Air India Plane Crash History: কখনও বিস্ফোরণ, কখনও পাহাড়ে আছাড়! এয়ার ইন্ডিয়ার 'কালো' ইতিহাস জানলে শিউরে উঠবেন...
- Published by:Sounak Chakraborty
- news18 bangla
Last Updated:
Air India Plane Crash History: কনিষ্কা বিস্ফোরণ থেকে শুরু করে কোঝিকোড় ও ম্যানগালোরের দুর্ঘটনা এয়ার ইন্ডিয়ার ইতিহাসে একাধিক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ভারতকে কাঁপিয়ে দিয়েছে। তালিকায় নতুন সংযোজন আহমেদাবাদের ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা, বিস্তারিত জানুন...
advertisement
1/10

ভারতের কোঝিকড়ে ঘটে যাওয়া এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের একটি ভয়াবহ দুর্ঘটনায় দেশ কেঁপে উঠেছিল। ২০২০ সালের ৭ আগস্ট দুবাই থেকে কোঝিকোড়গামী বোয়িং ৭৩৭ বিমানটি রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে এবং দু’ভাগে ভেঙে যায়। এই দুর্ঘটনায় ১৮ জন প্রাণ হারান, যার মধ্যে চারজন শিশু ও দুইজন পাইলট ছিলেন। যাত্রী ছিলেন মোট ১৯১ জন। এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এর আগে আরও একাধিকবার ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে এয়ার ইন্ডিয়া।
advertisement
2/10
ম্যানগালোর দুর্ঘটনা ২০১০ ২০১০ সালের ২২ মে এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের ফ্লাইট ৮১২ দুবাই থেকে ম্যানগালোরে আসছিল। নামার সময় বিমানটি রানওয়ে ছাড়িয়ে গিয়ে আগুন ধরে যায়। এই ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান ১৫৮ জন যাত্রী। এটি ভারতের অন্যতম ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা ছিল।
advertisement
3/10
কনিষ্কা বোমা বিস্ফোরণ ১৯৮৫ ২৩ জুন ১৯৮৫ সালে ‘কনিষ্কা’ নামে পরিচিত এয়ার ইন্ডিয়া ফ্লাইট ১৮২ টরন্টো থেকে দিল্লি আসার পথে মাঝ আকাশে বিস্ফোরিত হয়। খালিস্তানি জঙ্গিরা বিমানে গোপনে বোমা রেখে দেয়। আটলান্টিক মহাসাগরের উপর দিয়ে যাওয়ার সময় বোমাটি বিস্ফোরিত হয়। এতে ৩২৯ জন যাত্রী প্রাণ হারান। এটি কানাডার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় গণহত্যা বলে মনে করা হয়।
advertisement
4/10
আরব সাগরে দুর্ঘটনা ১৯৭৮ ১৯৭৮ সালের ১ জানুয়ারি, নতুন বছরের দিনে মুম্বাইয়ের সান্তাক্রুজ বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের মাত্র দুই মিনিট পরেই একটি এয়ার ইন্ডিয়া বিমান আরব সাগরে ভেঙে পড়ে। দুবাইগামী এই বিমানে থাকা ২১৩ জন যাত্রীর সকলেই নিহত হন। এটি এয়ার ইন্ডিয়ার ইতিহাসে সবচেয়ে মারাত্মক দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে একটি।
advertisement
5/10
সুইজারল্যান্ডের মন্ট ব্লাঙ্ক দুর্ঘটনা ১৯৬৬ ১৯৬৬ সালের জানুয়ারিতে এয়ার ইন্ডিয়া ফ্লাইট ১০১, বোয়িং ৭০৭ (কাঞ্চনজঙ্ঘা) সুইজারল্যান্ডের মন্ট ব্লাঙ্ক পর্বতে আছড়ে পড়ে। এতে বিমানে থাকা ১১৭ জন যাত্রী ও কর্মী সকলেই প্রাণ হারান। সেই দুর্ঘটনায় ভারতের পরমাণু বিজ্ঞানী হোমি জাহাঙ্গীর ভাভা-ও নিহত হন। বহু বছর পরও দুর্ঘটনাস্থলে বিমানের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার হয়।
advertisement
6/10
মন্ট ব্লাঙ্কে আরেক দুর্ঘটনা ১৯৫০: ১৯৫০ সালের নভেম্বরে একই মন্ট ব্লাঙ্ক অঞ্চলে এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস ফ্লাইট ২৪৫ দুর্ঘটনার শিকার হয়। এতে বিমানে থাকা ৪৮ জন যাত্রী নিহত হন। এই এলাকা যেন এয়ার ইন্ডিয়ার জন্য এক দুঃস্বপ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
advertisement
7/10
প্রতিটি দুর্ঘটনাই রেখে গেছে গভীর ক্ষত এই সমস্ত দুর্ঘটনা শুধু পরিবারগুলির জীবনকে ওলট-পালট করে দেয়নি, ভারতের বিমান চলাচল নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও জাতীয় মনোবলকেও প্রচণ্ড ধাক্কা দিয়েছে। প্রতি দুর্ঘটনার পর তদন্ত কমিটি গঠন করা হলেও প্রতিবারই ওঠে নিরাপত্তা ও পরিচালনা নিয়ে প্রশ্ন।
advertisement
8/10
নিরাপত্তা ও সাবধানতা আরও জরুরি এই দুর্ঘটনাগুলি ভবিষ্যতের জন্য সতর্কবার্তা হিসেবে কাজ করে। আরও কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা, প্রশিক্ষিত পাইলট ও নিয়মিত টেকনিক্যাল চেকই হতে পারে এমন দুঃখজনক ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকানোর পথ। এয়ার ইন্ডিয়ার মতো একটি ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানের কাছে জাতির প্রত্যাশাও অনেক।
advertisement
9/10
১৯৯৬: চরখি দাদরি মাঝআকাশে সংঘর্ষ চরখি দাদরি মাঝআকাশে সংঘর্ষটি ১২ নভেম্বর, ১৯৯৬ সালে হরিয়ানার চরখি দাদরি শহরের কাছে ঘটে এবং এটি এখনও পর্যন্ত বিমান চলাচলের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ মাঝআকাশ সংঘর্ষ হিসেবে বিবেচিত। এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি দুটি বাণিজ্যিক ফ্লাইট—সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্স ফ্লাইট ৭৬৩ এবং কাজাখস্তান এয়ারলাইন্স ফ্লাইট ১৯০৭—এর মধ্যে সংঘটিত হয়। বিমানের উচ্চতা নির্দেশনা লঙ্ঘন ও ভুল যোগাযোগের কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটে। উভয় বিমানের মোট ৩৪৯ জন যাত্রী ও ক্রু সদস্য এই দুর্ঘটনায় নিহত হন।
advertisement
10/10
১৯৯৩: ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্স ফ্লাইট ৪৯১ – ঔরঙ্গাবাদ ২৬ এপ্রিল, ১৯৯৩ সালে মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গাবাদ বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরেই ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্স ফ্লাইট ৪৯১ একটি ভয়াবহ দুর্ঘটনার শিকার হয়। বোয়িং ৭৩৭-২এ৮ মডেলের উক্ত বিমানটি উড্ডয়নের সময় রানওয়েতে অনধিকারভাবে প্রবেশ করা একটি ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কা খায়। সংঘর্ষের কারণে বিমানটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিধ্বস্ত হয় এবং সঙ্গে সঙ্গে আগুন ধরে যায়। বিমানে থাকা ১১৮ জন যাত্রী ও ক্রু সদস্যের মধ্যে ৫৫ জন এই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান।