Digha News: দিঘা ভ্রমণ এবার আরও স্বস্তিদায়ক! হোটেল মালিকের জন্য কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করল প্রশাসন 

দিঘা ভ্রমণ এবার আরও স্বস্তিদায়ক হতে চলেছে। দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ পর্যটকদের স্বার্থে পরিবেশ রক্ষার জন্য ভূগর্ভস্থ জল ব্যবহারের নতুন নিয়ম চালু করেছে। হোটেল-লজগুলিকে প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া গভীর নলকূপ ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না। দিঘায় ভূগর্ভস্থ মিষ্টি জলের সমস্যা মেটাতে চলেছে দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ। প্রশাসন জানিয়েছে, এই পদক্ষেপ জল সংরক্ষণ, পরিবেশ রক্ষা ও পর্যটন ক্ষেত্রের দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। দিঘা এখন আরও দায়িত্বশীলভাবে পর্যটকদের স্বাগত জানাবে।

নতুন নিয়ম অনুযায়ী, দিঘার সব হোটেল-লজকে ভূগর্ভস্থ জল ব্যবহার করতে প্রশাসনের অনুমতি নিতে হবে। এ নিয়ে হোটেল মালিকদের জন্য একটি বৈঠক আয়োজন করা হয়। বৈঠকে বলা হয়, নতুন পাম্প বা সাবমারসিবল স্থাপন করতে হলে অনুমোদন বাধ্যতামূলক। পুরোনো পাম্পগুলির জন্যও একই নিয়ম প্রযোজ্য হবে। প্রশাসনের দাবি, এই সিদ্ধান্তে হোটেল মালিকদের সচেতন ও দায়িত্বশীল হতে হবে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় সকলের সহযোগিতা আবশ্যক।

পরিবেশবিদরা বহুদিন ধরে অভিযোগ করছিলেন যে দিঘায় বহু হোটেল-লজ বিনা অনুমতিতে গভীর নলকূপ ব্যবহার করছে। এতে মিষ্টি জলের স্তর ক্রমেই নিচে নামছে এবং ভূগর্ভস্থ জল সংকট তৈরি হচ্ছে। পর্যটন শহরে মিষ্টি জলের স্তর ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা বারবার প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়েছিলেন। নতুন নিয়মের মাধ্যমে এসব সমস্যার সমাধান এবং জল সংরক্ষণে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া সম্ভব হবে।

দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ বৃষ্টির জল সংরক্ষণের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে। হোটেল-লজগুলোর ছাদে বৃষ্টির জল সংরক্ষণ করে তা ব্যবহার করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এতে ভূগর্ভস্থ জলের ওপর চাপ কমবে। পর্যটন এলাকায় জলবণ্টন ও পরিবেশ ভারসাম্য রক্ষায় এ পদক্ষেপ গুরুত্বপূর্ণ। প্রশাসনের দাবি, বৃষ্টির জল সংরক্ষণ কার্যক্রম দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলবে এবং দিঘার জলের স্বাভাবিক স্তর পুনঃস্থাপনে সাহায্য করবে।

দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের দাবি, সারফেস ওয়াটার ব্যবহারের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে। হোটেল-লজগুলোকে ভূগর্ভস্থ জলের পরিবর্তে বৃষ্টির জল বা অন্যান্য জলসংরক্ষণ পদ্ধতি ব্যবহার করতে হবে। প্রশাসন নিয়মিত পরিদর্শন করবে এবং অনুমতি ছাড়া কোনও পাম্প চললে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এতে পর্যটন শহরের ভূগর্ভস্ত জল ব্যবস্থাপনা আরও স্থায়ী ও সুষম হবে।

দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের প্রশাসক নীলাঞ্জন মণ্ডল বলেন, “আমাদের লক্ষ্য ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য জল সংরক্ষণ নিশ্চিত করা। দিঘার হোটেল ও লজগুলো যদি নিয়ম মেনে বৃষ্টির জল ব্যবহার ও অনুমোদিত পাম্প ব্যবহার করে, তাহলে আমাদের পর্যটন শহর দীর্ঘমেয়াদি জল সুরক্ষিত থাকবে। সবাইকে সচেতন হওয়া দরকার। প্রশাসন সবসময় সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত। পরিবেশ রক্ষা ও পর্যটন উন্নয়নে আমরা একসঙ্গে কাজ করতে চাই।