Weight Loss Tips: ৫০ বছরেও মোমের মত গলবে মেদ, 'এই' টোটকাতেই তরতর করে কমবে ওজন, যৌবনও হবে তরতাজা...!

বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছু মানুষের ওজনও বাড়তে থাকে। ওজন বৃদ্ধি অনেক গুরুতর রোগের জন্ম দিতে পারে। বিশেষ করে ৫০ বছর বয়সের পরে, শরীরে বিপাকীয় পরিবর্তন ঘটে। যার কারণে দ্রুত ওজন বাড়ার সম্ভাবনা থাকে। এমন পরিস্থিতিতে কিছু সহজ পদ্ধতি মেনে চললেই ওজন কমবে তরতরিয়ে৷

৫০ বছর হয়ে গেছে মানেই জীবনটা থেমে গেল তেমনটা মোটেই নয়৷ কীভাবে ৫০-এর পর ওজন কমাতে পারবেন৷ জেনে নিন সহজ পদ্ধতি৷

হেলথলাইনের খবর অনুযায়ী, ৫০ বছর বয়সের পর ওজন কমাতে হলে বেশি ক্যালরি পোড়াতে হবে। এর জন্য সবার আগে দিনের বেলা বেশিক্ষণ বসে থাকা এড়িয়ে চলুন। মাঝখানে অল্প বিরতি নিয়ে একটু হাঁটাহাঁটি করুন।

প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় প্রোটিনের পরিমাণ বাড়ানো ওজন কমাতেও সাহায্য করে। আসলে, প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খেলে পেশী ক্ষয় হয় না। সেই সঙ্গে মেদ কমায়।

ওজন কমাতে ঘরে রান্না করা খাবার সবচেয়ে ভাল। বাইরের খাবার অনেক বেশি তৈলাক্ত এবং মশালাদার। তবে শুধু স্থূলতা নয়, অস্বাস্থ্যকর খাবার অনেক রোগের কারণ হতে পারে। তাই ঘরে তৈরি খাবার খেলে শরীরে অতিরিক্ত মেদ বৃদ্ধি রোধ করা যায়।

বয়স বাড়ার পর স্থূলতা কমাতে পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া ভাল। খাদ্যতালিকায় তাজা ফল ও সবজি যোগ করুন। তাজা ফল ও শাকসবজি খেলে শুধু ওজন কমে না, কোমরের মেদ ও শরীরের মেদও কমে।

৫০ বছর বয়সের পরে, দীর্ঘ সময় ব্যায়াম করা সম্ভব হয় না। এর জন্য ওজন কমাতে দৌঁড়, হাঁটা, বাইক চালানো এবং সাঁতার কাটতে পারেন৷ এগুলি করে আপনি সহজেই ওজন কমাতে পারেন।

রাতে কম খাওয়ার ফলেও দ্রুত ওজন কমে যায়। আসলে,দিনের বেলা খাবার সহজে হজম হয়। কিন্তু রাতে ঘুমানোর আগে খাবার খেলে শরীরে ক্যালরির পরিমাণ বেড়ে যায়। যার কারণে মেটাবলিক সিনড্রোম, উচ্চ রক্তচাপ, পেটের চর্বি বাড়তে পারে।

মিষ্টি খেলে শরীরের চর্বিও দ্রুত বৃদ্ধি পায়। ৫০ বছর বয়সের পরে মিষ্টি খাওয়া কমিয়ে দিন। বিশেষ করে কেক, কুকিজ, আইসক্রিম, মিষ্টি দই এবং চিনি যুক্ত জিনিস কম খান। যার কারণে ক্যালরির পরিমাণ বাড়বে না এগুলো মেনে চললে আপনি সহজেই ওজন কমাতে পারবেন।