Frequent Urination: দিনে বারবার প্রস্রাব? হতে পারে ওভারঅ্যাকটিভ ব্ল্যাডারের সমস্যা, অবহেলা করলে বাড়তে পারে ঝুঁকি!
- Published by:Sounak Chakraborty
- news18 bangla
Last Updated:
Frequent Urination: দিনে ৮ বারের বেশি বা রাতে ২ বারের বেশি প্রস্রাব হলে তা ওভারঅ্যাকটিভ ব্ল্যাডারের লক্ষণ হতে পারে। এই সমস্যার পিছনে রয়েছে নানা কারণ এবং সময়মতো চিকিৎসা না করলে জীবনযাত্রায় বড় প্রভাব পড়তে পারে, বিস্তারিত জানুন...
advertisement
1/10

অনেক মানুষ আছেন যারা দিনের মধ্যে বারবার প্রস্রাবের প্রয়োজন অনুভব করেন, যা অত্যন্ত অস্বস্তিকর ও বিরক্তিকর হয়ে ওঠে। ঘন ঘন টয়লেট যাওয়া যেন অভ্যাসে পরিণত হয়ে যায়। এই অবস্থাকে হালকাভাবে নেওয়া উচিত নয়, কারণ এটি ওভারঅ্যাকটিভ ব্ল্যাডার (Overactive Bladder – OAB) নামক একটি স্বাস্থ্য সমস্যার লক্ষণ হতে পারে।
advertisement
2/10
এই অবস্থায় মূত্রথলি খুব অল্প প্রস্রাব জমলেও হঠাৎ এবং ঘন ঘন মূত্রত্যাগের সংকেত দিতে থাকে। ফলে দিনের বেলা কাজের সমস্যা, রাতে ঘুমের ব্যাঘাত এবং মানসিক চাপ তৈরি হতে পারে।
advertisement
3/10
ওভারঅ্যাকটিভ ব্ল্যাডারের কয়েকটি প্রধান লক্ষণ রয়েছে, যার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলো দিনে ৮ বারের বেশি প্রস্রাব হওয়া বা রাতে ২ বারের বেশি বাথরুমে যেতে হওয়া। অনেক সময় হঠাৎ প্রস্রাবের তীব্র চাপ অনুভূত হয় এবং তা আটকে রাখা কঠিন হয়ে পড়ে। এমনকি কখনও কখনও প্রস্রাব বেরিয়ে যাওয়ার ঘটনাও ঘটে, যাকে 'আর্জ ইনকন্টিনেন্স' বলা হয়। এই লক্ষণগুলো যদি আপনার মধ্যে দেখা দেয়, তবে তা অবশ্যই ওএবি-এর লক্ষণ হতে পারে।
advertisement
4/10
এই অবস্থার পেছনে একাধিক কারণ কাজ করে। যেমন মূত্রথলির পেশিতে অস্বাভাবিক সংকোচন, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শারীরিক কার্যকারিতার পরিবর্তন, স্নায়ুর সমস্যা যেমন স্ট্রোক, মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস বা স্পাইনাল কর্ড ইনজুরি। এছাড়াও ডায়াবেটিস, ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন (UTI), অতিরিক্ত ক্যাফেইন বা অ্যালকোহল গ্রহণ এবং খুব বেশি পরিমাণে জল বা তরল পান করাও এই সমস্যার কারণ হতে পারে।
advertisement
5/10
এই সমস্যাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে হলে কিছু জীবনধারা পরিবর্তন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমত, ক্যাফেইন ও অ্যালকোহলের পরিমাণ কমাতে হবে, কারণ এগুলো মূত্রত্যাগের তাগিদ বাড়াতে পারে। দিনে নির্দিষ্ট পরিমাণে জল পান করা উচিত, অতিরিক্ত নয়। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত ২ ঘণ্টা আগে থেকে জল বা অন্য কোনও তরল পান না করাই ভালো।
advertisement
6/10
ওভারঅ্যাকটিভ ব্ল্যাডার নিয়ন্ত্রণে ব্ল্যাডার ট্রেনিং একটি কার্যকর পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে নির্দিষ্ট সময় অন্তর প্রস্রাবের অভ্যাস গড়ে তোলা হয় এবং ধীরে ধীরে সময়ের ব্যবধান বাড়ানো হয়। এতে মূত্রথলি একটি নির্দিষ্ট রুটিন মেনে কাজ করতে শেখে, যার ফলে হঠাৎ প্রস্রাবের চাপ কমে আসে।
advertisement
7/10
এছাড়াও কেগেল এক্সারসাইজ নিয়মিত করা যেতে পারে, যা পেলভিক মাংসপেশিকে শক্তিশালী করে এবং প্রস্রাবের নিয়ন্ত্রণ বাড়াতে সাহায্য করে। ফিজিওথেরাপির সাহায্যে এই ব্যায়াম শেখা এবং নিয়মিত চর্চা করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।
advertisement
8/10
যদি এই সমস্ত চেষ্টা সত্ত্বেও অবস্থার উন্নতি না হয়, তবে ডাক্তার কিছু ওষুধ দিতে পারেন যা মূত্রথলির অতিরিক্ত সক্রিয়তাকে শান্ত করতে সাহায্য করে। কিছু ক্ষেত্রে নিউরোস্টিমুলেশন বা সার্জারির মতো উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন হতে পারে। যদি বারবার প্রস্রাব হওয়া আপনার ঘুম, কাজ বা সামাজিক জীবনে বাধা হয়ে দাঁড়ায়, বা প্রস্রাবের সময় জ্বালা, ব্যথা বা রক্ত দেখা যায়, তাহলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
advertisement
9/10
দিল্লির ইউরোলজিস্ট ডা. অনুপ্রিয়া গগৈ বলেছেন, “যদি দিনে বারবার প্রস্রাব হয়, ঘুম বা দৈনন্দিন কাজে ব্যাঘাত ঘটে, তবে তা ওভারঅ্যাকটিভ ব্ল্যাডারের লক্ষণ হতে পারে। সময়মতো সঠিক পরীক্ষা ও চিকিৎসা খুবই জরুরি।”
advertisement
10/10
Disclaimer: এই খবরের মধ্যে দেওয়া ওষুধ/স্বাস্থ্য সম্পর্কিত পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রাপ্ত। এটি সাধারণ তথ্য এবং ব্যক্তিগত পরামর্শ নয়। তাই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনও কিছু ব্যবহার না করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। নিউজ18 বাংলা কোনও ব্যবহারে ক্ষতির জন্য দায়ী থাকবে না।
বাংলা খবর/ছবি/লাইফস্টাইল/
Frequent Urination: দিনে বারবার প্রস্রাব? হতে পারে ওভারঅ্যাকটিভ ব্ল্যাডারের সমস্যা, অবহেলা করলে বাড়তে পারে ঝুঁকি!