স্বামী 'পুরুষ' তো...? ৫৪ বছর বয়সি হাসব্যান্ডকে আদালতে নিয়ে গেলেন স্ত্রী, মুম্বই হাইকোর্ট যা জানাল..., চাঞ্চল্যকর রায়!
- Published by:Sanjukta Sarkar
- news18 bangla
Last Updated:
Husband Wife Relationship News: সম্প্রতি মুম্বই আদালতে উঠে আসা একটি মামলা ঘিরে তীব্র শোরগোল পরে গিয়েছে দেশ জুড়ে। সোশ্যাল মিডিয়াতেও এই মামলা ঘিরে বিতর্কের ঝড় উঠেছে নেটিজেনদের মধ্যে। কী এমন ঘটনা যা কোর্টরুম থেকে বেরিয়ে এখন মানুষের ড্রইং রুমে তুলছে ঝড়?
advertisement
1/10

সম্প্রতি মুম্বই আদালতে উঠে আসা একটি মামলা ঘিরে তীব্র শোরগোল পরে গিয়েছে দেশ জুড়ে। সোশ্যাল মিডিয়াতেও এই মামলা ঘিরে বিতর্কের ঝড় উঠেছে নেটিজেনদের মধ্যে। কী এমন ঘটনা যা কোর্টরুম থেকে বেরিয়ে এখন মানুষের ড্রইং রুমে তুলছে ঝড়?
advertisement
2/10
জানা গিয়েছে, ২০১৭ সালের জুন মাসে বিয়ে করেছিলেন এক দম্পতি। বিয়ের পর মাত্র ১৭ দিন একসঙ্গে ছিলেন তাঁরা। এরপর, ২০১৭ সালের অক্টোবরে, স্ত্রী হিন্দু বিবাহ আইনের অধীনে বিবাহ বাতিলের জন্য দেওয়ানি আদালতে একটি আবেদন করেন।
advertisement
3/10
তিনি কারণ দর্শিয়ে জানিয়েছিলেন তাঁর স্বামীর পুরুষত্বহীনতার কারণেই তাঁর বিবাহ সফল হয়নি। স্ত্রী তাঁর স্বামীর ক্ষমতা, অর্থাৎ তাঁর যৌনতা এবং পুরুষত্ব পরীক্ষা করার জন্য একটি মেডিক্যাল পরীক্ষারও অনুরোধ করেছিলেন আদালতের কাছে।
advertisement
4/10
বোম্বে হাইকোর্ট এই বিষয়ে কী রায় দেয়?সেই সময়, সাতারা সিভিল হাসপাতালে কোনও বিশেষজ্ঞ না থাকায় ২০১৯ সালের মে মাসে, বিচারক পুনের সাসুন হাসপাতালকে স্বামীর পরীক্ষা করার নির্দেশ দেন। হাসপাতালটি ২০১৯ সালের অগাস্টে একটি রিপোর্ট জমা দেয়। AI Generated Image
advertisement
5/10
রিপোর্টে বলা হয় যে, এমন কোনও প্রমাণ নেই যে, ওই ব্যক্তি যৌন মিলনে অক্ষম ছিলেন। এই রিপোর্টটি পরে পারিবারিক আদালতে জমা দেওয়া হয়। একইসঙ্গে ডাক্তারের দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে একটি সওয়াল করা হয়। AI Generated Image
advertisement
6/10
এরপর স্ত্রী ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে ফের তাঁর স্বামীর পূর্ণাঙ্গ শরীরের পরীক্ষার জন্য আবেদন করেন। পারিবারিক আদালত তা গ্রহণ করে। এই ক্ষেত্রে স্বামী এই আবেদনকে হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ করেন। AI Generated Image
advertisement
7/10
হাইকোর্ট এই মামলায় জানায়, ওই মহিলার স্বামীকে বেশ কয়েকজন বিশেষজ্ঞ ইতিমধ্যেই পরীক্ষা করেছেন। এত বছর পর পুরুষত্ব পরীক্ষা করা ঠিক হবে না; কারণ এটি সর্বতোভাবে স্বীকৃত যে বয়সের সঙ্গে সঙ্গে ব্যক্তির যৌন আচরণ পরিবর্তিত হয়। বয়সের কারণে তাঁর যৌন প্রতিক্রিয়া বর্তমানে ধীর এবং কম তীব্র হতে পারে।
advertisement
8/10
অর্থাৎ এক্ষেত্রে তাঁর বয়স বৃদ্ধি মেডিক্যাল পরীক্ষাকে প্রভাবিত করতে পারে বলেই মনে করে আদালত। হাইকোর্ট জানায়, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের শরীরের পরিবর্তন হয়। তাই এটি সঠিক পরীক্ষার ফলাফল দেবে না।
advertisement
9/10
বিচারপতি মাধব জামদার এই মামলায় তাঁর মন্তব্যে স্পষ্ট বলেন, "২০১৭ সালে স্বামী পুরুষত্বহীন কিনা তা নির্ধারণের জন্য আট বছর পর মেডিক্যাল পরীক্ষার অনুমতি দেওয়া কোনওমতেই সঠিক এবং আইনসঙ্গত হবে না।" AI Generated Image
advertisement
10/10
অতএব, আট বছর বিয়ের পর বম্বে হাইকোর্ট পুরুষত্ব পরীক্ষা করতে স্পষ্টতই অস্বীকৃতি জানায়। হাইকোর্ট এই বিতর্কিত মামলায় পারিবারিক আদালতের সিদ্ধান্তও বাতিল করে দেয়। মামলায় স্ত্রীর আবেদন মঞ্জুর করে পারিবারিক আদালত যে আদেশ দিয়েছিল তাও বাতিল করেছে হাইকোর্ট।