'ভাল সিদ্ধান্ত!' বহু দিন পর ভারতের পিঠ চাপড়ে বাহবা দিলেন ট্রাম্প! দেশের এক পদক্ষেপেই কি বদলাচ্ছে অর্থনীতি?
- Published by:Tias Banerjee
Last Updated:
কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছে ভারত-রাশিয়া সম্পর্ক, আমেরিকার চাপ এবং ভারতের কৌশলগত অবস্থান। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের বক্তব্য—দেশের জ্বালানি নীতির মূল চালিকাশক্তি বাজার ও জাতীয় স্বার্থ, এবং কোনও তৃতীয় দেশের চাপে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় না।
advertisement
1/13

ভারতীয় পণ্যের উপরে ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ একই সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট অভিযোগ তুলেছিলেন, রাশিয়ার থেকে কেন তেল কিনছে ভারত? ট্রাম্পের অভিযোগ ছিল, তেল কিনে আসলে রাশিয়াকে ইউক্রেনে যুদ্ধ করার টাকা জোগাতে সাহায্য করছে ভারত৷
advertisement
2/13
ভারত রাশিয়ার থেকে তেল কেনায় যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট খুবই হতাশ, তা স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন মার্কিন বিদেশসচিব মার্কো রুবিও৷ তিনি বলেন, ভারত থেকে রাশিয়ার তেল কেনার বিষয়টি ভারত-আমেরিকা সম্পর্কের পক্ষে খুবই বিরক্তিকর পর্যায়ে চলে যাচ্ছে৷
advertisement
3/13
মার্কিন বিদেশসচিব আরও অভিযোগ করেন, রাশিয়া ছাড়াও বিশ্বের আরও বহু দেশের থেকে তেল কেনার সুযোগ থাকলেও ভারত কিনছে না৷ বরং রাশিয়ার থেকে তেল কিনে তাঁদের যুদ্ধের খরচ জোগাতে সাহায্য করছে, সেই কারণেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও হতাশ৷
advertisement
4/13
ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল দাবি করেছেন, ভারতের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ক বিভিন্ন প্রতিকূল পরিস্থিতি সামলেও অটুট থেকেছে৷ তিনি বলেন, আমাদের দুই দেশ নির্দিষ্ট কিছু অ্যাজেন্ডা নিয়ে কাজ করার বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং আমরা এই সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বিষয়েও আমরা আশাবাদী৷
advertisement
5/13
ইতিমধ্যে বড় খবর! রয়টার্সে এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, Indian Oil Corporation, Hindustan Petroleum, Bharat Petroleum ও Mangalore Refinery and Petrochemicals Ltd—এই চারটি বড় রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থা গত এক সপ্তাহে রাশিয়ান তেলের জন্য কোনও নতুন অর্ডার দেয়নি।
advertisement
6/13
সম্প্রতি আমেরিকা ভারতের উপর ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক চাপানোর পর এবার রাশিয়া থেকে তেল আমদানি বন্ধ করার খবরে মুখ খুললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি এই পদক্ষেপকে "ভাল পদক্ষেপ" বলে উল্লেখ করলেন—যদি এটি সত্যি হয়।
advertisement
7/13
শনিবার সংবাদ সংস্থা ANI-কে দেওয়া এক বিবৃতিতে ট্রাম্প বলেন, “আমি শুনেছি ভারত আর রাশিয়া থেকে তেল কিনছে না। ঠিক কিনা জানি না, কিন্তু এটা যদি সত্যি হয়, তা হলে এটা খুব ভাল পদক্ষেপ। দেখা যাক কী হয়।”
advertisement
8/13
এই মন্তব্য এমন সময়ে এল, যখন কয়েকদিন আগেই যুক্তরাষ্ট্র ভারতের উপর ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক আরোপ করে এবং রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য (বিশেষত অস্ত্র ও অপরিশোধিত তেল) চালিয়ে যাওয়ার জন্য অতিরিক্ত শাস্তিমূলক পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দেয়।
advertisement
9/13
তবে, শুক্রবার ভারতের বিদেশ মন্ত্রক (MEA) জানিয়ে দেয়, ভারতের জ্বালানি ক্রয় সম্পূর্ণভাবে বাজারের গতিবিধি ও জাতীয় স্বার্থ দ্বারা পরিচালিত হয়। মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, "রাশিয়া থেকে তেল আমদানি বন্ধ করার বিষয়ে সরকারি তেল সংস্থাগুলোর কোনও নির্দিষ্ট পদক্ষেপ সম্পর্কে আমাদের কাছে তথ্য নেই।"
advertisement
10/13
MEA আরও স্পষ্ট করে জানায়, “আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কগুলি তাদের নিজস্ব গুরুত্বে দাঁড়িয়ে থাকে এবং কোনও তৃতীয় দেশের দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করা উচিত নয়। ভারত ও রাশিয়ার সম্পর্ক সুদৃঢ় এবং দীর্ঘস্থায়ী।”
advertisement
11/13
এর আগে বেশ কয়েকটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছিল, ভারতীয় রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলি সম্প্রতি রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল কেনা বন্ধ করেছে। এর পেছনে কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়, রাশিয়ান তেলের দামের সুবিধা হ্রাস এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চাপ, যা মস্কোর সঙ্গে জ্বালানি বাণিজ্য না করার জন্য ভারতের উপর চাপ সৃষ্টি করছে।
advertisement
12/13
বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অপরিশোধিত তেল আমদানিকারী দেশ ভারত, রাশিয়ার সী-বোর্ন তেলের অন্যতম প্রধান ক্রেতা।
advertisement
13/13
প্রসঙ্গত, ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন ভারত রাশিয়া থেকে ছাড়ের দামে তেল কিনে আসছে—এই নিয়ে আগেই ট্রাম্প ও মার্কিন বিদেশ সচিব মার্কো রুবিও ভারতকে প্রকাশ্যে সমালোচনা করেছিলেন। আর তার পরই গত বুধবার ট্রাম্প ভারতীয় পণ্যের উপর ২৫ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করেন, যার লক্ষ্য রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের বাণিজ্যিক সম্পর্ক কমানো।