General Knowledge: বাংলাদেশের 'জাতীয়' পশু কী বলুন তো...? 'নাম' শুনলে এখনই চমকাবেন, শিওর!

সাধারণ জ্ঞান আমাদের প্রতি মুহূর্তে চমকে দেয়। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় জানাশোনা তথ্যই সাধারণ জ্ঞানের মোড়কে নতুন মাত্রা পায়। আমরাও শুনেই তাজ্জব হয়ে যাই। আজ এই প্রতিবেদনে সাধারণ জ্ঞানের এমন একটি তথ্য শেয়ার করব যা শুনলে আপনিও আকাশ থেকে পড়বেন।

সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে সারা বিশ্বে শিরোনামে উঠে এসেছে বাংলাদেশ। ভারতের প্রতিবেশী এই দেশের সঙ্গে আচমকাই পাল্টে যাচ্ছে ভারতের সম্পর্কের সমীকরণ। আর দুই দেশের মধ্যে চলতি অশান্তির জেরে প্রায় প্রতিদিনই নতুন নতুন খবর ঘিরে তোলপাড় পরে যাচ্ছে গোটা বিশ্ব জুড়ে।

এমন পরিস্থিতিতে আজ এই প্রতিবেদনে আমরা আপনাকে এই বাংলাদেশ সম্পর্কে খুবই সাধারণ একটি জেনারেল নলেজের প্রশ্ন তুলে ধরব যার উত্তর কিন্তু এত কাছের প্রতিবেশী দেশ হওয়া সত্ত্বেও আমরা অনেকেই জানি না।

আমরা সকলেই জানি ভারতের জাতীয় পশু, বাঘ। জঙ্গলের আরও সব পশুদের মধ্যে শক্তিধর এই পশুটি এমনিতেই বিশ্বজুড়ে অত্যন্ত জনপ্রিয়। এই বাঘেদের মধ্যে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার হল ভারতের জাতীয় পশু।

জানা যায়, ১৯৭৩ সালের এপ্রিল মাসে ভারতে বাঘেদের সংরক্ষণে, ব্যার্ঘ্র প্রকল্প চালু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারকে ভারতের জাতীয় পশু হিসাবে ঘোষণা করা হয়।

জানা যায়, ১৯৭৩ সালের এপ্রিল মাসে ভারতে বাঘেদের সংরক্ষণে, ব্যার্ঘ্র প্রকল্প চালু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারকে ভারতের জাতীয় পশু হিসাবে ঘোষণা করা হয়।

বন্য বিড়াল পরিবারের সব চেয়ে সেরা ও শক্তিধর প্রাণীটি নিঃসন্দেহে বাঘ। তিমির পরে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্তন্যপায়ী প্রাণীও এটি। এরা নির্জনতা পছন্দ করা এক প্রাণী। তবে অবশ্যই কয়েক দিন পরপরই এদের ক্ষুধা নিবারণের জন্য শিকারের সন্ধান করতে হয়। এরা সাধারণত জোড়ায় বা দলবদ্ধ ভাবে শিকার করে থাকে।

অনেক সময় প্রশ্ন ওঠে, কেন রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারই জাতীয় পশুর মর্যাদা পেল? কেন সিংহ বা অন্য পশু নয়? আপনি কখনও ভেবে দেখেছেন কী এই প্রশ্নের উত্তর? বস্তুত কয়েক দশক আগেও কিন্তু ভারতের জাতীয় পশু ছিল অন্য।

অবাক হবেন জানলে যে বাঘের আগে ভারতের জাতীয় পশু ছিল সিংহ। অশোক স্তম্ভেও সেই সিংহ রয়েছে। কিন্তু সিংহের পরিবর্তে বাঘকে জাতীয় পশু ঘোষণা করার নেপথ্যে ছিল বন্যপ্রাণ সংরক্ষণের তাগিদ।

সাতের দশকে দেশে বাঘের সংখ্যা বিপজ্জনক ভাবে কমে আসে। বাঘের সংখ্যাবৃদ্ধি এবং তাদের বাঁচাতেই বাঘকে জাতীয় পশু ঘোষণা করা হয়। ১৯৭৩ সালের এপ্রিল মাসে বাঘকে জাতীয় পশুর স্বীকৃতি দেওয়া হয়। সেই বছরই উত্তরাখণ্ডের জিম করবেট ন্যাশনাল পার্ক থেকে ব্যাঘ্র প্রকল্পের সূচনা করে তদানীন্তন সরকার।

জাতীয় পশু নির্বাচনের ক্ষেত্রে সাধারণত কিছু মাপকাঠি থাকে। সৌন্দর্য এবং আকর্ষণের পাশাপাশি সেই পশুটি সেই দেশের নিজস্ব পশু কি না, তাও দেখা হয়। আবার সংরক্ষণের প্রয়োজন রয়েছে, এমন পশুকেও জাতীয় পশুর স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

জানলে অবাক হবেন রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক খ্রিষ্টপূর্ব ২৫ সাল থেকেই। সিন্ধু সভ্যতার নিদর্শনেও রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার আঁকা থাকতে দেখা গিয়েছে।

আবার প্রাক আর্য সমাজে শিবের মূর্তি পাশে থাকত বাঘ। মহেঞ্জোদাড়ো সভ্যতার নিদর্শনে এর হদিশ মিলেছে। উত্তর ভারতের বাঘেল রাজপুতদের বাঘের উপাসকদের বংশধর হিসেবে ধরা হয়। যে কারণে বাঘেল রাজপুতরা কখনও বাঘ শিকার করেন না।

এখন বলুন তো দেখি আমাদের প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশের জাতীয় পশুটি কী? আকাশ থেকে পড়বেন শুনলে যে বাংলাদেশের জাতীয় পশু হল রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার। আর বাংলাদেশের জাতীয় পাখি হল দোয়েল পাখি।

নিন্দুকেরা অবশ্য বলে থাকেন বাংলাদেশ এই বিষয়ে ভারতকে নকল করেছে। আর তাই জন্যেই রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারকে নিজেদের জাতীয় পশু হিসেবে ঘোষণা করেছে।

কিন্তু বাস্তব হল, বাংলাদেশেও অত্যন্ত জনপ্রিয় এই পশুটি। শুধু তাই নয় এখনও পর্যন্ত পরিসংখ্যান অনুযায়ী বাংলাদেশে ৪৫০টি বা তারও বেশি বাঘ রয়েছে বলেই জানা যায়।