এরপরেই ছেলেটি আরও রেগে গিয়ে বলে, এটা তো একটা সাধারণ আসন... "তুমি কি আমাকে এখানে বসতে দেবে নাকি দেবে না, বল দেখি? এর উত্তরে লোকটি স্পষ্টভাবে উত্তর দেয় - না। ছেলেটি রাগে ফেটে পরে জিজ্ঞাসা করে - "কেন তুমি আমাকে বসতে দেবে না? তুমি কি রিজার্ভেশন করেছ নাকি?" AI Generated Representative Image

লোকটি এবার অদ্ভুত এক উত্তর দেয়। বলে - আমি ৩৬ ঘণ্টা ধরে আসছি। এতে, ছেলেটি ঠাট্টা করে পাল্টা বলে- "তাহলে ভাই, আমি কি ৩৬ ঘন্টা ধরে তোমার চুক্তি নিয়েছি?" তারপরে ঝগড়া চরমে ওঠে। AI Generated Representative Image

ছেলেটি তাঁর ক্যামেরা ঘুরিয়ে কোচের ভিড় দেখায় এবং রেগে বলে- তুমি এই ভাবে গোটা বার্থ দখল করতে পার না। সরো। এখানে জায়গা আছে আমি বসব। এরপরেই আরও অবাক করা ঘটনা ঘটে। আচমকা সিটে বসা ব্যক্তিটিও তার মোবাইল বের করে ভিডিও করতে শুরু করে। Representative Image

দু'পক্ষের এই তর্ক-বিতর্ক, বার্থ নিয়ে বিবাদ এতটাই তীব্র হয় যে, দুজনেই তাদের বক্তব্য প্রমাণের জন্য তাদের মোবাইল ক্যামেরা বের করে পরপর ভিডিও করতে থাকে। এই দৃশ্যটি কেবল রেলের জেনারেল কামরার বিশৃঙ্খলাই তুলে ধরে না, বরং যাত্রীদের 'যদি আমি না হই, তাহলে তুমি কেন' মানসিকতাকেও তুলে ধরে।

আসলে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মানুষ ভারতীয় রেলে ভ্রমণ করেন। কিছু জার্নি আরামদায়ক হলেও, অনেকের কাছে এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায় যদি টিকিট না পাওয়া যায়। প্রকৃতপক্ষে, সময়মতো টিকিট কনফার্ম হওয়া আশীর্বাদের চেয়ে কোনও অর্থে কম নয়।

অনেক ক্ষেত্রেই মানুষ কোনও না কোনওভাবে তাঁদের গন্তব্যে পৌঁছতে যেনতেনপ্রকারেণ ট্রেনে চড়ে বসেন। ট্রেনের জেনারেল কামরা এঁদের জন্য অগতির গতি। আজকাল, সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন অনেক ভিডিও ভাইরাল হয়েছে যেখানে রিজার্ভেশন ছাড়াই অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে এসি এবং স্লিপার কোচগুলিকে 'সাধারণ বগি'তে পরিণত করতে হয়েছে।

কিন্তু এবার আলোচনার কেন্দ্রে উঠে আসে জেনারেল কোচের একটি ভিডিও। এই ভিডিওটি আবারও রেলের বিশৃঙ্খলা এবং যাত্রীদের আত্মকেন্দ্রিক মানসিকতাকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখাচ্ছে।