গটগট করে DM অফিসে ঢুকে গেলেন যুবক! হাতের 'হলুদ ব্যাগে' কী...? খুলতেই হতভম্ব কন্সটেবল

একটি ভারী হলুদ বস্তা নিয়ে ডিএমের অফিসে প্রবেশ করেন এক যুবক। তাঁকে দেখে বাইরের পুলিশ সদস্যরা পথ আটকান, বস্তাটি পরীক্ষা করতে চান। এদিকে বস্তা খুলে পরীক্ষা করতে গিয়েই চক্ষু চড়কগাছ পুলিশকর্তাদের। কী ছিল সেই হলুদ বস্তায়?

যুবককে থামানোর চেষ্টা করা হলেও, তিনি থামেননি এবং সরাসরি কালেক্টর ম্যাডামের কেবিনের দিকে এগিয়ে যেতে থাকেন। গোলমাল বাড়তে দেখে, ডিএম তাঁকে ডেকে নেন।

অভিযোগ শোনার পর, কালেক্টর বললেন যে এই যুবকের নাম এখনই স্কিমের তালিকায় যোগ করা হোক। এটি শুনে যুবক অত্যন্ত খুশি হন।

মোহনা এলাকার বাসিন্দা সেই যুবকের নাম জিতেন্দ্র গোস্বামী। নিরাপত্তারক্ষীরা বস্তা খুলে দেখেন, ভিতরে অভিযোগ লেখা চিঠির স্তুপ। বিভিন্ন অফিসে জমা দেওয়া আবেদনের কপি নিয়ে তিনি এসেছিলেন। তিনি বলেন যে বহু আবেদন জমা দেওয়ার পরেও কোনও শুনানি হয়নি।

তাশ হয়ে তিনি অভিযোগপত্র ভর্তি বস্তা নিয়ে কালেক্টরেট পৌঁছান। মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়র জেলার কালেক্টরেট অফিসে এই ঘটনায় শোরগোল।

কী দাবি জিতেন্দ্রর? কালেক্টর রুচিকা চৌহান জিতেন্দ্রর সমস্যা মনোযোগ দিয়ে শোনেন। জিতেন্দ্র আবার একটি নতুন আবেদন জমা দেন। তাঁর দাবি, তাঁর স্ত্রী থাইরয়েড এবং অন্যান্য গুরুতর রোগে ভুগছেন। তিনি শ্রমিকের কাজ করে সংসার চালান। কিন্তু ২০১৮ সাল থেকে তিনি পিএম আবাস যোজনার জন্য একটি বাড়ির আবেদন করে আসছেন। নিয়ম অনুযায়ী তিনি যোগ্য হলেও তাঁর আবেদন শোনা হয়নি।

যোগ্য হওয়া সত্ত্বেও তিনি বারবার সরকারি অফিসের দ্বারস্থ হচ্ছেন। কালেক্টর রুচিকা চৌহান তাৎক্ষণিকভাবে অধীনস্ত কর্মচারীদের কাছ থেকে পূর্ণাঙ্গ তথ্য নিয়ে তাঁর নাম স্কিমে যুক্ত করান। এরপর জিতেন্দ্রর মুখে হাসি ফুটে ওঠে।

তিনি গোয়ালিয়র কালেক্টর এবং মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ড. মোহন যাদবকে ধন্যবাদ জানিয়ে তাঁকে "ছোটে মামা" বলে সম্বোধন করেন। জিতেন্দ্রর আশা নতুন বছর তাঁকে একটি নতুন ঘর উপহার দেবে।