বিয়ের জন্য 'পারফেক্ট' বয়স কত জানেন...? কোন Age বিয়ের জন্য সেরা! উত্তর বলে দিল গবেষণা

বিয়ের জন্য আদর্শ বয়স: বিয়ে জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলির মধ্যে একটি। বিয়ে শুধু দুটি মানুষের মধ্যে সম্পর্কের সূচনা নয়, এই বন্ধনেই সামাজিক সিলমোহর মেলে সহবাসের। আবার দুটি পরিবারের মধ্যেও গড়ে ওঠে নতুন সম্পর্ক।

বিয়ের ক্ষেত্রে প্রায়শই একটি বিষয় মনে আসে তা হল বিয়ের জন্য সঠিক বয়স কত হওয়া উচিত? তবে, এই প্রশ্নের সহজ উত্তর দেওয়া খুবই কঠিন, কারণ বিবাহ সম্পর্কে প্রতিটি ব্যক্তির নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে।

আজকাল জীবনের যে কোনও সিদ্ধান্তই অত্যন্ত পরিকল্পনা করেই নেওয়া হয়। কোন বয়সে আপনার এবং আপনার সঙ্গীর বিবাহের পরিকল্পনা করা উচিত তা নিঃসন্দেহে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কিন্তু বিবাহের জন্য সেরা বয়স কোনটি সেটা জানা জরুরি?

প্রশ্নের উত্তর জানতে সেন্টার ফর মেন্টাল হেলথের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট নুপুর ঢাকেফালকরের পরামর্শ "প্রথমেই জানা জরুরি আপনি বিয়ের জন্য প্রস্তুত কিনা।"

তাঁর পরামর্শে নুপুর বলেন, "বিয়ের জন্য প্রস্তুত থাকা গভীর ভালোবাসার বাইরেও বিস্তৃত; এটি দুজনের মূল্যবোধের, প্রতিশ্রুতির এবং মানসিক পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে।"

তাহলে বিয়ের জন্য কি আদৌ সঠিক বয়স আছে? নূপুর বলেন, "বিয়ের জন্য সবচেয়ে ভাল সময় হল মানসিক এবং আর্থিকভাবে প্রস্তুত থাকার সময়। তাঁর মতে, "বিয়ের জন্য সঠিক সময় হল যখন উভয় সঙ্গীর মধ্যে স্বচ্ছ আত্মবোধ তৈরি হয়, তাঁরা তাঁদের সঙ্গীর কাছ থেকে কী চায় তা জানা জরুরি।"

বিশেষজ্ঞের মতে, "৩০ বা ৪০ বছর বয়সে, অনেক ব্যক্তি তাঁদের ব্যক্তিগত মূল্যবোধ, লক্ষ্য এবং একজন সঙ্গীর কাছ থেকে তাঁরা কী চায় সে সম্পর্কে আরও স্পষ্ট ধারণা অর্জন করেন। তাই এই বয়সের মধ্যে বিয়ে করা যেতে পারে।"

আসলে বিয়ের জন্য কোনও একটি বয়স নির্ধারণ করা খুব একটা সহজ নয়। কিন্তু গত কয়েক বছরে কিছু ভিন্ন ধরণের গবেষণা উঠে এসেছে যেখানে বিয়ের বয়স সম্পর্কে কিছু বিশেষ তথ্য দেওয়া হয়েছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক কী বলছে এই সমীক্ষা।

২৫ বছর:হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণা অনুসারে, একজন ব্যক্তির ২৫ বছর বয়সে বিয়ে করা উচিত। এই গবেষণায় বলা হয়েছে যে পুরুষদের জন্য ২৫ বছর বয়সে বিয়ে করা বেশি ভাল। গবেষণায় একটি বড় দাবি করা হয়েছে যে, পুরুষদের ক্ষেত্রে বিবাহে বয়সের ব্যবধান যত বেশি হবে, তাদের আয়ু তত বেশি হবে।

২৬ বছর:২০১৬ সালে প্রকাশিত একটি বইতে, বিয়ের জন্য সর্বোত্তম বয়স ২৬ বছর বলা হয়েছিল। এই বই অনুসারে, যদি আপনি ২৬ বছরের কম বা তার বেশি বয়সে বিয়ে করেন, তাহলে সম্পর্কের মধ্যে ঝগড়া হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

এই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে আপনি যত বেশি বিয়ে করতে দেরি করবেন, আপনার জীবনসঙ্গী খুঁজে পেতে তত বেশি অসুবিধা হবে। এই বইটির নাম: অ্যালগরিদম অফ লিওবি দ্য কম্পিউটার সায়েন্স অফ হিউম্যান ডিসিশনস।

২৮ বছর:তবে একটি আমেরিকান গবেষণা অনুসারে, ২৮ বছর হল বিয়ের জন্য সর্বোত্তম বয়স। জরিপে দাবি করা হয়েছে যে ২৮ থেকে ৩২ বছর বয়সের মধ্যে বিয়ে করলে বিবাহবিচ্ছেদের ঝুঁকি কমে যায়। সমীক্ষায় বলা হয়েছে যে অল্প বয়সে বিয়ে করলে বিবাহবিচ্ছেদের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

৩০ বছর:পর্তুগালের কুইম্বারা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় দাবি করা হয়েছে যে বিয়ের বয়স ৩০ বছর হওয়া উচিত। এই গবেষণায় বলা হয়েছে যে ৩০ বছর বয়সের আগে বিয়ে মহিলাদের জন্য ভাল। এই গবেষণায়, ৩০ বছর পর মেয়েদের মা হওয়ার সময়কালও বেশি থাকে।

ইনস্টিটিউট ফর ফ্যামিলি স্টাডিজের একটি গবেষণায় ন্যাশনাল সার্ভে অফ ফ্যামিলি গ্রোথ (ইউএস) থেকে প্রাপ্ত তথ্য (২০০৬-২০১০) পর্যালোচনা করা হয়েছে এবং দেখা গিয়েছে যে ৩২ বছর বয়সের আগে, বিবাহের প্রতিটি বছর বিবাহবিচ্ছেদের সম্ভাবনা ১১ শতাংশ কমিয়ে দেয়।