Health and lifestyle: সন্তানধারণে সমস্যার শিকড় যে এখানে লুকিয়ে, জানেনই না ৯৯ শতাংশ মহিলা! মাত্র ৫০ টাকায় এখনই করুন এই পরীক্ষা

মা হওয়ার স্বপ্ন কে না দেখেন৷ কিন্তু, বর্তমানে আমাদের জীবনধারা যে পর্যায়ে পৌঁছেছে, তাতে আমরা অনেকেই একটু বেশি বয়সে সন্তানধারণের পরিকল্পনা শুরু করতে বাধ্য হচ্ছি৷ এই সমস্যা শহুরে সমাজে তো বটেই, শহরতলি কিংবা গ্রামেও খুব একটা বিরল নয়৷ বহু মহিলাই এখন স্বাভাবিক ভাবে সন্তানধারণ করতে গিয়ে সমস্যার মুখে পড়ছেন৷ বারবার বিফল হয়ে শেষে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হচ্ছে৷ জলের মতো খরচ হচ্ছে টাকা৷ সঙ্গে একের পর এক পরীক্ষা নিরীক্ষা৷

মুম্বইয়ের একটি হাসপাতালে করা গত কয়েক বছরের গবেষণা বলছে, ৩০ থেকে ৩৫ বছর বয়সি মহিলা, যাঁদের গর্ভধারণে সমস্যা হচ্ছে, তাঁদের মধ্যে ৫৪ শতাংশের ক্ষেত্রেই কারণ AMH অর্থাৎ, অ্যান্টি মুলারিয়ান হরমোন৷ চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, কোনও মহিলার রক্তে AMH-এর মাত্রা যদি ১.০-৪.০ ng/ml-এর মধ্যে থাকে, তবে তা স্বাভাবিক৷ কিন্তু, যদি তা ১.০-এর নীচে থাকে তাহলে সমস্যা আছে৷

AMH কম থাকার অর্থ কম উর্বর ডিম্বাণু। ডিম্বাণুর সংখ্যাতেও ঘাটতি। এর ফলে সন্তানধারণে গুরুতর বাধা আসতে পারে৷ PCOD, PCOS-এর মতো রোগও গর্ভধারণে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। এতে মহিলাদের ডিম্বাণু তৈরির প্রক্রিয়া হয় দুর্বল হয়ে পড়ে, নাহলে তাদের গুণমান নষ্ট হয়ে যায়।

ডক্টর কামিনী জানান, যে সমস্ত মহিলারা গর্ভধারণ করতে চান, প্রথমে তাঁদের জীবনধারা পরিবর্তন করতে হবে। স্থূলতা থাকলে তা কমাতে হবে, ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। স্থূলতা ডায়াবেটিসের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে। যদিও সাধারণত প্রত্যেকেরই রুটিন চেকআপের অংশ হিসাবে তাদের রক্তে শর্করার মাত্রা পরীক্ষা করানো উচিত, তবে গর্ভধারণের চেষ্টা করার সময় মহিলাদের প্রতি ৬ মাস অন্তর তাদের ব্লাড সুগার পরীক্ষা করা উচিত।

ডাঃ ধীমান জানান, শরীরে লুকিয়ে বাসা বেঁধে থাকা ডায়াবেটিস গর্ভধারণের ক্ষেত্রে একটি বড় বাধা। শুধুমাত্র কর্মব্যস্ত মহিলারাই নন, যাঁরা হাউজ ওয়াইফ তাঁদেরও নিয়মিত ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা উচিত৷

মাত্র ৫০ টাকাতেই রক্তে শর্করার মাত্রা পরীক্ষা করে জানা যায়। সুগার টেস্টিং আজকাল বেশ সস্তা। এমনকি, কিট মেশিন কিনে নিলে বাড়িতেও করা যায় এই পরীক্ষা। যে সমস্ত মহিলা গর্ভধারণের চেষ্টা করছেন, হাসপাতালে যাওয়ার আগে এবং হাজার হাজার টাকা খরচ করে অন্য পরীক্ষা করার আগে ৫০-১০০ টাকা দিয়ে ব্লাড সুগার চেক করুন।