Psychology: সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘাপটি মেরে বসে, কোনও লাইক নয়-কোনও কমেন্ট নয়! এমন 'নীরব স্ক্রোলারদের' চারিত্রিক বৈশিষ্ট চমকে দেবে

সোশ্যাল মিডিয়ায় স্ক্রোল করাটা এখন আমাদের প্রত্যেকেরই বহু সময়ের কাজ। ইচ্ছে-অনিচ্ছেতেই হাত চলে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। লাইক-কমেন্টের ফাঁদে সারাদিনের বহু সময়ই আমরা ব্যয় করি সোশ্যাল মিডিয়ায়।

কিন্তু আমাদের মধ্যেই এমন বেশ কয়েকজন রয়েছেন, যাঁরা সোশ্যাল মিডিয়ায় দীর্ঘ সময় থাকলেও কোনও লাইক বা কমেন্ট বা পোস্ট করেন না। মনস্তত্ত্বের দিক থেকে এমন মানুষদের চারিত্রিক কিছু বৈশিষ্ট রয়েছে।

নিশ্চুপ স্ক্রোলারদের এই চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যগুলি জানলে আপনি চমকে যাবেন। মনস্তাত্ত্বিক ঊর্বশী বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে, ৫টি বিশেষ চারিত্রিক গুণাগুণ রয়েছে এমন নেটিজেনের।

ডিজিটাল সংস্কৃতিতে, দৃশ্যমানতা অংশগ্রহণের মতো দেখায়। ঘন ঘন পোস্ট করুন, দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানান, প্রাসঙ্গিক থাকুন। যে কেউ কন্টেন্টের ধারায় যোগদান করেন না তাকে বিচ্ছিন্ন বা যোগাযোগের বাইরে দেখা যাওয়ার ঝুঁকি থাকে।

তবে মনোবিজ্ঞানীরা এখন ভিন্ন চিত্র আঁকতে শুরু করেছেন। যারা মূলত পোস্ট বা মন্তব্য না করেই ব্রাউজ করেন তাদের মধ্যে মানসিক বৈশিষ্ট্যের একটি গোষ্ঠী থাকে। তাঁরা সোশ্যাল মিডিয়ার সঙ্গে আরও ব্যক্তিগতভাবে, ইচ্ছাকৃতভাবে সম্পর্কিত হন, এটিকে মঞ্চের মতো কম এবং একটি জানালার মতো বেশি দেখেন।

এখানে পাঁচটি বৈশিষ্ট্য দেওয়া হল যা অনেক "সর্বদা অনলাইনে থাকেন, কখনও পোস্ট করেন না" ব্যবহারকারীর মধ্যে মিল রয়েছে-- আর আজ আমরা সকলেই সামাজিক প্ল্যাটফর্ম কীভাবে ব্যবহার করি তার উপর এর অর্থ কী।

মনস্তাত্ত্বিকের মতে, উচ্চ আত্ম-সচেতনতা এবং ক্রমাগত স্ব-সম্পাদনা, অভিনয়ের চেয়ে দেখার প্রতি বেশি ঝোঁক, আবেগগত প্রকাশের প্রতি সতর্ক দৃষ্টিভঙ্গি, চিন্তাভাবনার একটি প্রতিফলনশীল এবং বিশ্লেষণাত্মক উপায় ও লাইক এবং জনসাধারণের অনুমোদনের উপর কম নির্ভরতা।

অনেক গবেষণায় দেখা গেছে যে ব্যবহারকারীদের একটি বিরাট অংশ এইভাবে আচরণ করে: তারা পোস্টের চেয়ে অনেক বেশি পড়ে। তারা অদৃশ্য শ্রোতা যারা কখনও কথা না বলেই অ্যালগরিদম গঠন করে। তাদের স্ক্রলিং, বিরতি এবং পুনরায় দেখা এখনও ডেটা মেশিনকে ফিড করে।

এগুলো উপেক্ষা করলে অনলাইন মতামত সম্পর্কে একটি বিকৃত দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি হয়। মন্তব্য বিভাগ এবং ভাইরাল পোস্টগুলি প্রায়শই সবচেয়ে উচ্চস্বরে ব্যক্তিত্বকে প্রতিফলিত করে, গড় ব্যবহারকারীর নয়।

নীরব স্ক্রোলাররা সবচেয়ে উচ্চস্বরে অসম্মতি জানাতে পারে, কিন্তু জনসমক্ষে তা না বলা বেছে নেয়, যা প্রান্তিক মতামতকে তাঁদের চেয়ে বেশি মূলধারার করে তুলতে পারে।