IMD Weather Update: ২৮,২৯,৩০, ৩১ ডিসেম্বর...! ভারী বৃষ্টি-ঝোড়ো হাওয়ার হুঁশিয়ারি ৪ রাজ্যে, শৈত্যপ্রবাহ, কুয়াশার কাঁটা কোন কোন রাজ্যে? কী হবে বাংলায়? জানিয়ে দিল IMD

চড়া শীতের মাঝেই ফের আবহাওয়ার ভোলবদল। আবহাওয়া বিভাগ একটি নতুন সতর্কতা জারি করেছে। পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, যে একটি নতুন পশ্চিমা ঝঞ্ঝা সক্রিয় হতে চলেছে। এর ফলে, একাধিক রাজ্যে আবহাওয়া আরও খারাপ হতে চলেছে বর্ষশেষে।

দেশ জুড়ে ইতিমধ্যেই একটি পশ্চিমা ঝঞ্ঝা সক্রিয় রয়েছে, যার ফলে দেশের কিছু অংশে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। অন্যদিকে অন্যান্য অংশে তীব্র ঠান্ডা এবং শৈত্যপ্রবাহের পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

রাজধানী দিল্লি-এনসিআর-এ মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং তাপমাত্রার হ্রাস ধারাবাহিকভাবে লক্ষ্য করা যাচ্ছে, যা তীব্র ঠান্ডার কবল বজায় রেখেছে। ইতিমধ্যে, ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি) আরেকটি সতর্কতা জারি করেছে।

নববর্ষের আগে একটি নতুন পশ্চিমা ঝঞ্ঝা সক্রিয় হতে চলেছে, এই নতুন ঝঞ্ঝা দিল্লি-এনসিআর-সহ সারা দেশে আবহাওয়ার পরিবর্তন ঘটাবে এবং আগামী কয়েক দিনে বেশ কিছু জায়গায় মানুষের জন্য আবহাওয়া-সম্পর্কিত অসুবিধা বৃদ্ধি করবে।

আবহাওয়ার সিস্টেম:পরপর পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। জম্মু-কাশ্মীরে রয়েছে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। উত্তর-পশ্চিম ভারতে নতুন করে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ঢুকবে ৩০ ডিসেম্বর মঙ্গলবার। এই পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে। ফের বাধা উত্তর-পশ্চিম শীতল হাওয়ায়। আগামী সপ্তাহে উর্ধ্বমুখী হতে পারে পারদ।

সাব ট্রপিক্যাল ওয়েষ্টার্লি জেট স্ট্রীম রয়েছে উত্তর পূর্ব ভারতে। উত্তরবঙ্গের উপর রয়েছে একটি ঘূর্ণাবর্ত। গালফ অফ মানার এবং কোমোরিন এলাকায় রয়েছে আরো একটি ঘূর্ণাবর্ত।

ভিন রাজ্যের আবহাওয়া:শৈত্য প্রবাহের সর্তকতা ও পরিস্থিতি রাজধানী দিল্লি, পঞ্জাব, চণ্ডীগড়, হরিয়ানা এবং রাজস্থানে। ছত্রিশগড় এবং মধ্যপ্রদেশেও শৈত্য প্রবাহের পরিস্থিতি থাকবে ।

চরম শীতল দিনের পরিস্থিতি পরিলক্ষিত হবে পূর্ব উত্তর প্রদেশে। শীতল দিনের পরিস্থিতি বিহার, পশ্চিম উত্তর প্রদেশে।

আইএমডি পূর্বাভাসে, জানিয়েছে, উত্তরাঞ্চলীয় পাহাড়গুলিতে দুটি পশ্চিমা ঝঞ্ঝা সক্রিয় হচ্ছে, প্রথমটি ২৮ ডিসেম্বর এবং দ্বিতীয়টি ৩০ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারির মধ্যে সক্রিয়। এর ফলে জম্মু ও কাশ্মীর, হিমাচল প্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডের উচ্চতর অঞ্চলে বৃষ্টিপাত এবং তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে, যা পর্যটকদের নতুন করে তুষারপাত দেখার সুযোগ করে দেবে।

উত্তর পঞ্জাবের কিছু অংশেও হালকা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে, অন্যদিকে উত্তর প্রদেশ এবং বিহারে কুয়াশা অব্যাহত থাকবে। বছরের শেষের দিকে দক্ষিণ ভারতেও বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে।উত্তর পঞ্জাবের কিছু অংশেও হালকা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে, অন্যদিকে উত্তর প্রদেশ এবং বিহারে কুয়াশা অব্যাহত থাকবে। বছরের শেষের দিকে দক্ষিণ ভারতেও বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে।

ঘন কুয়াশার চরম সতর্কতা রাজধানী দিল্লিতে। উত্তর প্রদেশ, পঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডীগড়ে ঘন কুয়াশার চরম দাপট। বিহার, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরপ্রদেশে ঘন কুয়াশার চরম দাপট।

ঘন কুয়াশা থাকবে উত্তরবঙ্গ, সিকিম, ওড়িশাতে। কুয়াশা হবে মধ্যপ্রদেশ এবং হিমাচল প্রদেশে। উত্তর-পূর্ব ভারতের অরুণাচল প্রদেশ, অসম, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, মিজোরাম, ত্রিপুরাতেও ঘন কুয়াশার দাপট চলবে।

জম্মু-কাশ্মীর লাদাখ, মুজাফফরাবাদেও ঘন কুয়াশার সতর্কতা। আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া থাকবে ৩৫ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতিবেগে।

বাংলার আবহাওয়া:বর্ষশেষের দিনগুলিতে শীতের আমেজেই কাটবে। নববর্ষে শুরুতে সামান্য বাড়তে পারে তাপমাত্রা। রাজ্যে জমিয়ে শীতের পরিস্থিতি। তাপমাত্রা সামান্য বাড়ল। কলকাতায় তাপমাত্রা ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে।

পশ্চিমের জেলায় সামান্য বেড়ে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে তাপমাত্রা। আগামী সোম/মঙ্গলবার পর্যন্ত এই পরিস্থিতি থাকবে। বুধবার থেকে তাপমাত্রা ঊর্ধ্বমুখী হতে পারে। শুক্রবারের মধ্যে দুই - তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বাড়তে পারে।