Most Poisonous Plants: ভয়ঙ্কর বিষে টইটম্বুর এই গাছগুলি, বিষের তেজ সাপের থেকেও বেশি! এক ছোঁয়াতেই ছবি হতে পারেন আপনিও...

ম্যানচিনিল গাছ এই গাছকে পৃথিবীর সবচেয়ে বিষাক্ত গাছ হিসেবে ধরা হয়। এর ফল, পাতা এবং ছাল থেকে যে রস বের হয় তা এতটাই বিষাক্ত যে ছোঁয়ার সাথেই ত্বকে ফোসকা, জ্বালা এবং চোখে লাগলে অন্ধত্ব হতে পারে। এই গাছ মূলত ক্যারিবিয়ান, মধ্য এবং দক্ষিণ আমেরিকায় পাওয়া যায়। এর ফলকে বলা হয় "মৃত্যুর আপেল" (Death Apple)।

ক্যাস্টর বিন গাছ এই গাছের বীজে থাকা ‘রাইসিন’ নামক বিষ অত্যন্ত প্রাণঘাতী। এটি সাপের বিষের থেকেও অনেক বেশি শক্তিশালী। একটি ছোট বীজ গিললেই মৃত্যু হতে পারে, কারণ রাইসিন শরীরের কোষ ধ্বংস করে এবং দ্রুত মৃত্যুর কারণ হতে পারে। এর কোনো প্রতিষেধক নেই।

ডেডলি নাইটশেড এই গাছের ফল ও পাতা ভয়ংকর বিষে ভরপুর। এতে থাকে অ্যাট্রোপিন, স্কোপোলামিন এবং হায়োসায়ামিন। এসব উপাদান খাওয়া হলে পক্ষাঘাত, হার্টবিট বন্ধ হওয়া বা ধীরে ধীরে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। এর প্রভাব ধীরে হলেও মরণঘাতী।

রোসারি পি (গুঞ্জা) এই গাছের লাল-কালো বীজ ‘গুঞ্জা’ নামে পরিচিত এবং এতে থাকে ‘অ্যাব্রিন’ নামের বিষ। এটি রাইসিনের থেকেও মারাত্মক। মাত্র একটি বীজ চিবালেই মৃত্যু হতে পারে। এই গাছ ভারতে এবং অন্যান্য উষ্ণমণ্ডলীয় দেশে পাওয়া যায়।

ওয়াটার হেমলক এই গাছ উত্তর আমেরিকার সবচেয়ে বিষাক্ত গাছ বলে বিবেচিত। এতে থাকে সিকিউটক্সিন, যা স্নায়ুতন্ত্রকে আক্রমণ করে। কয়েক মিনিটের মধ্যে খিঁচুনি, শ্বাস বন্ধ এবং মৃত্যুর কারণ হয়ে উঠতে পারে। এটি সাপের নিউরোটক্সিনের থেকেও তীব্র কাজ করে।

সাপের বিষ বনাম গাছের বিষ সাপের বিষ যেমন কোবরা বা র‍্যাটলস্নেকের তা মূলত নিউরোটক্সিন, হেমোটক্সিন বা সাইটোটক্সিন হয়। যদিও এটি মারাত্মক, তবে অ্যান্টি-ভেনম থাকায় চিকিৎসা সম্ভব। কিন্তু রাইসিন, অ্যাব্রিন বা সিকিউটক্সিন-এর মতো গাছের বিষের কোনো তাৎক্ষণিক প্রতিকার নেই এবং তা দ্রুত কোষ বা স্নায়ু ধ্বংস করে।

সতর্কতা এবং করণীয় এই ধরনের গাছপালা বাড়িতে বা বাগানে রোপণ করা উচিত নয়, বিশেষত যদি বাড়িতে শিশু বা পোষা প্রাণী থাকে। এই গাছগুলো চিনে রাখা এবং এদের থেকে দূরে থাকা আবশ্যক।

সচেতনতা জরুরি এই বিষাক্ত গাছগুলো প্রাকৃতিক হলেও প্রাণঘাতী। তাই গাছপালা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো, ও নিজেকে ও পরিবারকে নিরাপদ রাখা সকলের দায়িত্ব।