সপ্তম শ্রেণীর পড়ুয়া শোভনের শারদীয়া মানে নিজের হাতে প্রতিমা তৈরি করে পুজো..., দেখলে চমকে যাবেন!

বাগনান, রাকেশ মাইতি: নিজে হাতে গড়া প্রতিমা'য় এবার দুর্গা পুজো স্কুল পড়ুয়া শোভনের! লেখা-পড়ার ফাঁকে একটু একটু করে দিন কয়েকের চেষ্টায় প্রতিমা গড়া। গতবারের পর এবার দ্বিতীয় প্রতিমা তৈরি শোভনের। এবার আরও আকর্ষণের প্রতিমা তৈরি করছে ছোট্ট শোভন।

সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র শোভন মাজি। গতবছর কাগজ কাটিং করে রঙ এবং আঠা জোড়া লাগিয়ে লক্ষ্মী দুর্গা সরস্বতী কার্তিক গণেশ সহ দেবী দুর্গার মূর্তি তৈরি করেছিল। শৈশব থেকে ছবি অঙ্কনে ভীষণ ভাল লাগা। সেই ভাল লাগার বসেই বাবার কাছে আবদার রেখে গত বছর রঙিন কাগজ কিনে প্রথম প্রতিমা তৈরি। তারপর সেই প্রতিমা নিজে হাতে পুজোও করে সে। (ছবি ও তথ্য: রাকেশ মাইতি)

বাব স্বপন মাজি পরিবারে বাবা, মা, ঠাকুরমা, বোন ও শোভনের ছোট্ট পরিবার। বাড়ি থেকে মিনিট কয়েকের দূরত্বে গ্রামে একটি মাত্র দুর্গাপুজো অনুষ্ঠিত হয়। দুর্গাপুজোর আনন্দ বলতে গ্রামের পুজো। তবে গত বছর থেকে, সেদিকে খুবএকটা পা বাড়ায় না শোভন। পুজোর কয়েকটা দিন নিজের প্রতিমাকে পুজো এবং প্রতিমার তত্ত্বাবধন করতেই ব্যস্ত থাকে সে। (ছবি ও তথ্য: রাকেশ মাইতি)

প্রায় এক ফুট উচ্চতার দুর্গা। কয়েকদিন আগে থেকেই প্রতিমা গড়ার প্রস্তুতি নেয় শোভন, এদিকে উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষার কারণে স্কুল ছুটি। স্কুল টিউশন সেরে নিজের খেলার সময় বাঁচিয়ে প্রতিমা তৈরি করে। এদিকে স্কুল ছুটি হওয়ায় হাতে আরও বেশি সময়। ফলে প্রতিমা গড়ার কাজ দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে। মাটির প্রতিমা কাগজের সাজ এবং সোলার গয়না ও অস্ত্র। প্রতিমা গড়ার কাজ প্রায় শেষ দিকে। গত বছরের মত এবারও সপ্তমী থেকে দশমি নিজে হাতেই পুজো করবে বলে জানিয়েছে শোভন। বাবা মা বোন পুজোয় প্রতিমা দর্শনে বের হলেও শোভনের দুর্গা পুজো মানে নিজে হাতে প্রতিমা গড়া এবং সপ্তমী থেকে দশ মিনিট চার দিন নিজের মতো করে, নিজে হাতে প্রতিমা পুজো। (ছবি ও তথ্য: রাকেশ মাইতি)

টেপুর হাই স্কুলের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র শোভন মাজি। গত বছর কাগজে রঙ লাগিয়ে কাটিং করে আঠা জোড়া লাগিয়ে প্রতিমা গড়া। এবছর মাটি কাগজ আর শোলা'র সাহায্যে আরও আকর্ষণীয় প্রতিমা তৈরি করছে শোভন। গত বছরের প্রতিমা সযত্নে নিজের ঘরেই রেখেছে শভোন। তবে এবার প্রতিমা তৈরিতে মাটি ব্যবহার হয়েছে। তাই পুজো শেষে জলে ভাসান দেবে প্রতিমা এমনটাই জানিয়েছে শোভন। (ছবি ও তথ্য: রাকেশ মাইতি)